শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

আ.লীগের ডাকে সাড়া দেননি নেতাকর্মীরা

কথা ছিল বেলা ৩টার মধ্যে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে (নূর হোসেন চত্বর) নেতাকর্মীরা জড়ো হবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই ডাকে সাড়া দেননি দলীয় নেতাকর্মীরা। ঘর থেকে বের হননি সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের কর্মীরাও। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রথমবারের মতো এই কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। তবে সেখানে ছিল না কোনো মঞ্চ। দলীয় নির্দেশের পরও চোখে পড়েনি […]

নিউজ ডেস্ক

১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১

কথা ছিল বেলা ৩টার মধ্যে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে (নূর হোসেন চত্বর) নেতাকর্মীরা জড়ো হবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই ডাকে সাড়া দেননি দলীয় নেতাকর্মীরা। ঘর থেকে বের হননি সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের কর্মীরাও।

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রথমবারের মতো এই কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। তবে সেখানে ছিল না কোনো মঞ্চ। দলীয় নির্দেশের পরও চোখে পড়েনি কোনো পর্যায়ের একজন নেতাকর্মীও।

গত কয়েকদিন থেকে শহিদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’র দাবি জানিয়ে রোববার দলীয় নেতাকর্মীদের ঢাকার জিরো পয়েন্টে জমায়েত হওয়ার নির্দেশ দেয় আওয়ামী লীগ। দলটির মুখপত্র হিসাবে ব্যবহূত ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে জিরো পয়েন্টে উপস্থিত হতেও দেখা যায়নি। দিনভর সেখানে আওয়ামী লীগের একটি প্ল্যাকার্ডও চোখে পড়েনি। কোথাও শোনা যায়নি তাদের দলীয় স্লোগান। তবে সকালে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন মিলে। কয়েক মিনিট মিছিল করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তারা।

এছাড়া দুপুরে জিরো পয়েন্টের পাশে পল্টনের দিকে ফাঁকা রাস্তায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন। পাশাপাশি গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ডে ব্যানার নিয়ে আরেকটি মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তবে এসব মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্ট কিংবা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সাহস করেননি।

গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা যায়, আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিহত করতে শনিবার রাত থেকেই জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। সারা রাত পাহারা বসিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।

রোববার সকাল থেকে জিরো পয়েন্ট ও এর আশপাশে আরও শক্ত অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অপরদিকে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থান নেয় বিএনপি, যুবদলসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন সতর্ক অবস্থানে। রোববার সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি জিরো পয়েন্টে একটি জলকামান এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে একটি জলকামান ও রায়ট কার মোতায়েন ছিল। সচিবালয়সহ পুরো এলাকা টহল দিতে দেখা গেছে বিজিবি সদস্যদের।

আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৪ জনকে পুলিশে সোপর্দ: শহিদ নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করছেন বিএনপির নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতা। রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৪ জনকে মারধর করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্র-জনতা।

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”