বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জাতিসংঘ শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘খুনি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বসভা তার বিরুদ্ধে এই উপাধি দিয়েছে, এবং এখন তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। যারা বিগত সময়ে গুম ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবার থেকে ইতোমধ্যে মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় হাসিনার উপযুক্ত বিচার হবে। তার মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা গণহত্যা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাই আওয়ামী লীগ এবং তাদের কর্মীরা এই অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পেতে পারে না।
রোববার বিকেলে ফেনী শহরের মিজান ময়দানে বিএনপির আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই দাবি বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোরও রয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর একাধিকবার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, কিন্তু এখন হাজার মাইল দূরে বসে আওয়ামী লীগ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস হত্যার ইতিহাস, বাকশালের ইতিহাস এবং পালানোর ইতিহাস বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের স্পষ্ট দাবি, আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। তারা ভবিষ্যতে রাজনীতি করতে পারবে কি না, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার আগে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। দ্রুত সংস্কার শেষ করুন। আমরা হিসাব করে দেখেছি সংস্কার শেষ করতে মে-জুনের বেশি সময় লাগে না। ইতোমধ্যে কোন কোন দল দাবি করছে, স্থানীয় সরকার ভোট আগে করতে হবে- তাদের উদ্দেশে বলব, ইউনিয়ন ভোট করতে এক বছরের বেশি লাগবে। এতে অনেক বিলম্ব হবে। আপনাদের মতলব কী? স্থানীয় সরকারের ভোট করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আর জাতীয় ভোট করবে অন্তর্বর্তী সরকার এটি সাংবিধানিক ম্যান্ডেট। সে মোতাবেক আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতি ও যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম-সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহসম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, সদস্য জালাল উদ্দীন মজুমদার,আবদুল লতিফ জনি, আবু তালেব, অ্যাড. মেজবাহ উদ্দিন খাঁন, অ্যাড. শাহানা আক্তার শানু, মশিউর রহমান বিপ্লব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল প্রমুখ।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?