বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

‘বিএনপিকে ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না

দীর্ঘ ১৭ বছরের রেজিমের পর দেশ আজ স্বৈরাচারমুক্ত। পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের, স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে সাধারণ জনগণ। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে একাট্টা হয়েছিল দলমত নির্বিশেষে সবাই। বিএনপির মতো দেশপ্রেমিক একটি দল বাংলাদেশে এই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে বিএনপিকে যারা ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন, এটার পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না। বরং দেশটাকে ঐক্যবদ্ধ […]

নিউজ ডেস্ক

২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪:০৮

দীর্ঘ ১৭ বছরের রেজিমের পর দেশ আজ স্বৈরাচারমুক্ত। পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের, স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে সাধারণ জনগণ। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে একাট্টা হয়েছিল দলমত নির্বিশেষে সবাই। বিএনপির মতো দেশপ্রেমিক একটি দল বাংলাদেশে এই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

তবে বিএনপিকে যারা ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন, এটার পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না। বরং দেশটাকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবেন।’

নতুন করে কখনো হবে কিনা আমি জানি না। যদি হয়, স্বাগত জানাবো। অনেকে বলেন নতুন একটি দল হচ্ছে, আর বিএনপি নাকি জেলাস করছে। এই কথা যারা বলেন তারা জাতির শত্রু।

সম্প্রতি তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টকে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসীকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বিএনপি ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছে। এখানে যারা আছেন, আমাদের রিজভীসহ, রিজভী তো পঙ্গুই হয়ে গেছে। আপনারা দেখেছেন যে ওকে অকালে বৃদ্ধ করে ফেলা হয়েছে।’ এসময় নিজের পরিবারের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমার নিজের পরিবারের কথা যদি আমি বলি, আমার জেল হয়েছে ১১ বছর, আমার স্ত্রীর জেল হয়েছে ১৬ বছর, আমার ছোট ভাই আট বছর পর জেল থেকে বের হয়েছে। ১৭ বছর প্রবাসে থেকে আজকে বাংলাদেশে ফেরত এসেছে, আলহামদুলিল্লাহ।’

এসময় তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘প্রিয় ভাইয়েরা, এই নিপীড়ন শুধু আমার পরিবার নয় বরং বাংলাদেশের প্রতিটি বিএনপির নেতাকর্মীর উপর হয়েছে। আজকে আমাদেরকে ঠেলে দিতে যাচ্ছেন অন্য শিবিরে। উদ্দেশ্যটা কি? আওয়ামী লীগের সিল মারতে চান আমাদেরকে? ভারতের দালাল বানাতে চান? এই কথা কখনো চিন্তা করবেন না।’

ব্লগারদের নিয়ে আব্বাস বলেন, ‘অনেকে বলেন যে বিএনপি শুধু নির্বাচন নির্বাচন করে। আরে ভাই, নির্বাচন নির্বাচন করি না। খামাখা এই সমস্ত আজেবাজে কথা আপনারা বইলেন না। কিছু কিছু আমার ইউটিউবার ব্লগার ভাইয়েরা বিদেশ থেকে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করেন, আপনারা যা বলেন মনে করেন তাই হতে হবে দেশে।

আরে ভাই, আপনাদের প্রতিটা মানুষকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি, আপনারা আমাদেরকে চিনেন। আপনাদের জ্ঞানগরিমা যথেষ্ট উন্নত, অনেক অনেক লেখাপড়া আপনারা করেন। কিন্তু এই সমস্ত জ্ঞানগরিমা, গুণ, এই সমস্ত বুদ্ধির কথা বলে এমন কিছু করবেন না যাতে একটা বিভেদ সৃষ্টি হয়।’

বিএনপির ত্যাগ নিয়ে এই নেতা বলেন, ‘বিএনপিকে দোষারোপ করবেন না, কারণ এই দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েছে। এই দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে।

এই দেশের স্বাধীনতার জন্য বিএনপির সাধারণ কর্মী বাহিনী আজকে ধ্বংস হওয়ার পথে। সুতরাং বিএনপির মতো দেশপ্রেমিক একটি দল বাংলাদেশে এই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নতুন করে কখনো হবে কিনা আমি জানি না। যদি হয়, স্বাগত জানাবো। অনেকে বলেন নতুন একটি দল হচ্ছে, আর বিএনপি নাকি জেলাস করছে। এই কথা যারা বলেন তারা জাতির শত্রু।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘একজনের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে অন্যজনের অবদানকে অস্বীকার করার কোনো কায়দা বাংলাদেশে নাই।

মানুষকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানিয়ে সবশেষে তিনি বলেন, ‘সমস্ত উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে আপনারা দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলেছি। ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছি।

আজকে অনেকেই বলেন, ৫ই আগস্ট যারা এনেছে তারা সকল কিছুই অধিকার রাখে। ঠিক আছে, অস্বীকার করবো না। কিন্তু আমরা যারা ১৭ বছর রক্ত দিলাম, আমাদের যাদের ঘর পুড়লো, আমাদের সংসার পুড়লো, তাদের কি হবে? আমাদের ইলিয়াস আলী গুম হলো, আমাদের চৌধুরী আলম গুম হলো, আমাদের প্রায় ৫০০০ লোক গুম হয়ে গেল।

আমাদের হাজার হাজার কর্মী জেল খাটলো। আর আমার এখানে যারা আছেন, আমি তো ১৩টা মাস জেল খেটেছি। ভাই, তো আমাদের কোনো অবদান নাই!’

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৭১
মোট ভোট: ২৭১

রাজনীতি

কীভাবে দেশ ছাড়েন ওবায়দুল কাদের?, জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন,কি করছেন তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে সবসময় কৌতূহল কাজ করেই যাচ্ছে।নানা সময় নানা জায়গায় কাদের রয়েছেন এমন খবর চাউর হলেও এটা নিশ্চিতভাবে জানা গেল ৮ই নভেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছেছেন। ৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন। কীভাবেই বা দেশ […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩১

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন,কি করছেন তা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে সবসময় কৌতূহল কাজ করেই যাচ্ছে।নানা সময় নানা জায়গায় কাদের রয়েছেন এমন খবর চাউর হলেও এটা নিশ্চিতভাবে জানা গেল ৮ই নভেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছেছেন।

৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন। কীভাবেই বা দেশ ছাড়লেন।

খবর রয়েছে, তিনি এক বিশেষ স্থানে আদর-যত্নে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ফন্দি-ফিকির করছিলেন। সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা।

দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেল। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে অনেকটাই নীরব।
আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট কাদেরের এই মন্তব্যে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরিণতিতে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হয়।

এ কারণে হাসিনা কাদেরের ওপর যারপরনাই বিরক্ত। তাকে নিয়ে ছাত্র-জনতার মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে সিলেটি এক আত্নীয়ের আশ্রয়ে  বেশ আদর যত্নেই দিন কাটিয়েছিলেন।তবে এবারও বিভিন্ন সুত্র দাবি করছে ভারতের মেঘালয়েও বিশেষ স্থানে আরামেই দিন কাটাচ্ছেন কাদের।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৭১
মোট ভোট: ২৭১

রাজনীতি

পিনাকীর এক পোস্টেই ধানমন্ডি-৩২ এর কবর রচনা

সন্ধ্যা থেকেই ধানমন্ডির আশেপাশে জড়ো হচ্ছিলেন হাজার হাজার ছাত্র জনতা। ইট ,পাটকেল এবং বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার এই বাড়িটি। একই সাথে দেওয়া হয়েছে আগুন। বোঝাই যাচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ এর কবর রচিত হয়েছে আজ। এই ঘটনার পিছনে যার নাম সবার আগে আসে তিনি হচ্ছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। আজ রাতে ঘোষিত ‘লং মার্চ টু […]

নিউজ ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৫৮

সন্ধ্যা থেকেই ধানমন্ডির আশেপাশে জড়ো হচ্ছিলেন হাজার হাজার ছাত্র জনতা। ইট ,পাটকেল এবং বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার এই বাড়িটি। একই সাথে দেওয়া হয়েছে আগুন। বোঝাই যাচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ এর কবর রচিত হয়েছে আজ। এই ঘটনার পিছনে যার নাম সবার আগে আসে তিনি হচ্ছেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

আজ রাতে ঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে শুরু করে সন্ধ্যা থেকেই। রাত ৮টার কিছু আগে তারা ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং সেখানে ভাঙচুর চালায়।

এই সময়ে, ছাত্র-জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলতে থাকে। তাদের বিক্ষোভ এবং স্লোগান যথেষ্ট তীব্র হয়, এবং তারা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি তার স্মৃতিসৌধকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এই কর্মসূচি একটি বিক্ষোভ মিছিলের অংশ, যা ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে পোস্টের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। পোস্টে বলা হয়, “ধানমন্ডি-৩২ অভিমুখে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ বুলডোজার মিছিল”, যেখানে দাবি করা হয়, হাজারো ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়ে দিল্লি পালিয়ে গিয়েছিল শেখ হাসিনা। এই প্রতিবাদে ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র-জনতা অংশ নিচ্ছে।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৭১
মোট ভোট: ২৭১

রাজনীতি

বাংলাদেশকে দেয়া ভারতের শর্তের সাথে সাথেই কৌশলে পরিবর্তন হাসিনার

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের। সেইসঙ্গে ভারতের আশ্রয়ে আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে নানা সময়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতিও দিয়ে আসছেন হাসিনা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের গণমাধ্যমও। তারাও বাংলাদেশ নিয়ে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে। এমনকি ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি এবং […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের। সেইসঙ্গে ভারতের আশ্রয়ে আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে নানা সময়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতিও দিয়ে আসছেন হাসিনা।

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের গণমাধ্যমও। তারাও বাংলাদেশ নিয়ে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে।

এমনকি ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি এবং ভিসা কার্যক্রম একপ্রকারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে একের পর এক হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল মোদির বিজিপি পার্টির নেতারা।

ভারত ও বাংলাদেশের এই টানা-পোড়েন সম্পর্কের উন্নতির ঢাকায় জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বৈঠকে কিছু শর্ত আরোপ করে দেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তাদের দেওয়া সব শর্ত পূরণ হলে তবেই আগের মতো ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক থাকবে বলেন মনে করেন তারা।

এদিকে, বাংলাদেশকে ভারতের শর্তজুড়ে দেওয়ার পর রাজনীতি যেন ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ভারতের শর্ত দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত ও আওয়ামী লীগ সভাপতি তাহলে কি কৌশলে পরিবর্তন এনেছেন?

শেখ হাসিনা আত্মগোপনে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক অডিও বার্তা ও বিবৃতি দেওয়ায় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল তার বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এই খবরের মধ্যে গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিনার আরেকটি বিবৃতি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু শেখ হাসিনার দীর্ঘ বিবৃতিতে নানা বিষয়ে কথা বললেও কোথাও ড. মুহম্মদ ইউনূস বা কোনো বিএনপি নেতার নামের উল্লেখ নেই। তাহলে কি কৌশলে পরিবর্তন করে নতুনভাবে এগোনোর চিন্তা শেখ হাসিনার!

অপরদিকে, ভারতের গণমাধ্যম জানিয়ে আসছে শেখ হাসিনার দেওয়া বিবৃতি সমর্থন করে না দেশটি। তারা জানায় সম্পর্কে ব্যক্তি বিশেষ বা নির্দিষ্ট সরকারে সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না ভারত। দেশটি চায় বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে। ভারতের এই মন্তব্যের পরই কারও নাম উল্লেখ না করেই বিবৃতিতে কড়া বার্তা দেন হাসিনা।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে উড়ে আসেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যদিও বর্তমানে তিনি কোথায় রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে কয়েকশত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে তারই নিজের হাতে গড়া ট্রাইবুনাল।

সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ২৭১
মোট ভোট: ২৭১