মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

আমতলীতে শিক্ষক ও ছাত্রকে মারধর করলেন আ.লীগ নেতা

রাশিমুল হক রিমন, আমতলী প্রতিনিধিঃ শিক্ষক হামিদুর রহমান ও ছাত্র আশিক গাজীকে শ্রেনী কক্ষে প্রবেশ করে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গির হাওলাদার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ছাত্র রাকিব ও শিক্ষকরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামীলীগ নেতাকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আটক করেছে। রাতভর নাটকীয়তার পর বুধবার বিকেলে পুলিশ […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৫৪

রাশিমুল হক রিমন, আমতলী প্রতিনিধিঃ

শিক্ষক হামিদুর রহমান ও ছাত্র আশিক গাজীকে শ্রেনী কক্ষে প্রবেশ করে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গির হাওলাদার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ছাত্র রাকিব ও শিক্ষকরা।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামীলীগ নেতাকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আটক করেছে। রাতভর নাটকীয়তার পর বুধবার বিকেলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছেন।

এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার উত্তর সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজে মঙ্গলবার বিকেলে। 

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কমিটির সদস্য মোঃ জাহাঙ্গির হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে মোঃ রাকিব উত্তর সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজে দশম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে।

মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয় ছুটির আগে একই শ্রেনীর ছাত্র রাকিব ও আশিক গাজীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে আওয়ামীলীগ নেতা বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে ঢুকে আশিক গাজীকে মারধর করে। ওই সময় শিক্ষক হামিদুর রহমান প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করেছে।

শিক্ষক ও ছাত্রকে মারধর করে আওয়ামীলীগ নেতা বীর দর্পে বিদ্যালয় থেকে চলে যায়। পরে বিদ্যালয় শিক্ষকরা ছাত্র ও শিক্ষককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়।

খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে আশিকের বাবা বাবুল গাজী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়।

রাতভর নাটকীয়তার পরে বুধবার দুপুরে পুলিশ জাহাঙ্গির হাওলাদারকে ছেড়ে দিয়েছে। এ ঘটনার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা আওয়ামীলীগ নেতাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করেছেন।

শিক্ষক হামিদুর রহমানের বাড়ী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কালিনগর গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক হামিদুর রহমানকে মামলা না করতে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।

উল্লেখ গত এক বছর আগে মেহেদী হাসান নামের এক ছাত্রীকে আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গির মারধর করে কচুরীপানার মধ্যে ফেলে রাখে। ওই ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। এ মামলায় তিনি বেশ কয়েকদিন জেল হাজতে ছিলেন।  

ছাত্র আশিক গাজী বলেন, শ্রেনী কক্ষে পড়া নিয়ে রাকিবের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় রাকিবের চাচা জাহাঙ্গির হাওলাদার এসে শ্রেনী কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে মারধর করে। হামিদুর রহমান স্যার এর প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ফারুক হোসেন মৃধা বলেন, বিদ্যালয় শিক্ষক, ছাত্রকে মারধর করবে তা মেনে নেয়া যায়না। এ ঘটনায় কঠোর শাস্তি দাবী করছি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হামিদুর রহমান বলেন. শ্রেনী কক্ষে প্রবেশ করে ছাত্র আশিক গাজীকে আওয়ামীলীগ নেতা মারধর করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, আমার বাড়ী অনেক দুরে।

আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিবেন। এখানে আমার কিছুই করার নেই। আমি এর বাইরে কিছুই বলতে রাজি না। 

আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গির হাওলাদার বলেন, বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে। কিভাবে সমাধান হলো এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি? 

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী বলেন, ছাত্র অপরাধ করলে আমার কাছে বিচার দিতে পারতো কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গির হাওলাদার শ্রেনী কক্ষে প্রবেশ করে ছাত্র ও শিক্ষককে মারধর করেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহত শিক্ষককের মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, উভয় পক্ষ আপোষ মিমাংসাপত্র দেওয়ায় জাহাঙ্গির হাওলাদার ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ছাত্র ও শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সারাদেশ

পূজা মন্ডপের পাশে মুসলিম শিশু ধ/র্ষ/ণ, পূজামণ্ডপের সহসভাপতি ভজেন্দ্র সরকার গ্রেফতার

পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে

নিউজ ডেস্ক

০২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৩২

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ীতে পূজা মণ্ডপের পাশে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত ভজেন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার হওয়া ভজেন্দ্র সরকার (৫৫) আশ্রয়ণ প্রকল্প পূজামণ্ডপের সহসভাপতি এবং মেঘলাল সরকারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ভজেন্দ্র সরকারকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শিশুটির মা মোসা. ফাতেমা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন অপরাধে জড়ান, তবে তা সমাজে গভীর ক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে।

সারাদেশ

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল […]

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল নেতা আশিককে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১০টায় উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকায় র‌্যাব -১৪ অভিযান চালিয়ে আশিক মাহমুদকে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধারবকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৩ হাজার ৫শ টাকা। পরে র‌্যাব সদস্যরা আশিককে নালিতাবাড়ী থানায় সোপর্দ করলে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ আশিককে রবিবার রাতেই থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব । সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এদিকে সোমবার বিকেলে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহমেদ বাবু সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান উজ্জ্বল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সারাদেশ

মামুনের খুলি ফ্রিজে, মাথার ব্যান্ডেজ লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের মাথায় ব্যান্ডেজ। সেখানে লেখা, ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’। তার মাথার কিছু অংশে খুলি না থাকায় সতর্কতার স্বার্থে এটি লেখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত রোববার (৩১ আগস্ট) সংঘর্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মামুনের মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে অপারেশন করে তার মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

সুস্থ হয়ে উঠলে দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলি লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এছাড়া তার নাকে ও মুখে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি কানের পর্দা ফেটে গেছে।

মামুনের বন্ধু রাসেল রানা বলেন, ওর অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কেবিনে শিফট করা হয়েছে। ইশারার মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করছে। ওর মাথার হাড় ভেঙে ভেতরে টুকরা টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এজন্য মাথার পেছনে ব্রেইনের অংশে অপারেশন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুলি পুনরায় লাগাতে ডাক্তার সাধারণত দুই মাস সময় চেয়েছেন। পরিস্থিতি ভালো হলে এক মাসের মধ্যে লাগানো যাবে। যদি অবনতি হয় তাহলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত আছে।

এ বিষয়ে চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গত ৩১ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টা ধরে মামুনের অপারেশন করা হয়। অপারেশনে মামুনের মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জিয়াউদ্দিন বলেন, মামুন মোটামুটি ভালো আছে। তার সেন্সও ফিরে আসছে। এখন কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। মাথার ব্রেনের অংশে অপারেশন করায় আপাতত খুলি খুলে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় তার মাথায় হাড় নেই। এক-দুই মাস পর অথবা অবস্থা অনুযায়ী খুলি আবার লাগানো হবে। সায়েমের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনকই বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, গতকাল মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। এখন আবার অপারেশন করতে হতে পারে, অথবা নরমাল চিকিৎসা যেভাবে চলছে, এভাবে চালিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।