শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সোশ্যাল মিডিয়া

হাসনাত সারজিসকে শুয়োর বলে চাকরী হারালেন এখন টিভির উপস্থাপিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধানমুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে এখন টিভির নিউজরুম এডিটর ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সম্প্রতি দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাগুরার ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যেখানে আট বছরের শিশু আছিয়া গণধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের […]

হাসনাত সারজিসকে শুয়োর বলে চাকরী হারালেন এখন টিভির উপস্থাপিকা

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৬

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধানমুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে এখন টিভির নিউজরুম এডিটর ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাগুরার ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যেখানে আট বছরের শিশু আছিয়া গণধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঘটনার প্রেক্ষাপটে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এখন টিভি সরাসরি সম্প্রচারে ছিল।

তবে সম্প্রচারের সময় একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে স্টুডিওর অভ্যন্তরীণ কথোপকথনের কিছু অংশ লাইভ সম্প্রচারে চলে আসে। যেখানে নিউজরুম থেকে একজন উপস্থাপক জানতে চান, হাসনাত ও সারজিস মাগুরায় গেছেন কি না।

এর প্রতিউত্তরে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণা কটূক্তি করে বলেন, “এই শুয়োরগুলো গেলেই কি আর না গেলেই কি!”

এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে এখন টিভির সিইও তুষার আবদুল্লাহ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণা বা এখন টিভির সিইও তুষার আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক মহল এবং নাগরিক সমাজে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, গণমাধ্যমের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসা অত্যন্ত দুঃখজনক, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে সম্প্রচারিত হলেও একজন গণমাধ্যমকর্মীর পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে সংযত থাকা উচিত ছিল।

ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে এখন টিভির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায়ও টানাপোড়েন চলছে বলে জানা গেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সংবাদ পরিবেশনে দায়িত্বশীলতার গুরুত্ব এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া

‘শুধু পুরুষদের দায়ী করা ঠিক নয়’,ধর্ষণ ইস্যুতে যা বললেন ডা. সাবরিনা

ডাক্তার সাবরিনা পেশায় চিকিৎসক হলেও আকর্ষণীয় সাজগোজে ছবি-ভিডিও প্রকাশের কারণে থাকেন আলোচনায়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে গণমাধ্যমে দেশের চলমান ধর্ষণ ইস্যু নিয়ে কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গ্লোবাল স্টার কমিউনিকেশন আয়োজিত ও প্রথমা বাংলাদেশ নিবেদিত ‘গ্লোবাল স্টার উইমেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’-এ অ্যাওয়ার্ড পান ডা. সাবরিনা। ডা. সাবরিনা বলেন, ‘ধর্ষণ একটি আদিমতম অপরাধ। […]

‘শুধু পুরুষদের দায়ী করা ঠিক নয়’,ধর্ষণ ইস্যুতে যা বললেন ডা. সাবরিনা

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১১ মার্চ ২০২৫, ১৯:০৩

ডাক্তার সাবরিনা পেশায় চিকিৎসক হলেও আকর্ষণীয় সাজগোজে ছবি-ভিডিও প্রকাশের কারণে থাকেন আলোচনায়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে গণমাধ্যমে দেশের চলমান ধর্ষণ ইস্যু নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গ্লোবাল স্টার কমিউনিকেশন আয়োজিত ও প্রথমা বাংলাদেশ নিবেদিত ‘গ্লোবাল স্টার উইমেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’-এ অ্যাওয়ার্ড পান ডা. সাবরিনা।

ডা. সাবরিনা বলেন, ‘ধর্ষণ একটি আদিমতম অপরাধ।

নারীদের প্রতি মুহূর্তে প্রতিবন্ধকতা। আমি বলব, শুধু পুরুষদের দায়ী করা ঠিক নয়। নারীর ওপর অত্যাচারের জন্য এই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এবং সোশ্যাল ভায়োলেন্সের জন্য নারীরাও অনেক সময় দায়ী হয়। নারী জনমের জন্য সুখী নয়, নিরাপদ বোধ করে না।

সে দেশে এ পুরস্কার হাতে নিয়ে ভালো লাগে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘যারা সব সময় নারীদের সঙ্গে কোনো সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট হলে নারীকেই দায়ী করেন। বলেন, নারীর চালচলনে সমস্যা, নারীর পোশাক-আশাকে সমস্যা তারা ৮ বছরের মেয়েটার ক্ষেত্রে কী বলবেন?

আজও কি এই মেয়ের চালচলন, নাকি পোশাক-আশাকের দোহাই দেবেন। কাজেই আমি বলব, যেদিন মা-বাবারা কন্যাসন্তান হওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ মন থেকে বলতে পারবেন সেদিন মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদেরকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে হবে না।

সেই দিন এই দিবস এই পুরস্কার সার্থক হবে। না হলে এই দিবস এই পুরস্কার কোনোটাতেই সার্থকতা নেই।’

নারীদের প্রতি মুহূর্তে প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে এই চিকিৎসক বলেন, ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স শুধু নয়, সোশ্যাল ভায়োলেন্স হয় এবং অনেক সময় আমি বলব শুধু পুরুষদের দায়ী করা ঠিক নয়। নারীর ওপর অত্যাচারের জন্য এই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এবং সোশ্যাল ভায়োলেন্সের জন্য নারীরাও অনেক সময় দায়ী হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখ বোধ করছি তার পরও বলছি এই ধর্ষণ মামলার মতো মামলাটাকে বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করে এর গুরুত্বটা এমন কমিয়ে ফেলেছে যার কারণে যারা প্রকৃত ভুক্তভোগী, প্রকৃত ধর্ষিতা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় শরীর এবং মন তারা বিচার পাচ্ছে না।

কাজেই আমি বলব, দয়া করে এই মামলাটিকে প্রহসনের মামলা বানিয়ে না ফেলে এমন একটি অবস্থা তৈরি করুন, যাতে মামলার গুরুত্ব নিশ্চিত হয় এবং এ মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান হয়। এই দাবি আমার মোটেও রাষ্ট্রের কাছে নয়।’

ধর্ষণ একটা আদিমতম অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটার জন্য আইন আছে। কিন্তু আইন করে কি এটা বন্ধ করা গেছে? যায়নি। সবচেয়ে প্রথমে প্রয়োজন পারিবারিক শিক্ষা। ফেসবুক খুললে বিভিন্ন পুরুষের, কোনো কোনো সময় নারীদেরও কিছু কিছু মন্তব্যে বোঝা যায় কী ধরনের মানসিক অবস্থা তারা ধারণ করেন এবং লালন করেন।’

সর্বশেষে এ ইনফ্লুয়েন্সার বলেন, ‘একটা নারীর সঙ্গে একটা খারাপ কিছু হলে তারা দায়ী করার চেষ্টা করেন নারীর চলাফেরা, পোশাক-আশাক, যে কারণে একটা ৮ বছরের শিশুর ওপর এত বড় ধরনের অপরাধ ঘটতে পারে।

তাহলে কি শুধু রাষ্ট্রই দায়ী? না, সব সময় শুধু রাষ্ট্রই দায়ী নয়। প্রয়োজন পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক শিক্ষা এবং রাষ্ট্রের তো দায়িত্ব অবশ্যই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, বিচার এবং বিচারের যাতে সুনির্দিষ্ট প্রয়োগ হয় কোনো ফাঁক গলে যেন ধর্ষক পালিয়ে যেতে না পারে।’

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণাকাণ্ডে দেশব্যাপী আলোচিত হন ডাক্তার সাবরিনা। সেই মামলায় কারাগারেও ছিলেন দীর্ঘদিন।

সোশ্যাল মিডিয়া

আমাকে আমার মতোই থাকতে দিন : মুশফিকুল ফজল আনসারী

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে উত্তাপ না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবকু প্রোফাইলে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, আমাকে উপলক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপ না ছড়ানোর আন্তরিক অনুরোধ। যারা রক্তস্নাত জুলাই অভ‍্যুত্থ‍্যানের ইতিহাস চর্চায় আমার অবস্থান নির্ধারণ করেছেন অথবা বন্ধু-স্বজন হিসেবে সরকারের পদ-পদবিতে সম্মুখ […]

নিউজ ডেস্ক

২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:২৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে উত্তাপ না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবকু প্রোফাইলে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, আমাকে উপলক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপ না ছড়ানোর আন্তরিক অনুরোধ। যারা রক্তস্নাত জুলাই অভ‍্যুত্থ‍্যানের ইতিহাস চর্চায় আমার অবস্থান নির্ধারণ করেছেন অথবা বন্ধু-স্বজন হিসেবে সরকারের পদ-পদবিতে সম্মুখ সারিতে দেখতে চাচ্ছেন, তাদের প্রতি আমার সবিনয় নিবেদন, আমাকে আমার মতোই থাকতে দিন।

এর আগে, সকালে নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন লিখেছেন, মুশফিকুল ফজল আনসারীকে আমরা রাষ্ট্রদূত হিসেবে চাই না। তাকে একাধারে মেক্সিকোসহ উত্তর আমেরিকার ৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এটা তার জন্য সম্মানের হলেও স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং হোয়াইট হাউজে তার যে শূন্যতা সেটা মোদির সফরে আমরা হারে হারে টের পেয়েছি।

তিনি আরও লিখেছেন, আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, বিচার বিভাগসহ ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের সঙ্গে তার যে ঘনিষ্টতা রয়েছে সেটা সরকারের কাজে লাগানো উচিত। সরকারে রাখতে চাইলে তাকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা করার দাবি থাকল।

গত ২৭ জানুয়ারি মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মস্থলে যোগ দেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। এ ছাড়া ওই পোস্টে তিনি লেখেন- ‘নতুন কর্মস্থলের প্রথম দিন’।

মুশফিকুল ফজল আনসারী যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাস্ট নিউজ বিডি ডটকমের সম্পাদনার পাশাপাশি স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের সদরদপ্তর ও হোয়াইট হাউজে দায়িত্ব পালন করেন।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলে ধরে নানা প্রশ্ন করতেন। এর আগে সাংবাদিকতায় সাহসী ভূমিকার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে ২০১৫ সালে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়া

এই পথ চলা হোক মিনিংফুল,নাহিদের উদ্দেশে ফাহামের পোস্ট

নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে পদত্যাগ করলেন নাহিদ ইসলাম। তার নেতৃত্বে গঠন করা হবে নতুন ছাত্র-রাজনৈতিক দল। এবার নাহিদের উদ্দেশে স্ট্যাটাস দিলেন বিশিষ্ট লেখক, রাজনীতিবিদ ও জনপ্রিয় ইউটিউবার ফাহাম আব্দুস সালাম। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, ছাত্ররা যে রাজনৈতিক দল করছে – সেটা এক আশা জাগানিয়া […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:২৯

নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে পদত্যাগ করলেন নাহিদ ইসলাম। তার নেতৃত্বে গঠন করা হবে নতুন ছাত্র-রাজনৈতিক দল। এবার নাহিদের উদ্দেশে স্ট্যাটাস দিলেন বিশিষ্ট লেখক, রাজনীতিবিদ ও জনপ্রিয় ইউটিউবার ফাহাম আব্দুস সালাম।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, ছাত্ররা যে রাজনৈতিক দল করছে – সেটা এক আশা জাগানিয়া উদ্যোগ। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি এই ছেলেগুলোর জন্য- যারা জাতির ক্রান্তিলগ্নে আমাদের মন থেকে নৈরাশ্য দূর করেছিল। আমাদের তারা আশা দিয়েছিল।

নাহিদ যে পদত্যাগ করে নতুন দল লিড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে- এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।

দৈনিক সকাল পাঠকের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘ছাত্ররা যে রাজনৈতিক দল করছে – সেটা এক আশা জাগানিয়া উদ্যোগ। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি এই ছেলেগুলোর জন্য – যারা জাতির ক্রান্তিলগ্নে আমাদের মন থেকে নৈরাশ্য দূর করেছিল। আমাদের তারা আশা দিয়েছিল। নাহিদ যে পদত্যাগ করে নতুন দল লিড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে – এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।

আপনাদের এই পথ চলা হোক মিনিংফুল। এই জার্নিতে আপনারা অনেক বন্ধু হারাবেন, আনন্দ তো হারাবেনই – আল্লাহ না করুক – আশাও হয়তো হারাবেন। পৃথিবীতে এমন কোনো মিনিংফুল জার্নি নেই – যেখানে মানুষ আশাহত হয় না। কিন্তু ভয় পাবেন না। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখবেন। তিনি যদি ৫ আগস্ট পার করাতে পারেন – সামনে যা আসবে তিনিই পার করাবেন।

দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে একটা কথাই বলবো। বাংলাদেশে – নো ওয়ান ডাইজ এ ভার্জিন। লাইফ উইল ফাক য়ু। ডানে বামে আক্রমণ আর অবিশ্বাস থাকবে। এখানে মানুষ ভালোবাসার ট্যাক্স হিসেবে আগেই একটু ঘৃণা করে নেয় – সেফটি মেজার হিসেবে। প্রি -পেইড কার্ডের মতো। ঘৃণার ওপর এতো নিরঙ্কুশ আস্থা জগতে বিরল।

কিন্তু সততা ধরে রাখবেন। এই দেশের মানুষ, আপনাদের ভালোও বাসবে। শুধু সততার জন্য এই দেশের মানুষ ৬ খুন মাফ করে দেয়।

আপনাদের পুরা জীবন পড়ে আছে। এই দেশকে দেওয়ার অনেক কিছু আছে আপনাদের। একটা ছোট্ট পরামর্শ দিতে চাই। ৬ মাসে বুঝে যাওয়ার কথা। তবু বলি। এই দেশে টেস্ট অফ এ ম্যান এই না যে – ওয়াট য়ু ডু। এই দেশে সত্যিকারের পরীক্ষা হোলো – ওয়াট য়ু ডোন্ট লিসেন টু।

দুনিয়ার সকলের পরামর্শ শুনতে যাবেন না। যা রাইট – যা দরকারি – সেটাই করবেন। এই যে ছাগল-পাগলের কথা না শোনার ক্ষমতা – এটা আপনাদের বাড়াতে হবে।

শলা-পরামর্শ খুবই প্রয়োজনীয় কিন্তু ছাগলের সাথে শলা-পরামর্শে সমস্যা হলো যে, কেবল একটা বিষয়ই বারবার আসবে যে,

সর্বত্র কাঁঠাল গাছ লাগাতে হবে এবং কাঁঠাল পাতাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে। কাউকে ছাগল মনে হলে – নিজের বিবেচনা-বোধের ওপর আস্থা রাখুন – সন্দেহ পরে করুন। নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন না। গাট ফিলিংকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ট্রাস্ট করা শিখতে হবে।

শুধু মনে রাখবেন যে, ৭৫ বছরের নাহিদ যেন অপমানিত না হয় আপনার কাজে। খোদাতায়ালা আপনাদের পথচলা সহজ করে দিন।’