বিরোধী দল বিএনপি দেশব্যাপী ১৪ দিনব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য সরকারবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগবান করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে চাপ সৃষ্টি করা।
বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
একজন সিনিয়র নেতা বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরা হবে। সরকারবিরোধী আন্দোলনকে আরও সুসংগঠিত করতেই আমাদের এই উদ্যোগ।”
বিএনপির ঘোষিত ১৪ দিনের কর্মসূচির মধ্যে থাকছে:
বিক্ষোভ সমাবেশ – দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ আয়োজন
মানববন্ধন ও পদযাত্রা – জনগণকে সম্পৃক্ত করতে রাস্তায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন
সংবাদ সম্মেলন – জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বক্তব্য উপস্থাপন
বিএনপির এই ঘোষণার পর সরকারের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা একে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির কৌশল হিসেবে দেখছেন।
একজন মন্ত্রী বলেন, “বিএনপি সব সময়ই দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছি, যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়।”
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তবে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে। এখন রাজনৈতিক মহলের দৃষ্টি থাকবে, বিএনপির এই কর্মসূচি কতটা সফল হয় এবং সরকার কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?