জনি আহমেদ (চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি):
৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য ভাইরাল নেতারা পালিয়ে যাওয়ার পরও দেশে দৃশ্যমান নেতারা আত্মগোপনে থাকলেও আতঙ্কে রয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে। সেই থেকেই গ্রেফতার অভিযান না চললেও দেশে নানা বিশৃঙ্খলার নিষ্পত্তি ঘটাতে নতুন করে শুরু হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। তারই অংশহিসেবে চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১০ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযান বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস বলেন, গত রবিবার থেকে শুরু করে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমন খবর নিশ্চিত করে তিনি আরও বলেন, শয়তান ধরার অভিযান অব্যহত থাকবে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ০৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহিদ,নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে সাঈদ আহম্মেদ উৎস(২৫),চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে শামসুজ্জামান (৪০), তিনি বাড়াদী ইউপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের ইখতার আলী মন্ডল ছেলে রেজাউল করিম (৩৭),তিনি ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, আলমডাঙ্গা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত বিশারত আলীর ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩৫), তিনি জামজামি ইউপি যুবলীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক।চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে হাসান আলী (৪৪), তিনি দামুড়হুদা ইউপির ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক।চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ড গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে রাশেদ মিয়া (৫০), তিনি আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (৩৩), তিনি নেহালপুর ইউপি যুবলীগের সহ-সম্পাদক। দর্শনা থানার কুন্দিপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন (৫৫), তিনি নেহালপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক। দর্শনা থানার ডিহি কৃষ্ণপুর গ্রামের রমজান মণ্ডলের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৪৬), তিনি নেহালপুর ইউপি আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস জানান, জেলার পাঁচটি থানায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় একদিনে ডেভিল হান্ট অভিযানে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?