ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, গত ৫৩ বছরে বিশেষ করে- ৭১ থেকে শুরু করে গঠিত সরকারে থাকা দলগুলো দেশের মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে পাশের (ভারত) রাষ্ট্রকে খুশি করেছে। গোপনে চুক্তি করা হয়েছে। ট্রানজিটের নামে করিডর দেওয়া হয়েছে। তাদের সুবিধার জন্য সব কিছু করা হয়েছে। আর এই কাজগুলো করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকালে কলাপাড়া পৌরশহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলা শাখা আয়োজিত এক সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন,‘ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে কোটা দূর করাসহ যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়ার দাবিতে ছাত্ররা যখন দুই হাত প্রসারিত করে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল, তখন পশুর মতো গুলি করা হয়েছে।
ছাত্ররা ন্যায্য দাবি আদায়ে যখন আওয়াজ তুলেছিল তখন কেউ সাহস করে পাশে দাঁড়ায়নি। একমাত্র একটি রাজনৈতিক দল সর্বপ্রথম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানার নিয়ে আমার নেতৃত্বে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।
বর্তমানে হিন্দুরা থেকে শুরু করে এমনকি তালতলীতে উপজাতিরা পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনের ব্যানারে কাজ করে যাচ্ছে।
বিগত সরকার পাঠ্য বইতে নাস্তিকের থিওরি অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমরা যখন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মাঠে-ময়দানে কাজ করেছি।
তখন ভারত থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
তাই একত্রিত হয়ে ইসলামের সুফল কী তা ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়ার জন্য ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
ছাত্রজনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার,দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত, তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি মুফতি মো হাবিবুর রহমান ইহকালীন-পরকালিন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অধিকাংশ বক্তারা আগামি সংসদ নির্বাচনে হাত পাখা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আহ্বান জানান। সমাবেশটি এক পর্যায়ে হাত পাখার নির্বাচনী সমাবেশে পরিণত হয়।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?