ভারতে অবস্থান করা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত টিম আগামী ৮ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার (০৭ মে) দুপুরে দুদক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি অফিসিয়াল চিঠি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় সুধাসদনের ঠিকানায় প্রেরণ করা হয়েছে। তলবি চিঠিতে তাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,
“এই মামলায় তিনি একজন অভিযুক্ত এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি না হলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারাবেন।”
তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিমানবন্দর উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চারটি বৃহৎ প্রকল্পে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকী, সাবেক বিমান সচিব মুহিবুল হক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মুফিদুর রহমানসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
দুদক বলছে, এই প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ এবং ব্যয় নির্বিশেষে উচ্চমূল্য নির্ধারণ, বেনামি কনসালট্যান্ট নিয়োগ, এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থ লোপাট করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সময়কালের এই প্রকল্পগুলোর তদন্ত এখন চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে, যেখানে গত কয়েক সপ্তাহে তিনি ভারতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে বাংলাদেশের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার ঘটনাটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?