বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ৫ মাস, লজ্জায় এখনো মুখ দেখাননি?

ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারতে পলায়নের পাঁচ মাস পূর্ণ হলো। এই পাঁচ মাসে কল রেকর্ড ফাঁস, চট করে দেশে ঢুকে পড়াসহ শেখ হাসিনার নানান চটকদার বক্তব্য পাওয়া গেছে। তবে একবারের জন্যও তার মুখ দেখা যায়নি গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোথাও। ২০২৪ সালের শুরুতে ডামি নির্বাচনে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩:০৫

ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারতে পলায়নের পাঁচ মাস পূর্ণ হলো। এই পাঁচ মাসে কল রেকর্ড ফাঁস, চট করে দেশে ঢুকে পড়াসহ শেখ হাসিনার নানান চটকদার বক্তব্য পাওয়া গেছে।
তবে একবারের জন্যও তার মুখ দেখা যায়নি গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোথাও।

২০২৪ সালের শুরুতে ডামি নির্বাচনে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার মাত্র ৭ মাসের মাথায় তীব্র জনরোষে গত ৫ আগস্ট গদি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী।

২০১৪, ২০১৮ সালে বিতর্কিত নির্বাচনে সরকার গঠনের পর ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি আরেকটি বিতর্কিত ডামি নির্বাচনে আবারও ক্ষমতা দখল করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর থেকে বড় ধরনের কোনো আন্দোলন বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হয়নি শেখ হাসিনাকে।

হঠাৎ করেই চলে আসে কোটা সংস্কার আন্দোলন। ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগ সরকারের গ্রিন সিগনাল অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৫ জুন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করার রায় দেন হাইকোর্ট। কোটা সংস্কারের দাবিতে আবারও শুরু হয় আন্দোলন। ধীরে ধীরে তীব্র আকার নিতে থাকে এ আন্দোলন। শুরুতে আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। গত ১৪ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের খোঁচা ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। এতে যেন আগুনে ঘি ঢালা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দাবানলের মতো আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দাবানলে আরেক দফা ঘি ঢালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি ছাত্রলীগকে উসকে দেন। ছাত্রলীগ বহিরাগতদের নিয়ে আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা করে। আন্দোলনের বারুদ ছড়িয়ে পড়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এক রাতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

১৬ জুলাই, রংপুরে নিহত হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। দুই হাত উঁচু করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পুলিশের ছররা গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তার মৃত্যুর দৃশ্য মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তীব্রতা বাড়তে থাকে আন্দোলনের। ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। লাশের মিছিল বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতাও বাড়তে থাকে।

পরবর্তী কয়েকদিন সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়। কারফিউ জারি করে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট, ছররা গুলির পাশাপাশি তাজা গুলি ব্যবহার করে পুলিশ। হেলিকপ্টার থেকেও গুলি করা হয় আন্দোলনকারীদের ওপর। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে শত শত ছাত্র-জনতা প্রাণ হারায়।

ব্যাপক প্রাণহানি ও নৃশংসতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলন কিছুটা দমন করতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে আদালত কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি পুনর্বহালের পরিবর্তে সংস্কার করে। ৫৬ শতাংশ থেকে কোটা ১০ শতাংশে নেমে আসে।

এদিকে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন পরিণত হয় সরকার পতনের আন্দোলনে। বুলেট আর ব্যাপক প্রাণহানির মাধ্যমে রাস্তা থেকে আন্দোলনকারীদের কিছুটা সরাতে পারলেও ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে দেশের জনগণ। এর মধ্যে সামনে আসে ‘ভাতের হোটেল’খ্যাত ডিবি পুলিশে প্রধান হারুনের নাটক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ডিবি অফিসে বসিয়ে ভাত খাওয়ানো এবং সেই ছবি-ভিডিও প্রচার করা, তাদের দিয়ে জোর করে বিবৃতি আদায় করা হয়। মানুষ এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ফের রাস্তায় নামতে শুরু করে।

সরকার আরও কঠোর হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ৪ আগস্ট মাঠে নামানো হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীদের। তীব্র জনরোষে ময়দানে টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। সেনাবাহিনীকে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার শেষ চেষ্টা করেন শেখ হাসিনা। কিন্তু সেনাবাহিনীর বড় অংশ ছাত্র-জনতাকে গুলি করতে অস্বীকৃতি জানায়। চাপে পড়ে সেনাবাহিনীর হাইকমান্ড, ছাত্র-জনতার বুকে গুলি না করার সিদ্ধান্ত নেন সেনাসদস্যরা।

৫ আগস্ট সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ছাত্র-জনতার ঢল নামে। ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের মানুষ শেখ হাসিনাকে গদি থেকে উৎখাতের জন্য গণভবনের দিকে ছুটতে থাকেন। শেখ হাসিনা গণভবন থেকে পালানোর জন্য মাত্র ৪৫ মিনিট সময় পান। তীব্র জনরোষ থেকে কোনোরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আমন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস; গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

ভারতে আত্মগোপনে থেকেও নেতাকর্মীদের উসকানি দিতে থাকেন শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট পতনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা, এমনকি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মীও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যান। যারা দেশ ছাড়তে পারেননি তারাও চলে যান আত্মগোপনে। আওয়ামী লীগ সরকার আমলের প্রধান বিচারপতি, পুলিশ প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তি, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অথবা আত্মগোপনে চলে যান।

৫ আগস্ট পালানোর পর বেশ কয়েকটি সাজানো কল রেকর্ড ফাঁস হয় শেখ হাসিনার। সেখানে তিনি কৌশলে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন। সীমান্তের কাছেই আছেন, সময়মতো চট করে দেশে ঢুকে পড়বেন বলে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর জন্য উসকানি দেন।

এক ধাক্কায় আওয়ামী লীগ যখন পুরো দেশ থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে, নেতারা যখন আত্মগোপনে, এরকম একটা নাজুক পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে প্রথম উসকানি দেন। সাধারণ নেতাকর্মীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা ও জয়ের আহ্বান সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব ও উসকানিতে বিভ্রান্ত হয়ে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে গণপিটুনির শিকার হন কয়েকজন নেতাকর্মী। যাদের একজন কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর প্রাণ হারান।

দ্বিতীয় দফায় ১০ নভেম্বরে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আবারও নেতাকর্মীদের উসকানি দিয়ে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে সমবেত করার চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনও ২০/৩০ জন নেতাকর্মী সেখানে জড়ো হন, যাদের কয়েকজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

 

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৭৭
মোট ভোট: ১৭৭

রাজনীতি

কীভাবে দেশ ছাড়েন ওবায়দুল কাদের?, জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন,কি করছেন তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে সবসময় কৌতূহল কাজ করেই যাচ্ছে।নানা সময় নানা জায়গায় কাদের রয়েছেন এমন খবর চাউর হলেও এটা নিশ্চিতভাবে জানা গেল ৮ই নভেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছেছেন। ৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন। কীভাবেই বা দেশ […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩১

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন,কি করছেন তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে সবসময় কৌতূহল কাজ করেই যাচ্ছে।নানা সময় নানা জায়গায় কাদের রয়েছেন এমন খবর চাউর হলেও এটা নিশ্চিতভাবে জানা গেল ৮ই নভেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছেছেন।

৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন। কীভাবেই বা দেশ ছাড়লেন।

খবর রয়েছে, তিনি এক বিশেষ স্থানে আদর-যত্নে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ফন্দি-ফিকির করছিলেন। সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা।

দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেল। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে অনেকটাই নীরব।
আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট কাদেরের এই মন্তব্যে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরিণতিতে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হয়।

এ কারণে হাসিনা কাদেরের ওপর যারপরনাই বিরক্ত। তাকে নিয়ে ছাত্র-জনতার মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে সিলেটি এক আত্নীয়ের আশ্রয়ে  বেশ আদর যত্নেই দিন কাটিয়েছিলেন।তবে এবারও বিভিন্ন সুত্র দাবি করছে ভারতের মেঘালয়েও বিশেষ স্থানে আরামেই দিন কাটাচ্ছেন কাদের।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৭৭
মোট ভোট: ১৭৭

রাজনীতি

বাংলাদেশকে দেয়া ভারতের শর্তের সাথে সাথেই কৌশলে পরিবর্তন হাসিনার

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের। সেইসঙ্গে ভারতের আশ্রয়ে আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে নানা সময়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতিও দিয়ে আসছেন হাসিনা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের গণমাধ্যমও। তারাও বাংলাদেশ নিয়ে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে। এমনকি ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি এবং […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের। সেইসঙ্গে ভারতের আশ্রয়ে আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে নানা সময়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতিও দিয়ে আসছেন হাসিনা।

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের গণমাধ্যমও। তারাও বাংলাদেশ নিয়ে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে।

এমনকি ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি এবং ভিসা কার্যক্রম একপ্রকারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে একের পর এক হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল মোদির বিজিপি পার্টির নেতারা।

ভারত ও বাংলাদেশের এই টানা-পোড়েন সম্পর্কের উন্নতির ঢাকায় জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বৈঠকে কিছু শর্ত আরোপ করে দেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তাদের দেওয়া সব শর্ত পূরণ হলে তবেই আগের মতো ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক থাকবে বলেন মনে করেন তারা।

এদিকে, বাংলাদেশকে ভারতের শর্তজুড়ে দেওয়ার পর রাজনীতি যেন ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ভারতের শর্ত দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত ও আওয়ামী লীগ সভাপতি তাহলে কি কৌশলে পরিবর্তন এনেছেন?

শেখ হাসিনা আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতি দেওয়ায় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল তার বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এই খবরের মধ্যে গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিনার আরেকটি বিবৃতি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু শেখ হাসিনার দীর্ঘ বিবৃতিতে নানা বিষয়ে কথা বললেও কোথাও ড. মুহম্মদ ইউনূস বা কোনো বিএনপি নেতার নামের উল্লেখ নেই। তাহলে কি কৌশলে পরিবর্তন করে নতুনভাবে এগোনোর চিন্তা শেখ হাসিনার!

অপরদিকে, ভারতের গণমাধ্যম জানিয়ে আসছে শেখ হাসিনার দেওয়া বিবৃতি সমর্থন করে না দেশটি। তারা জানায় সম্পর্কে ব্যক্তি বিশেষ বা নির্দিষ্ট সরকারে সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না ভারত। দেশটি চায় বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে। ভারতের এই মন্তব্যের পরই কারও নাম উল্লেখ না করেই বিবৃতিতে কড়া বার্তা দেন হাসিনা।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে উড়ে আসেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যদিও বর্তমানে তিনি কোথায় রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে কয়েকশত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে তারই নিজের হাতে গড়া ট্রাইবুনাল।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৭৭
মোট ভোট: ১৭৭

রাজনীতি

সুবর্ণচরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ বিএনপির

মো:তাজুল ইসলাম (সুবর্ণচর প্রতিনিধি): আজ সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, নোয়াখালী, সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সুবর্ণচর উপজেলা শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ এর মাধ্যমে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বাবুল চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সারওয়ার উদ্দিন দিদার, নিজাম উদ্দিন ফারুক, […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৫৪

মো:তাজুল ইসলাম (সুবর্ণচর প্রতিনিধি):
আজ সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, নোয়াখালী, সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সুবর্ণচর উপজেলা শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ এর মাধ্যমে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বাবুল চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সারওয়ার উদ্দিন দিদার, নিজাম উদ্দিন ফারুক, সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবুল খায়ের আকাশ, এডভোকেট আবদুল্লা, সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের নেতা শাহাব উদ্দিন অনিক।
আরো উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সারওয়ার উদ্দিন, নাজিম উদ্দীন রাজন ও  সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্র দলের জামাল উদ্দিন, আবু তাহের, আরিফ, সাকা সহ সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৭৭
মোট ভোট: ১৭৭