বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

আর কোনো স্বৈরাচারকে আমরা থাকতে দিব না, নির্বাচন দিতে হবে : আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আর কোনো স্বৈরাচারকে আমরা থাকতে দিব না। ভোট দিতে হবে, নির্বাচন দিতে হবে। এমন কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি হয় নাই, উনারা বসে সংস্কার করবেন আর বাংলাদেশ ৪০/৫০ বছর এভাবে চলবে। নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করে ষড়যন্ত্র চলবে না। সবাই ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। এখানে মাঝখানে কেউ এসে খেলাধুলা করবেন, […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৯

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আর কোনো স্বৈরাচারকে আমরা থাকতে দিব না। ভোট দিতে হবে, নির্বাচন দিতে হবে। এমন কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি হয় নাই, উনারা বসে সংস্কার করবেন আর বাংলাদেশ ৪০/৫০ বছর এভাবে চলবে। নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করে ষড়যন্ত্র চলবে না। সবাই ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। এখানে মাঝখানে কেউ এসে খেলাধুলা করবেন, ভোট পিছিয়ে দেবেন, বিলম্বিত করবেন, সেসব চেষ্টা করে লাভ হবে না।

সোমবার বিকেলে নগরীর মাঝিরঘাট এলাকায় মহানগর শ্রমিক দলের আয়োজনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্ল্যাহসহ শ্রমিক দলের নেতারা।

আমীর খসরু বলেন, শ্রমিকদের অনেক সমস্যা আছে, মিল, কারখানা ও বন্দরে সমস্যা আছে। আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমরা সকল শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করব। ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে শ্রমিকদের সমস্যার কথা পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে ও সমাধানের কথা বলা হয়েছে।

বিগত ফ্যাসিস্টদের পতনের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রবর্তন করা জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে বাংলাদেশে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদে যাবেন, সরকার গঠন করবেন, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহি থাকবে। শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল সে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ছিল না। জনগণের কাছে জবাবদিহি ছিল না। কারণ সে অনির্বাচিত, সে দখলবাজ ও স্বৈরাচার। বিএনপির বার্তা পরিষ্কার- বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারকে ক্ষমতা দখল করে থাকতে দেব না। স্বৈরাচার বহুরূপে আছে। অনেকে ভোট নিয়ে স্বৈরাচার হয়ে যায়, ভোট নেওয়ার আগে স্বৈরাচার হয়ে যায়। অনেকে আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে স্বৈরাচার হয়ে যায়। কোনো স্বৈরাচার আর বাংলাদেশে থাকতে পারবে না।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশের আজকে গণতন্ত্রের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এগুলো ঠেকিয়ে আবার বহুরূপে ভিন্নরূপে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারি করলে সেটা চলবে না। আগেভাগে বলে দিচ্ছি, বড় বড় স্বৈরাচারকে বাংলাদেশের মানুষ বিতাড়িত করেছে। ওই প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রূপে , বহুরূপীভাব দিয়ে আর স্বৈরাচারকে আমরা থাকতে দিব না। ভোট দিতে হবে, নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।

সমস্ত আন্দোলন বাংলাদেশে হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। আজ সেই গণতন্ত্র অপেক্ষায় আছে, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার অপেক্ষায় আছে। জীবনের নিরাপত্তা মানুষ চায়। সুতরাং কিছু মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে, সেটা কি জনগণ গ্রহণ করবে? যত সংস্কারের প্রয়োজন তত সংস্কার বাংলাদেশের সংসদে বিএনপি এবং আমাদের সহযোগী দল করবে। ৩১ দফার মধ্যে সব সংস্কার অর্ন্তনিহিত আছে। জনগণের রায় দিয়ে সংসদে আমরা সেসব সংস্কার করব। এমন কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি হয় নাই, উনারা বসে সংস্কার করবেন আর বাংলাদেশ ৪০/৫০ বছর এভাবে চলবে। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিনিয়ত সংস্কার হতে হবে। সংস্কারের দোহাই দিয়েন না জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচনী সংস্কারটা করেন। আর কোনো সংস্কার করা কারও কোনো অধিকার নাই। জনগণের রায় নিতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। অন্য কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে না।

আমীর খসরু বলেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় অব্যাহতভাবে থাকার চেষ্টা করলে বাংলাদেশের জনগণ সেটা মেনে নেবে না। রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণের প্রতিনিধিরাই সংসদে যাবেন। যারা জনগণের কাছে যাবেন না তারা আগামীর বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। নির্বাচনী হাওয়া শুরু হয়ে গেছে। এ হাওয়া কেউ বন্ধ করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন ও সংসদ চায়।

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”