শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

শেখ হাসিনা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করলে দায় ভারতের: মামুনুল হক

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আবারও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে তাহলে এর দায় ভারতকেও নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক। মঙ্গলবার রাতে দলটির রাজশাহীর গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে এই গণ-সমাবেশের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০২

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আবারও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে তাহলে এর দায় ভারতকেও নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক।

মঙ্গলবার রাতে দলটির রাজশাহীর গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে এই গণ-সমাবেশের আয়োজন করে খেলাফত মজলিসের জেলা শাখা।

মামুনুল হক বলেন, ‘আমরা করুণার পাত্র নই। যদি আমাদের করুণার পাত্র মনে করে থাকেন, ওপেন চ্যালেঞ্জ ঘোষণা দিলাম। আসুন, আমাদের মোকাবিলা করে দেখুন। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলি- এ দেশে আমরা ইসলাম নিয়ে বাঁচব। ইসলামের গৌরব নিয়ে বাঁচব।’

ইসলামের বিপক্ষের শক্তিই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২৫০ বছরের ইতিহাস প্রমাণ করে বাংলাদেশ এবং ইসলাম এক সূত্রে গাঁথা। যদি দেশে ইসলাম না থাকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। যারা ইসলামকে সহ্য করতে পারে না, তারাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি।’

নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছেন জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের প্রতি যারা পিরিত দেখাও মনে রেখো- এ দেশের মানুষ সহনশীল, কিন্তু দুর্বল নয়। শেখ হাসিনার গোড়া যেখানে, তসলিমা নাসরিনের গোড়াও সেখানে। তসলিমা নাসরিন আবার নতুন করে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা ভিনদেশী একটি শক্তি ছিনতাই করার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশে কোনো দল এ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার দাবি করেনি। কিন্তু আমরা দেখলাম, শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা ঘোষণা করে প্রকৃতপক্ষে বাহাত্তর সালেই বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বলি দিয়েছিলেন। এভাবে বাহাত্তরে একটি চেতনা দাঁড় করানো হয়েছে। সেই বাহাত্তরের চেতনাকেই একাত্তরের চেতনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। কিন্তু একাত্তরের চেতনা ছিল মুক্তির চেতনা। বাহাত্তরের চেতনা ছিল গোলামির চেতনা। বিগত ৫৩ বছর সেই দালালির চেতনাকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। সেই চেতনায় বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত তিন বছরেই ৩০ হাজার মায়ের মুখ খালি করা হয়েছে। আর তাই ক্ষোভ থেকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মতো এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে সংগঠিত ঘটেছিল।’

মামুনুল বলেন, ‘তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি প্রতিশোধ নেবেন। যে দেশের মানুষ তার বাবাকে হত্যা করেছে, তিনি সেই প্রতিশোধ নেবেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা রাজনীতিতে ফিরলেন। তার মূলনীতি ছিল দুটি। বিভাজন আর ষড়যন্ত্র। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি প্রতিশোধ নিয়েছেন। প্রতিশোধ গ্রহণ করেছেন তার দল আওয়ামী লীগ থেকেও।’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই আশ্চর্য হবেন, তিনি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কীভাবে প্রতিশোধ নিলেন। চিন্তা করলে দেখবেন, তিনি আওয়ামী লীগের কত বড় ক্ষতি করে গিয়েছেন। বিগত ১৫ বছরে অক্ষরে অক্ষরে তিনি এমন এক জায়গায় আওয়ামী লীগকে নিয়ে গেছেন, মানুষ আর আওয়ামী লীগের নাম মুখে উচ্চারণ করবে না। তিনি এমনভাবে আওয়ামী লীগকে ডুবিয়েছেন, কোনো আত্মমর্যাদাশীল মানুষ আর আওয়ামী লীগ করতে পারে না।’

মামুনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা কারও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেননি। তার নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে তিনি পালিয়েছেন। দেশের অবস্থা সম্পর্কে হাসিনার কাছে সব তথ্য ছিল। এইসব থাকার পরেও তিনি ৪ আগস্ট সন্ধ্যা বেলায় নেতাকর্মীদের জনগণের বুকে গুলি ছোঁড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জনগণের মুখোমুখি তাদের দাঁড় করিয়ে দিয়ে নিজে লাগেজ গুছিয়েছেন। ১৪টা লাগেজ বোঝাই করে হেলিকপ্টার নিয়ে তিনি চম্পট দিয়েছেন।’

সাম্প্রতিক উত্তেজনার জন্য শেখ হাসিনাকেই দায়ী করে মামুনুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা আরেক দেশের কোলে বসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উস্কানি দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলল। নতুন করে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলো এবং কিছু মানুষের ক্ষতি হলো এর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক মুফতি মুহাম্মদ আবুল বাশার। সমাবেশে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীনসহ অন্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৪৩৬

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

মোট ভোট: ১৪৩৭

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

মোট ভোট: ৪৩৫

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৫১