রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় কারাগারে বন্দি থাকা জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টা ৪০মিনিটে তারা জেলা কারাগার থেকে বের হন বলে নিশ্চিত করেছেন কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) হাসান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
জামিনে মুক্তি পাওয়া তিন নেতা হলেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার (৭৫), রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান (৫৯) এবং গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী (৬০)।
জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে গত ২ অক্টোবর শাহিন ফকির নামে একজন বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। ওই মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফকীর আব্দুল জব্বারকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তাকে আদালতে পাঠানো হলে তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। তবে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলার আসামি রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান ও গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মুন্সী গত ৯ মার্চ সকালে রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ জান্নাতুন লিলিফা আকতার জা তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপর থেকে আওয়ামী লীগের এই তিন নেতা জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। তারা তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিসকেস দায়ের করেন।
গত রবিবার (২৩ মার্চ) শুনানি শেষে রাজবাড়ীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে তারা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?