দেশের বিনোদন অঙ্গনে নতুন এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মোজাম্মেল হক। জনপ্রিয় নায়িকাদের ভিডিও কলের মাধ্যমে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। একাধিক নায়িকা অভিযোগ করেছেন, মোজাম্মেল হক তাদের অযাচিত সময়ে ভিডিও কল দিতেন এবং আপত্তিকর আচরণ করতেন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, মোজাম্মেল হক বারবার নায়িকাদের ব্যক্তিগত নম্বরে ভিডিও কল করতেন। অনেকেই প্রথমে বিষয়টিকে এড়িয়ে গেলেও ধীরে ধীরে এটি তাদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কয়েকজন নায়িকা গণমাধ্যমে জানান, শুরুতে তিনি সাধারণ কথা বললেও পরে তার আচরণ সন্দেহজনক হয়ে ওঠে।
একজন শীর্ষস্থানীয় নায়িকা অভিনেত্রীকে, ভিডিও কলে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিনেত্রীর দাবি, মোজাম্মেল হক তাকে একাধিকবার ভিডিও কলে বিরক্ত করতেন এবং আপত্তিকর মন্তব্য করতেন।
“প্রথমে আমি ভাবছিলাম, হয়তো ভুল করে কল দিয়েছেন। কিন্তু যখন বারবার এমন হতে থাকলো এবং আমার ব্যক্তিগত বিষয় জানতে চাওয়া হলো, তখন বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, তিনি দেশের স্বার্থে মোজাম্মেল হকের প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তবে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “তখন যদি আমি একটু গল্প করতাম, তাহলে আমিও কোটিপতি হয়ে যেতাম।”
শুধু অভিনেত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগই নয়, মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের রাজনৈতিক উপন্যাস দেওয়াল-এর ৮৫-৮৬ পৃষ্ঠায় তার নামে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যেখানে নববিবাহিত এক দম্পতিকে তুলে নিয়ে স্বামীকে হত্যা ও স্ত্রীকে ধর্ষণের পর লাশ ফেলে দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, একাত্তরের পরও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন মোজাম্মেল হক। মুক্তিযুদ্ধ-সংশ্লিষ্ট পদে থেকে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?