দেশের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান তরুণদের হাত ধরেই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতন কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা ঘটেনি, বরং তরুণ প্রজন্মই এই পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি ছিল।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পিআইবিতে আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে বিশেষ এক রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমাদের বুড়ো নেতৃত্ব যেটা পারেনি, তরুণদের নেতৃত্ব সেটাই করে দেখিয়েছে। বারবার বড় বড় মিছিল হয়েছে নয়াপল্টনের সামনে, কিন্তু ফল আসেনি। আমাদের অপেক্ষা করতে হলো নাহিদ, আসিফ, মাহফুজদের জন্য, যারা সত্যিকারের নেতৃত্ব দিতে পেরেছে।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, “দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো আপ্রাণ চেষ্টা করেও শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে পারেনি। কিন্তু তরুণরা তা সম্ভব করেছে। বৈষম্যহীন দেশ গঠনের জন্য তরুণদের উজ্জীবিত রাখা জরুরি। তাদের শক্তি, তাদের সাহসই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, দেশের পুনর্গঠনের কাজ শুধু নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং নতুন রাষ্ট্র গঠনের জন্য আরও গভীর সংস্কারের প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, “গুম, নিপীড়ন, আয়নাঘরের উৎপত্তি শেখ মুজিবের শাসনামলেই হয়েছে। শেখ হাসিনা সেই একনায়কতন্ত্রকেই প্রতিষ্ঠিত করেন। দেড় দশক ধরে অত্যাচার ও নিপীড়নের যে তথ্য সংরক্ষিত হয়েছে, তা এখন জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রকেই ধ্বংস করেননি, বরং দেশের জনগণের মনোজগতিক কাঠামোকেও বিপর্যস্ত করে গেছেন। তাই এই জাতিকে পুনর্গঠন একটি বিশাল প্রকল্প। এটি কেবল নির্বাচন বা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং সামগ্রিকভাবে সমাজব্যবস্থার পুনর্গঠন প্রয়োজন।”
এই আলোচনা অনুষ্ঠানটি তরুণদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে গভীর আলোচনা করেছে। বক্তারা সবাই একমত হন যে, নতুন বাংলাদেশ গঠনের চাবিকাঠি তরুণদের হাতেই রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?