বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ফিচার

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ রাজপথে কিভাবে?

চট্টগ্রামে রাস্তায় নেমেছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা। চব্বিশ ঘণ্টার মাথায় নগরীর পল্টন রোড ও ব্যস্ততম প্রবর্তক মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। দুইদিনে পৃথক দুটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘একটা গুলি চললে, পাল্টা গুলি চলবে, শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ স্লোগান ও দিয়েছে খুন সন্ত্রাসসহ নানা অপরাধে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনের কর্মীরা।   রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, […]

নিউজ ডেস্ক

২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩

চট্টগ্রামে রাস্তায় নেমেছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা। চব্বিশ ঘণ্টার মাথায় নগরীর পল্টন রোড ও ব্যস্ততম প্রবর্তক মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। দুইদিনে পৃথক দুটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘একটা গুলি চললে, পাল্টা গুলি চলবে, শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ স্লোগান ও দিয়েছে খুন সন্ত্রাসসহ নানা অপরাধে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনের কর্মীরা।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বার বার রাস্তায় নামার দুঃসাহস দেখাচ্ছে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরেরা। নিষিদ্ধ হওয়ার পর রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।

এসব খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্টের গণহত্যাসহ বিগত দেড় দশকে অগণিত খুনের ঘটনায় সুস্পষ্ট মামলা রয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি, দখলবাজি এবং মাদকের মামলাও আছে। স্বৈরাচারের পতন হলেও আওয়ামী অপরাধীদের দূর্গের কোন হেরফের হয়নি।

 

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার তিন মাস পার হয়েছে। এ সময়ের মধ্যেও ছাত্রলীগ ও আওয়ামী অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাড়াঁশি কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। মাঝে মধ্যে পুলিশের নিয়মিত অভিযানে দু’একজন ক্যাডার ধরা পড়ছে। কিন্তু বাকিরা থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসের দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও তাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার হয়নি।

আর এ সুযোগে পতিত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী এসব অপরাধীরা গোপনে সংঘটিত হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা প্রকাশ্যে দিনের আলোতে ছাত্র জনতার ওপর গুলি করে ১১ জনকে হত্যা করেছে তারাই এখন সরকার বিরোধী চক্রান্ত ও নাশকতার ছক আঁকছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে পতিত স্বৈরাচারের নিকৃষ্টিতম দোসর মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পাতালে থেকে নির্দেশনা দিয়ে তার ক্যাডারদের সংগঠিত করার খবরও রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ভয়ঙ্কর অপরাধীদের গ্রেফতার এবং তাদের অবৈধ অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার করা না হলে সরকারকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করে বসবে তারা। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন এলাকায় তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার আড়ালে পরাজিত শক্তির দোসরেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। নগরীর হাজারী গলিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসকনের বিরুদ্ধে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে নেপথ্যে ছিল ছাত্রলীগ যুবলীগ।

ওই ঘটনায় সেনা সদস্য ও পুলিশের ওপর ভয়ঙ্কর এসিড হামলা হয়। পরে সেখান থেকে নগর যুবলীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির কয়েকটি ঘটনায়ও ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ চব্বিশ ঘণ্টার মাথায় সোমবার রাতে নগরীর দামপাড়ার পল্টন রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা।

মিছিলটি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু হয়ে মেহেদীবাগের দিকে চলে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় মিছিলকারীদের মুখে মাস্ক পরা। মিছিলের সামনে থাকা এক ক্যাডারের হাতে একটি কালো ব্যাগ দেখা যায়।

তাতে আগ্নেয়াস্ত্র বা ভারী কিছু ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা ধীরগতিতে মিছিল নিয়ে মেহেদীবাগের দিকে এগিয়ে যায়। তবে সেখানে কোন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। এর আগে রোববার রাতেও তারা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। প্রবর্তক মোড়ে এ মিছিলটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. সোলায়মান বলেন, একদল যুবক ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রবর্তক মোড় হয়ে বদনাশাহ মাজারের সামনে গিয়ে শেষ করে বিভিন্ন অলি-গলিতে ঢুকে পড়ে। মিছিলকারীদের সংগঠিত করার অভিযোগে দিদারুল আলম (৪২) নামে এক জনকে শিশু একাডেমি এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলকারীদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক দেয়া ছিল। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সেøাগানের পাশাপাশি চলছে লড়াই চলবে শেখ হাসিনা লড়বে, শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই, বার বার দরকার শেখ হাসিনার সরকার- স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল করার আগে তারা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হন।

এরপর সংঘবদ্ধ হয়ে মিছিল বের করেন। এ সময় আশপাশে কোথাও পুলিশকে দেখা যায়নি। ছাত্রলীগের নামে মিছিল দেখে হতবাক হন পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের অনেকে নিষিদ্ধ সংগঠনের মিছিল করা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। স্থানীয়রা বলেন, পুলিশের আসকারা পেয়ে এসব চিহ্নিত খুনিরা রাস্তায় নামার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। জানা গেছে নওফেলপন্থি ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা রাস্তায় নামছে। আর নেপথ্যে থেকে তাদের সংগঠিত করছেন নওফেল।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও অনেকটা আড়ালে চলে যায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। কিন্তু ব্যতিক্রম চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন। হাতেগোনা কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের মধ্যেই সীমিত থাকে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান।

অনেকে মনে করেন, শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের কারণেই চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ ক্যাডারেরা গ্রেফতার এড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতার সাথে মেট্রোপলিটন পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে এখনো যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। মূলত এ কারণেই ছাত্রলীগের কাডারেরা চট্টগ্রাম থেকে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে নগরীর জামালখানেও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারেরা। তাদের ওই কর্মসূচির পরও জোরদার হয়নি পুলিশের গ্রেফতার অভিযান।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে নিপীড়ত, নির্যাতনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন আইন অনুযায়ী গত ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ধারণা করা হয়েছিল, নিষিদ্ধ হওয়ার পর ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার হবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোচিত্র বিরাজ করছে নগরীতে। বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তাদের দেখা যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ১১ জনের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট মামলা হয়। এ মামলার আসামিদের অনেকেও এখন প্রকাশ্যে। অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় তারা সংঘবদ্ধ হচ্ছে। #

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৪৮
মোট ভোট: ২৪৮

ফিচার

ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিদিন আমাদের সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে বরিশাল বিভাগের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচারের ব্যাপারে আপনারা সবসময় সজাগ থাকবেন। তারা প্রতিদিন মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। তারা যাতে মিথ্যে […]

নিউজ ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৩১

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিদিন আমাদের সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে বরিশাল বিভাগের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচারের ব্যাপারে আপনারা সবসময় সজাগ থাকবেন। তারা প্রতিদিন মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। তারা যাতে মিথ্যে রিপোর্ট না দেয় সেজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আপনারা সত্য রিপোর্ট দেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমরা যদি কোনো ভুল করি, আপনারা বলেন, আমরা সেটা রেক্টিফাই করব। আমার ভেতরে কোনো রকম দুর্নীতি থাকলে আপনারা বলুন, আমার উত্তর দিতে দ্বিধা নেই। কিন্তু কোনো মিথ্যা রিপোর্ট আপনারা দেবেন না।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের বাহিনীগুলোকে জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। এতে আমাদের চেষ্টাগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা হয়েছে। আমাদের বাহিনীরও অনেক সমস্যা রয়েছে। যেমন, গাড়ি ও অর্থসহ নানা লজিস্টিক সমস্যা।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় এ ব্যাপারেও আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বরগুনার এসপির বিষয়ে তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুএকদিন দেরি হচ্ছে হয়তো। তবে একটি ফরমাল ইনভেস্টিগেশন তো করতেই হবে। আর তাতে যদি তাকে দোষী পাওয়া যায় অবশ্যই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে অন্যায় করলে দরকার হলে এদেরও জেলে নেওয়া হবে।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এবারে অবশ্যই একটা সুরাহা হবে। এখানে ৬ মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। আর আইজিপি সাহেবের নির্দেশে নতুন একটি টিমও করে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ বাহিনীর আস্থার একটি সংকট ছিল, তবে এটা হঠাৎ করে ঠিক হয়ে যাবে না। কিন্তু আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, আস্তে আস্তে আরও হবে।

নীরব চাঁদাবাজির কোনো বিষয় থাকলে এসপি, পুলিশ কমিশনার ও ডিআইজি সাহেবকে জানান। তারা ব্যবস্থা না নিলে আমাকে কিংবা আইজি সাহেবকে জানান। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

মাদকের বিষয়ে তিনি বলেন, মাদক আমাদের বড় সমস্যা। ক্যারিয়ারগুলো ধরা পড়ছে বেশিরভাগ সময়, হোতাগুলো ধরা পড়ছে না। কিন্তু এবার বেশ কয়েকজন বড় বড় হোতা ধরা পড়েছে।

মাদক আমাদের দেশের বড় সমস্যা। এর সমাধান আমাদের সবাইকে মিলে করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধে মাদকের বিষয়ে তথ্য দেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অ্যাকশনে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই যাব। পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীকেও তথ্য দিতে পারেন। পেপারে আগে না দিয়ে এদের কাছে জানান, যদি তারা না ব্যবস্থা নেয় তাহলে পেপারে দিয়ে দেন। কিন্তু মাদকের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে আমাদের সহযোগিতা করুন, মিডিয়ায় আগে দিলে তারা সজাগ হয়ে যায়, তাই আমরা চাই তারা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেই ধরে ফেলতে।

এখন অনেক মামলা হচ্ছে, অনেক নির্দোষ লোককে আসামি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনাদের সজাগ হতে হবে। আমি বাহিনী প্রধানদেরও বলেছি, যারা এ ধরনের মামলা করবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে এখন থেকে। খারাপ লোককে খারাপ বললে সেও মামলা করে দিচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্কুলারও দিয়েছে- যারা এরকম মামলা করে সেগুলো না নেওয়ার জন্য। আর নিলেও বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আগে পুলিশ বাদী হয়ে অনেক আসামি করত কিন্তু এখন পুলিশ সেরকম মামলা দেয় না, এখন দেয় সাধারণ মানুষ।

পুলিশ সংস্কারে পুলিশ কমিশন কাজ করে যাচ্ছে, তারা রিপোর্ট দিলে সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই আমার বরিশালে প্রথম পরিদর্শন। এখানে এসে নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি, অন্যান্য জায়গার থেকে এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। মাঝে মাঝে যদিও রাস্তাটা ব্লক করে ফেলে, এটার জন্য সবাই চেষ্টা করবেন। রাস্তা ব্লক না করে তাদের যে দাবি-দাওয়া থাকে তা সঠিক চ্যানেলে প্লেস করলে সব থেকে ভালো হয়। এখানে ছাত্র প্রতিনিধিরা রয়েছে, তাদেরও আমি সহায়তা করার জন্য বলেছি, রাস্তা ব্লক করে যাতে জনগণকে ভোগান্তির মধ্যে না ফেলা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, বরিশাল সেনানিবাসের ৭ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল আজিম- পিএসসি

রাজনীতি

কীভাবে দেশ ছাড়েন ওবায়দুল কাদের?, জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন,কি করছেন তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে সবসময় কৌতূহল কাজ করেই যাচ্ছে।নানা সময় নানা জায়গায় কাদের রয়েছেন এমন খবর চাউর হলেও এটা নিশ্চিতভাবে জানা গেল ৮ই নভেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছেছেন। ৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন। কীভাবেই বা দেশ […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩১

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন,কি করছেন তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে সবসময় কৌতূহল কাজ করেই যাচ্ছে।নানা সময় নানা জায়গায় কাদের রয়েছেন এমন খবর চাউর হলেও এটা নিশ্চিতভাবে জানা গেল ৮ই নভেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছেছেন।

৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন। কীভাবেই বা দেশ ছাড়লেন।

খবর রয়েছে, তিনি এক বিশেষ স্থানে আদর-যত্নে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ফন্দি-ফিকির করছিলেন। সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা।

দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেল। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে অনেকটাই নীরব।
আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট কাদেরের এই মন্তব্যে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরিণতিতে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হয়।

এ কারণে হাসিনা কাদেরের ওপর যারপরনাই বিরক্ত। তাকে নিয়ে ছাত্র-জনতার মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে সিলেটি এক আত্নীয়ের আশ্রয়ে  বেশ আদর যত্নেই দিন কাটিয়েছিলেন।তবে এবারও বিভিন্ন সুত্র দাবি করছে ভারতের মেঘালয়েও বিশেষ স্থানে আরামেই দিন কাটাচ্ছেন কাদের।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৪৮
মোট ভোট: ২৪৮

রাজনীতি

পিনাকীর এক পোস্টেই ধানমন্ডি-৩২ এর কবর রচনা

সন্ধ্যা থেকেই ধানমন্ডির আশেপাশে জড়ো হচ্ছিলেন হাজার হাজার ছাত্র জনতা। ইট ,পাটকেল এবং বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার এই বাড়িটি। একই সাথে দেওয়া হয়েছে আগুন। বোঝাই যাচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ এর কবর রচিত হয়েছে আজ। এই ঘটনার পিছনে যার নাম সবার আগে আসে তিনি হচ্ছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। আজ রাতে ঘোষিত ‘লং মার্চ টু […]

নিউজ ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৫৮

সন্ধ্যা থেকেই ধানমন্ডির আশেপাশে জড়ো হচ্ছিলেন হাজার হাজার ছাত্র জনতা। ইট ,পাটকেল এবং বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার এই বাড়িটি। একই সাথে দেওয়া হয়েছে আগুন। বোঝাই যাচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ এর কবর রচিত হয়েছে আজ। এই ঘটনার পিছনে যার নাম সবার আগে আসে তিনি হচ্ছেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

আজ রাতে ঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে শুরু করে সন্ধ্যা থেকেই। রাত ৮টার কিছু আগে তারা ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং সেখানে ভাঙচুর চালায়।

এই সময়ে, ছাত্র-জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলতে থাকে। তাদের বিক্ষোভ এবং স্লোগান যথেষ্ট তীব্র হয়, এবং তারা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি তার স্মৃতিসৌধকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এই কর্মসূচি একটি বিক্ষোভ মিছিলের অংশ, যা ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে পোস্টের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। পোস্টে বলা হয়, “ধানমন্ডি-৩২ অভিমুখে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ বুলডোজার মিছিল”, যেখানে দাবি করা হয়, হাজারো ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়ে দিল্লি পালিয়ে গিয়েছিল শেখ হাসিনা। এই প্রতিবাদে ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র-জনতা অংশ নিচ্ছে।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৪৮
মোট ভোট: ২৪৮