ধানমন্ডি ৩২-এ আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে বিএনপি নেতাকে গণপিটুনি দিল ছাত্র-জনতা
ধানমন্ডি-৩২ নম্বর এলাকায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ভেবে ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়েছেন এক বিএনপি নেতা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় আক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারধরের শিকার হন, যিনি নিজেকে স্থানীয় বিএনপির সদস্য বলে দাবি করেন।
আক্তার হোসেনের বাড়ি ফিরোজপুরে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, হঠাৎ একজন ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে চিৎকার দিলে আশপাশের কয়েকজন তাকে চিহ্নিত করে ধরার নির্দেশ দেয়। মুহূর্তেই গুজব ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ছাত্র-জনতা তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী ভেবে মারধর শুরু করে।
পরে, আক্তার হোসেন তার পরিচয় প্রকাশ করলে ছাত্র-জনতার মধ্য থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
এই ঘটনাটি বর্তমান রাজনৈতিক উত্তেজনার আরেকটি নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্দোলনের মাঠে বিভ্রান্তি ও সন্দেহজনিত সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে, যা যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আক্তার হোসেন নামের ওই ব্যক্তিকে কয়েকজন ঘিরে রয়েছেন। এ সময় তিনি দাবি করে বলেন, ‘আপনাদের মত ৫ আগস্টের আন্দোলনে আমিও ছিলাম, যদি এখানে আওয়ামী লীগের কোনও লোকও আসে তাহলে কি তাকে এভাবে মারধর করবেন।’
এর আগে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টার দিকে বুলডোজার দিয়ে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙ্গা শুরু করা হয়। পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যা থেকেই শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর অভিমুখে ছাত্র-জনতার জমায়েত শুরু হয়। রাত ৮টার পর থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটির মূল ফটক, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য, মুর্যাল, দরজা জানালাসহ অনেক কিছুই ভাঙ্গা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে থাকেন। প্রতিবাদকারীরা ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ফ্যাসিবাদের আস্তানা’—এমন নানা স্লোগানে এলাকাকে মুখরিত করে তোলেন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?