বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন আমরা চাই না তারা কারো দয়ার পাত্র হয়ে থাক। তারা সুস্থ হয়ে নিজেরাই কাজ করে খাবেন। আয়বর্ধনমূলক কিছু করুক, তাদের একটা পুনর্বাসন হোক। আমরা তাদের সম্মানের অনেক উঁচু জায়গায় দেখতে চাই। তারা আমাদের জাতীয় বীর।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে সাভারের সিআরপিতে গুলিবিদ্ধ চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের নির্বিচার গুলিতে আহতদের ৫৭ জন বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপিতে। এদের মধ্যে স্পাইনাল কর্ডে গুলিবিদ্ধ ছয়জন রোগীর অবস্থা গুরুতর।
জামায়াতে ইসলামীর আমির চিকিৎসাধীন রোগীদের শয্যাপাশে যান এবং তাদের চিকিৎসাসহ পরিবারের খোঁজ নেন।
পরে সিআরপির রেডওয়ে হলে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, আমরা চাই না দেশের জন্য যারা এত বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তারা কারো দয়ার পাত্র হয়ে থাকুক।
সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ এবং আহতদের পাশে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ও ঢাকা জেলা উত্তরের আমির মাওলানা আফজাল হোসেন, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রউফ, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা শাহাদাত হোসেন, রাজনৈতিক সেক্রেটারি হাসান মাহবুব মাস্টার, আইন ও মানবাধিকার সেক্রেটারি এডভোকেট শহীদুল ইসলাম, জেলা প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান, প্রকাশনা সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ, তারবিয়াত সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. তৌহিদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সেক্রেটারি লুতফর রহমান, সাভার পৌর আমীর আজিজুর রহমান, ধামরাই উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল হালিম, সাভার থানা আমীর আব্দুল কাদেরসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।