দীর্ঘ ১৭ বছরের রেজিমের পর দেশ আজ স্বৈরাচারমুক্ত। পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের, স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে সাধারণ জনগণ। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে একাট্টা হয়েছিল দলমত নির্বিশেষে সবাই। বিএনপির মতো দেশপ্রেমিক একটি দল বাংলাদেশে এই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তবে বিএনপিকে যারা ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন, এটার পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না। বরং দেশটাকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবেন।’
নতুন করে কখনো হবে কিনা আমি জানি না। যদি হয়, স্বাগত জানাবো। অনেকে বলেন নতুন একটি দল হচ্ছে, আর বিএনপি নাকি জেলাস করছে। এই কথা যারা বলেন তারা জাতির শত্রু।
সম্প্রতি তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টকে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসীকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বিএনপি ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছে। এখানে যারা আছেন, আমাদের রিজভীসহ, রিজভী তো পঙ্গুই হয়ে গেছে। আপনারা দেখেছেন যে ওকে অকালে বৃদ্ধ করে ফেলা হয়েছে।’ এসময় নিজের পরিবারের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার নিজের পরিবারের কথা যদি আমি বলি, আমার জেল হয়েছে ১১ বছর, আমার স্ত্রীর জেল হয়েছে ১৬ বছর, আমার ছোট ভাই আট বছর পর জেল থেকে বের হয়েছে। ১৭ বছর প্রবাসে থেকে আজকে বাংলাদেশে ফেরত এসেছে, আলহামদুলিল্লাহ।’
এসময় তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘প্রিয় ভাইয়েরা, এই নিপীড়ন শুধু আমার পরিবার নয় বরং বাংলাদেশের প্রতিটি বিএনপির নেতাকর্মীর উপর হয়েছে। আজকে আমাদেরকে ঠেলে দিতে যাচ্ছেন অন্য শিবিরে। উদ্দেশ্যটা কি? আওয়ামী লীগের সিল মারতে চান আমাদেরকে? ভারতের দালাল বানাতে চান? এই কথা কখনো চিন্তা করবেন না।’
ব্লগারদের নিয়ে আব্বাস বলেন, ‘অনেকে বলেন যে বিএনপি শুধু নির্বাচন নির্বাচন করে। আরে ভাই, নির্বাচন নির্বাচন করি না। খামাখা এই সমস্ত আজেবাজে কথা আপনারা বইলেন না। কিছু কিছু আমার ইউটিউবার ব্লগার ভাইয়েরা বিদেশ থেকে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করেন, আপনারা যা বলেন মনে করেন তাই হতে হবে দেশে।
আরে ভাই, আপনাদের প্রতিটা মানুষকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি, আপনারা আমাদেরকে চিনেন। আপনাদের জ্ঞানগরিমা যথেষ্ট উন্নত, অনেক অনেক লেখাপড়া আপনারা করেন। কিন্তু এই সমস্ত জ্ঞানগরিমা, গুণ, এই সমস্ত বুদ্ধির কথা বলে এমন কিছু করবেন না যাতে একটা বিভেদ সৃষ্টি হয়।’
বিএনপির ত্যাগ নিয়ে এই নেতা বলেন, ‘বিএনপিকে দোষারোপ করবেন না, কারণ এই দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েছে। এই দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে।
এই দেশের স্বাধীনতার জন্য বিএনপির সাধারণ কর্মী বাহিনী আজকে ধ্বংস হওয়ার পথে। সুতরাং বিএনপির মতো দেশপ্রেমিক একটি দল বাংলাদেশে এই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নতুন করে কখনো হবে কিনা আমি জানি না। যদি হয়, স্বাগত জানাবো। অনেকে বলেন নতুন একটি দল হচ্ছে, আর বিএনপি নাকি জেলাস করছে। এই কথা যারা বলেন তারা জাতির শত্রু।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘একজনের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে অন্যজনের অবদানকে অস্বীকার করার কোনো কায়দা বাংলাদেশে নাই।
মানুষকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানিয়ে সবশেষে তিনি বলেন, ‘সমস্ত উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে আপনারা দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলেছি। ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছি।
আজকে অনেকেই বলেন, ৫ই আগস্ট যারা এনেছে তারা সকল কিছুই অধিকার রাখে। ঠিক আছে, অস্বীকার করবো না। কিন্তু আমরা যারা ১৭ বছর রক্ত দিলাম, আমাদের যাদের ঘর পুড়লো, আমাদের সংসার পুড়লো, তাদের কি হবে? আমাদের ইলিয়াস আলী গুম হলো, আমাদের চৌধুরী আলম গুম হলো, আমাদের প্রায় ৫০০০ লোক গুম হয়ে গেল।
আমাদের হাজার হাজার কর্মী জেল খাটলো। আর আমার এখানে যারা আছেন, আমি তো ১৩টা মাস জেল খেটেছি। ভাই, তো আমাদের কোনো অবদান নাই!’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?