গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তারসহ রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, ধর্ষণের বিচারে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং একাধিক রাজনৈতিক ও নীতিগত দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলবে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক […]
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তারসহ রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, ধর্ষণের বিচারে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং একাধিক রাজনৈতিক ও নীতিগত দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলবে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
হাদী তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৪ বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, গোপন নির্যাতন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, আল্লামা সাঈদীকে চিকিৎসার নামে হত্যা করা হয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ধরনের দমন-পীড়নের পেছনে যে চক্র সক্রিয়, তার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহবাগ। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় নেতা ও আলেমদের এমনভাবে কোণঠাসা করা হয়েছে যে, তারা যখন কোনো দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ান, তখনই তাদের ‘উগ্রবাদী’ বলে প্রচার চালানো হয়। অথচ আমরা যখন সচিবালয় কিংবা অন্যান্য জায়গায় প্রতিবাদ জানাই, কেউ বলতে পারবে না যে আমরা পুলিশের গায়ে হাত তুলেছি।
ইনকিলাব মঞ্চ তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে— ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা এবং মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া; দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা; লাকী আক্তারসহ ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের কুশীলবদের গ্রেপ্তার করে তাদের ষড়যন্ত্র উন্মোচিত করা; জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শাপলা চত্বর ও অন্যান্য গণহত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করা; এবং জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।
মানববন্ধনে হাদী বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো উসকানি ছাড়া শাহবাগের এক কর্মী লাঠি নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ কমিশনার মামুনকে উপর্যুপরি আঘাত করেছে। এরপর সাত-আটজন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালিয়েছে। কেউ বলতে পারবে যে, গতকাল পুলিশের হাতে লাঠি ছিল? তিনি আরও বলেন, শাহবাগের কর্মীরা ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে গেছে, কিন্তু সেখানে গিয়ে স্লোগান দিয়েছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে শাহবাগের কর্মীদের ব্যবহার করছে এবং নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে।
তিনি বলেন, যদি আমরা শাহবাগের মতো হিংস্র মনোভাব নিয়ে চলতাম, তাহলে শাহবাগের কর্মীদের আমরা শাহবাগে লটকিয়ে রাখতাম।
কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিকভাবে বিচার চাই, প্রতিশোধ নয়। হাদী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, লাকী আক্তারসহ শাহবাগ আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত এক হাজার অভিযোগ রয়েছে। অথচ এই লাকী এখনও রাস্তায় মিছিল করছে, যা জনগণের সঙ্গে উপহাস। তিনি বলেন, আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে এবং কঠোর বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেদ বলেন, শাহবাগের পুরনো চক্র আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যা জনগণের জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, যারা একসময় আলেমদের নির্যাতনে নেতৃত্ব দিয়েছিল, আজ তারা আবারও রাস্তায় নেমেছে। তারা যদি মনে করে যে, ২০১৩ সালের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা আক্তার ঝুমা বলেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমেছে, সরকারও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু যারা একসময় বিচার চেয়ে ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেছিল এবং নিরপরাধ মানুষকে হত্যার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছিল, তারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ আন্দোলন ন্যায়ের দাবিতে গড়ে ওঠার কথা ছিল, তা আজ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, লাকী আক্তারদের কার্যক্রম প্রমাণ করে যে, তাদের রাজনৈতিক পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ আসলে দেশের বাইরে, বিশেষ করে ভারতের হাতে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড আমরা সফল হতে দেব না এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের, এই লাকী আক্তারদের ঘুড়ি বাংলার আকাশে কিন্তু নাটাই ভারতের হাতে। তাদের এই উদ্দেশ্য আমরা বেঁচে থাকতে সফল হতে দিব না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?
গণজাগরণ মঞ্চের লাকীকে গ্রেপ্তারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চ
Published on: 12 March, 2025
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তারসহ রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, ধর্ষণের বিচারে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং একাধিক রাজনৈতিক ও নীতিগত দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলবে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
হাদী তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৪ বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, গোপন নির্যাতন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, আল্লামা সাঈদীকে চিকিৎসার নামে হত্যা করা হয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ধরনের দমন-পীড়নের পেছনে যে চক্র সক্রিয়, তার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহবাগ। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় নেতা ও আলেমদের এমনভাবে কোণঠাসা করা হয়েছে যে, তারা যখন কোনো দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ান, তখনই তাদের ‘উগ্রবাদী’ বলে প্রচার চালানো হয়। অথচ আমরা যখন সচিবালয় কিংবা অন্যান্য জায়গায় প্রতিবাদ জানাই, কেউ বলতে পারবে না যে আমরা পুলিশের গায়ে হাত তুলেছি।
ইনকিলাব মঞ্চ তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে— ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা এবং মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া; দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা; লাকী আক্তারসহ ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের কুশীলবদের গ্রেপ্তার করে তাদের ষড়যন্ত্র উন্মোচিত করা; জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শাপলা চত্বর ও অন্যান্য গণহত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করা; এবং জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।
মানববন্ধনে হাদী বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো উসকানি ছাড়া শাহবাগের এক কর্মী লাঠি নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ কমিশনার মামুনকে উপর্যুপরি আঘাত করেছে। এরপর সাত-আটজন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালিয়েছে। কেউ বলতে পারবে যে, গতকাল পুলিশের হাতে লাঠি ছিল? তিনি আরও বলেন, শাহবাগের কর্মীরা ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে গেছে, কিন্তু সেখানে গিয়ে স্লোগান দিয়েছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে শাহবাগের কর্মীদের ব্যবহার করছে এবং নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে।
তিনি বলেন, যদি আমরা শাহবাগের মতো হিংস্র মনোভাব নিয়ে চলতাম, তাহলে শাহবাগের কর্মীদের আমরা শাহবাগে লটকিয়ে রাখতাম।
কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিকভাবে বিচার চাই, প্রতিশোধ নয়। হাদী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, লাকী আক্তারসহ শাহবাগ আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত এক হাজার অভিযোগ রয়েছে। অথচ এই লাকী এখনও রাস্তায় মিছিল করছে, যা জনগণের সঙ্গে উপহাস। তিনি বলেন, আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে এবং কঠোর বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেদ বলেন, শাহবাগের পুরনো চক্র আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যা জনগণের জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, যারা একসময় আলেমদের নির্যাতনে নেতৃত্ব দিয়েছিল, আজ তারা আবারও রাস্তায় নেমেছে। তারা যদি মনে করে যে, ২০১৩ সালের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা আক্তার ঝুমা বলেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমেছে, সরকারও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু যারা একসময় বিচার চেয়ে ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেছিল এবং নিরপরাধ মানুষকে হত্যার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছিল, তারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ আন্দোলন ন্যায়ের দাবিতে গড়ে ওঠার কথা ছিল, তা আজ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, লাকী আক্তারদের কার্যক্রম প্রমাণ করে যে, তাদের রাজনৈতিক পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ আসলে দেশের বাইরে, বিশেষ করে ভারতের হাতে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড আমরা সফল হতে দেব না এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের, এই লাকী আক্তারদের ঘুড়ি বাংলার আকাশে কিন্তু নাটাই ভারতের হাতে। তাদের এই উদ্দেশ্য আমরা বেঁচে থাকতে সফল হতে দিব না।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।
দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।
আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।
গণজাগরণ মঞ্চের লাকীকে গ্রেপ্তারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চ
Published on: 12 March, 2025
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তারসহ রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, ধর্ষণের বিচারে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং একাধিক রাজনৈতিক ও নীতিগত দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলবে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
হাদী তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৪ বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, গোপন নির্যাতন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, আল্লামা সাঈদীকে চিকিৎসার নামে হত্যা করা হয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ধরনের দমন-পীড়নের পেছনে যে চক্র সক্রিয়, তার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহবাগ। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় নেতা ও আলেমদের এমনভাবে কোণঠাসা করা হয়েছে যে, তারা যখন কোনো দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ান, তখনই তাদের ‘উগ্রবাদী’ বলে প্রচার চালানো হয়। অথচ আমরা যখন সচিবালয় কিংবা অন্যান্য জায়গায় প্রতিবাদ জানাই, কেউ বলতে পারবে না যে আমরা পুলিশের গায়ে হাত তুলেছি।
ইনকিলাব মঞ্চ তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে— ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা এবং মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া; দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা; লাকী আক্তারসহ ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের কুশীলবদের গ্রেপ্তার করে তাদের ষড়যন্ত্র উন্মোচিত করা; জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শাপলা চত্বর ও অন্যান্য গণহত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করা; এবং জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।
মানববন্ধনে হাদী বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো উসকানি ছাড়া শাহবাগের এক কর্মী লাঠি নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ কমিশনার মামুনকে উপর্যুপরি আঘাত করেছে। এরপর সাত-আটজন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালিয়েছে। কেউ বলতে পারবে যে, গতকাল পুলিশের হাতে লাঠি ছিল? তিনি আরও বলেন, শাহবাগের কর্মীরা ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে গেছে, কিন্তু সেখানে গিয়ে স্লোগান দিয়েছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে শাহবাগের কর্মীদের ব্যবহার করছে এবং নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে।
তিনি বলেন, যদি আমরা শাহবাগের মতো হিংস্র মনোভাব নিয়ে চলতাম, তাহলে শাহবাগের কর্মীদের আমরা শাহবাগে লটকিয়ে রাখতাম।
কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিকভাবে বিচার চাই, প্রতিশোধ নয়। হাদী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, লাকী আক্তারসহ শাহবাগ আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত এক হাজার অভিযোগ রয়েছে। অথচ এই লাকী এখনও রাস্তায় মিছিল করছে, যা জনগণের সঙ্গে উপহাস। তিনি বলেন, আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে এবং কঠোর বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেদ বলেন, শাহবাগের পুরনো চক্র আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যা জনগণের জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, যারা একসময় আলেমদের নির্যাতনে নেতৃত্ব দিয়েছিল, আজ তারা আবারও রাস্তায় নেমেছে। তারা যদি মনে করে যে, ২০১৩ সালের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা আক্তার ঝুমা বলেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমেছে, সরকারও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু যারা একসময় বিচার চেয়ে ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেছিল এবং নিরপরাধ মানুষকে হত্যার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছিল, তারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ আন্দোলন ন্যায়ের দাবিতে গড়ে ওঠার কথা ছিল, তা আজ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, লাকী আক্তারদের কার্যক্রম প্রমাণ করে যে, তাদের রাজনৈতিক পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ আসলে দেশের বাইরে, বিশেষ করে ভারতের হাতে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড আমরা সফল হতে দেব না এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের, এই লাকী আক্তারদের ঘুড়ি বাংলার আকাশে কিন্তু নাটাই ভারতের হাতে। তাদের এই উদ্দেশ্য আমরা বেঁচে থাকতে সফল হতে দিব না।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই
নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।
এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।
এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা
শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?
গণজাগরণ মঞ্চের লাকীকে গ্রেপ্তারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চ
Published on: 12 March, 2025
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তারসহ রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, ধর্ষণের বিচারে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং একাধিক রাজনৈতিক ও নীতিগত দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলবে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
হাদী তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৪ বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, গোপন নির্যাতন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, আল্লামা সাঈদীকে চিকিৎসার নামে হত্যা করা হয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ধরনের দমন-পীড়নের পেছনে যে চক্র সক্রিয়, তার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহবাগ। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় নেতা ও আলেমদের এমনভাবে কোণঠাসা করা হয়েছে যে, তারা যখন কোনো দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ান, তখনই তাদের ‘উগ্রবাদী’ বলে প্রচার চালানো হয়। অথচ আমরা যখন সচিবালয় কিংবা অন্যান্য জায়গায় প্রতিবাদ জানাই, কেউ বলতে পারবে না যে আমরা পুলিশের গায়ে হাত তুলেছি।
ইনকিলাব মঞ্চ তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে— ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা এবং মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া; দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা; লাকী আক্তারসহ ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের কুশীলবদের গ্রেপ্তার করে তাদের ষড়যন্ত্র উন্মোচিত করা; জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শাপলা চত্বর ও অন্যান্য গণহত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করা; এবং জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।
মানববন্ধনে হাদী বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো উসকানি ছাড়া শাহবাগের এক কর্মী লাঠি নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ কমিশনার মামুনকে উপর্যুপরি আঘাত করেছে। এরপর সাত-আটজন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালিয়েছে। কেউ বলতে পারবে যে, গতকাল পুলিশের হাতে লাঠি ছিল? তিনি আরও বলেন, শাহবাগের কর্মীরা ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে গেছে, কিন্তু সেখানে গিয়ে স্লোগান দিয়েছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে শাহবাগের কর্মীদের ব্যবহার করছে এবং নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে।
তিনি বলেন, যদি আমরা শাহবাগের মতো হিংস্র মনোভাব নিয়ে চলতাম, তাহলে শাহবাগের কর্মীদের আমরা শাহবাগে লটকিয়ে রাখতাম।
কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিকভাবে বিচার চাই, প্রতিশোধ নয়। হাদী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, লাকী আক্তারসহ শাহবাগ আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত এক হাজার অভিযোগ রয়েছে। অথচ এই লাকী এখনও রাস্তায় মিছিল করছে, যা জনগণের সঙ্গে উপহাস। তিনি বলেন, আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে এবং কঠোর বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেদ বলেন, শাহবাগের পুরনো চক্র আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যা জনগণের জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, যারা একসময় আলেমদের নির্যাতনে নেতৃত্ব দিয়েছিল, আজ তারা আবারও রাস্তায় নেমেছে। তারা যদি মনে করে যে, ২০১৩ সালের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা আক্তার ঝুমা বলেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমেছে, সরকারও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু যারা একসময় বিচার চেয়ে ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেছিল এবং নিরপরাধ মানুষকে হত্যার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছিল, তারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ আন্দোলন ন্যায়ের দাবিতে গড়ে ওঠার কথা ছিল, তা আজ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, লাকী আক্তারদের কার্যক্রম প্রমাণ করে যে, তাদের রাজনৈতিক পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ আসলে দেশের বাইরে, বিশেষ করে ভারতের হাতে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড আমরা সফল হতে দেব না এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের, এই লাকী আক্তারদের ঘুড়ি বাংলার আকাশে কিন্তু নাটাই ভারতের হাতে। তাদের এই উদ্দেশ্য আমরা বেঁচে থাকতে সফল হতে দিব না।
শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]
শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।
ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।
এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।
তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।
তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।
এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।
তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।
আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গণজাগরণ মঞ্চের লাকীকে গ্রেপ্তারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চ
Published on: 12 March, 2025
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তারসহ রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, ধর্ষণের বিচারে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং একাধিক রাজনৈতিক ও নীতিগত দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলবে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
হাদী তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৪ বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, গোপন নির্যাতন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, আল্লামা সাঈদীকে চিকিৎসার নামে হত্যা করা হয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ধরনের দমন-পীড়নের পেছনে যে চক্র সক্রিয়, তার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহবাগ। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় নেতা ও আলেমদের এমনভাবে কোণঠাসা করা হয়েছে যে, তারা যখন কোনো দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ান, তখনই তাদের ‘উগ্রবাদী’ বলে প্রচার চালানো হয়। অথচ আমরা যখন সচিবালয় কিংবা অন্যান্য জায়গায় প্রতিবাদ জানাই, কেউ বলতে পারবে না যে আমরা পুলিশের গায়ে হাত তুলেছি।
ইনকিলাব মঞ্চ তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে— ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা এবং মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া; দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা; লাকী আক্তারসহ ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের কুশীলবদের গ্রেপ্তার করে তাদের ষড়যন্ত্র উন্মোচিত করা; জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শাপলা চত্বর ও অন্যান্য গণহত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করা; এবং জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।
মানববন্ধনে হাদী বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো উসকানি ছাড়া শাহবাগের এক কর্মী লাঠি নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ কমিশনার মামুনকে উপর্যুপরি আঘাত করেছে। এরপর সাত-আটজন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালিয়েছে। কেউ বলতে পারবে যে, গতকাল পুলিশের হাতে লাঠি ছিল? তিনি আরও বলেন, শাহবাগের কর্মীরা ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে গেছে, কিন্তু সেখানে গিয়ে স্লোগান দিয়েছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে শাহবাগের কর্মীদের ব্যবহার করছে এবং নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে।
তিনি বলেন, যদি আমরা শাহবাগের মতো হিংস্র মনোভাব নিয়ে চলতাম, তাহলে শাহবাগের কর্মীদের আমরা শাহবাগে লটকিয়ে রাখতাম।
কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিকভাবে বিচার চাই, প্রতিশোধ নয়। হাদী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, লাকী আক্তারসহ শাহবাগ আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত এক হাজার অভিযোগ রয়েছে। অথচ এই লাকী এখনও রাস্তায় মিছিল করছে, যা জনগণের সঙ্গে উপহাস। তিনি বলেন, আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে এবং কঠোর বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেদ বলেন, শাহবাগের পুরনো চক্র আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যা জনগণের জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, যারা একসময় আলেমদের নির্যাতনে নেতৃত্ব দিয়েছিল, আজ তারা আবারও রাস্তায় নেমেছে। তারা যদি মনে করে যে, ২০১৩ সালের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা আক্তার ঝুমা বলেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমেছে, সরকারও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু যারা একসময় বিচার চেয়ে ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেছিল এবং নিরপরাধ মানুষকে হত্যার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছিল, তারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ আন্দোলন ন্যায়ের দাবিতে গড়ে ওঠার কথা ছিল, তা আজ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, লাকী আক্তারদের কার্যক্রম প্রমাণ করে যে, তাদের রাজনৈতিক পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ আসলে দেশের বাইরে, বিশেষ করে ভারতের হাতে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড আমরা সফল হতে দেব না এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের, এই লাকী আক্তারদের ঘুড়ি বাংলার আকাশে কিন্তু নাটাই ভারতের হাতে। তাদের এই উদ্দেশ্য আমরা বেঁচে থাকতে সফল হতে দিব না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?
সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ রাজধানী ঢাকা থেকে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে আটক…
আলমগীর চৌধুরী রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী সহ ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত জেলার সদর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর…
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য নুশরাত জাহান দোলনা, যিনি দোলনা আক্তার নামেও পরিচিত, তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মিলিত বেসরকারি…