সাংবাদিক ও গবেষক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির সমালোচনা করে বলেছেন, এই তো গতবছরের জানুয়ারী মাসের কথা, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বেশ দৃঢ়তার সাথেই বলেছিলেন; ‘বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়’।
শুধু গত নির্বাচনই না, ২০১৪, ২০১৮ এর বিতর্কিত, একতরফা, রিগড নির্বাচনকেও ভারত স্বীকৃতি দেয় এবং একই ধরনের বিবৃতি দেয়। কখনোই দেশটি এসব পাতানো নির্বাচনের সমালোচনা করেনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই পাশ কাটিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, তাহলে যখন ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবর রহমানের বাসভবন দেশের ক্ষুব্ধ জনগণ গুঁড়িয়ে দেয়, তখন কেন তাদের মনে হয় বিষয়টি নিন্দনীয়? এ বিষয় বিবৃতি প্রদানেও তাদের কোন সংকোচ হয়না। আচ্ছা, তখন কি তাদের একবারের জন্যও মনে হয়না যে ধানমন্ডি ৩২ ঢাকায় অবস্থিত, দিল্লি’তে নয়।ওই নির্বাচনের মতো, এ বিষয়টিও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ?
এবং এর মাধ্যমে ভারত সরকার আবারো স্টাবলিশ করলো বাংলাদেশের জনগণের অধিকার নয়, আওয়ামী কাল্টই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময়ে নানা ইস্যু সামনে এসেছে, কিন্তু সম্প্রতি এক তীব্র বক্তব্য দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জুলকারনাইন সায়ের, যা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। তিনি ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে তার মন্তব্যে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—”ধানমন্ডি ৩২ ঢাকায় অবস্থিত, দিল্লি’তে নয়”।
তিনি বলেন, যখন ৩২ নম্বর বাড়ি, শেখ মুজিবর রহমানের বাসভবন, দেশের ক্ষুব্ধ জনগণ গুঁড়িয়ে দেয়, তখন কেন ভারত সরকার এ বিষয়ে কোনো নিন্দা প্রকাশ করে না? তার মতে, এই ঘটনাকে তারা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখেনি এবং এতে তাদের কোনো সংকোচও ছিল না।
তবে যখন বাংলাদেশে কোনো অন্য রাজনীতি বা কিছু ঘটলে, ভারত তা নিয়ে নাক গলাতে শুরু করে। সায়ের তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, “তাদের কি একবারও মনে হয়নি যে, ধানমন্ডি ৩২ ঢাকায় অবস্থিত, দিল্লি’তে নয়?” তার এই প্রশ্নটি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। সায়েরের মতে,
ভারতের সরকার আবারো প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলাদেশের জনগণের অধিকারকে প্রাধান্য দেয় না, বরং আওয়ামী কাল্ট তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এই বক্তব্যে ভারতকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের অধিকারকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?