ওলামা লীগের ঝালকাঠি জেলার সাবেক সদস্যসচিব কারি মো. নেয়ামত উল্লাহ এবার জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের জেলা কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে ঘোষিত ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে তার নাম আসার পরপরই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
নেয়ামত উল্লাহ পেশায় ব্যবসায়ী এবং ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া নতুন বন্দরের পরিচিত মুখ। তিনি পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্থানীয়দের অভিযোগ, অতীতে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এমন অনেকে এখন নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এই পরিস্থিতিতে দলীয় অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে, যা দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সাইদুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, “কমিটি গঠনের আগে উপজেলাগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই কেন্দ্রের কাছে নামের তালিকা পাঠানো হয় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে নেয়ামত উল্লাহর নাম কিভাবে কমিটিতে ঢুকল, তা আমি নিজেও জানি না। বিষয়টি দলের নীতির সঙ্গে যায় না। আমরা তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি।”
স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ তুলেছেন, সরকারের পরিবর্তনের পর বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনে ছদ্মবেশে ঢুকতে চাইছেন আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টরা। অনেকে সরাসরি বিএনপির রাজনীতিতে আসার পরিবর্তে সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছেন। এ বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন যে, অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকানো হবে, কিন্তু স্থানীয় নেতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
এ নিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবীন বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী বা অনুপ্রবেশকারী কেউই বিএনপিতে জায়গা পাবে না। যদি এমন অভিযোগ আসে, তাহলে আমরা তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।”
বিএনপির অভ্যন্তরে এ ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, যদি দলীয় নীতির কঠোর বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে দলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?