নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসলেও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের চাপটা অব্যাহত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে বর্তমান সরকার একটা কমিশন করেছে, তারা সুপারিশ করবে তবে এই সরকারের কাছে কতটা গৃহীত হবে আমি জানি না। আমাদের দেশে নির্বাচন তো হবেই, হতে হবে কারণ নির্বাচনের জন্যই আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা আসবে আমাদের এই চাপটা অব্যাহত রাখতে হবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এত বড় একটা লড়াই হয়েছে, গত ১৫-১৬ বছর ধরে আমরা অব্যাহত লড়াই করেছি। অসং্খ্য মানুষ গুম, খুন হয়েছে, এই জুলাই মাসেও অসংখ্য মানুষ গুম-খুন হয়েছে, তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে যে সমাজ, সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, যে সরকার আছে তাদের দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে।
তাদের কাছ থেকে আমাদের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য দাবি আদায় করতে হবে। একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, এই লড়াইটাকে বিপদগামী করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র আছে, হতে পারে, আমাদের সচেতনভাবে সেটা মোকাবিলা করতে হবে। করে সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের বিজয়ী হতে হবে।
এই দেশের শ্রমজীবী মানুষ বার বার প্রত্যেকটা আন্দোলনে, প্রত্যকটা সংগ্রামে, প্রত্যেকটা লড়াইয়ে জীবন দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ভাষা আন্দোলন বলেন, ৬২ এর ছাত্র আন্দোলন বলেন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান বলেন, ৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ বলেন, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থান বলেন, এমন কি অতি সাম্প্রতিক জুলাই ছাত্র-শ্রমিক গণঅভ্যুত্থান বলেন প্রত্যেকটা লড়াইয়ে শ্রমজীবী মানুষ জীবন দিয়েছে।
বিভিন্ন আন্দোলনে শ্রমিকদের জীবনদান মহিমান্বিত হয় নাই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা যারা তাদের প্রতিনিধিত্ব করি, আমরা সেটা অর্জন করতে পারি নাই। আমরা শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের অবদান নিয়ে একটা বই প্রকাশ করেছিলাম, সবাইকে অনুরোধ করবো, প্রত্যেকটা আন্দোলনে শ্রমজীবী যে মানুষদের যে অবদান ছিলো সেটাও ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা উচিত আমাদের। এই দেশের শ্রমজীবী মানুষ শুধু সম্পদ উৎপাদন করে না, প্রত্যেকটা বিজয়ে, লড়াইয়ে তারা অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে, লড়াই করেছে।
জাতীয় কনভেনশনে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন সহ স্কপের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এইসময় বক্তব্য রাখেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?