শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

সালমানের দুর্নীতি করে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের উদ্যোগ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বিদেশে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নানা সময় বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এতদিন পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার সালমান এফ রহমানের পাচারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ […]

নিউজ ডেস্ক

১৬ আগস্ট ২০২৪, ২৩:১৮

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বিদেশে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নানা সময় বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এতদিন পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকার সালমান এফ রহমানের পাচারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং সেই অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত— নিয়েছে। এজন্য বিভিন্ন দেশে সালমানের সম্পদের তথ্য চেয়ে অচিরেই চিঠি দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটকে (বিএফআইইউ) বলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত নতুন সরকার পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবেক সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও নানা পর্যায়ের নেতাদের বিষয়ে তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশে তাদের সম্পদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে। বিএফআইইউ থেকে এসব বিষয়ে অচিরেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গত ২০০৬ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতিবিরোধী টাস্কফোর্সের তদন্তে সালমান এফ রহমানের নামে বিদেশে টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে লন্ডনে একটি ব্যাংকে তার নামে ৩৫০ কোটি ডলারের একটি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের সন্ধান পাওয়া যায়। দেশ থেকে পাচার করা অর্থ তিনি ওই ক্রেডিট কার্ডে রেখেছিলেন।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে সালমান এফ রহমান ও তার স্বার্থসংশ্লিস্ট কোম্পানির নামে বিদেশে টাকা পাচারের তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। ওইসব প্রতিবেদন এখন বের করে পাচার তথ্য সমন্বয় করা হচ্ছে। তিনি কোন দেশে অর্থ পাচার করেছেন, তা কী কাজে ব্যবহার হয়েছে সেসব তথ্যও অনুসন্ধান করা হবে।

সূত্র জানায়, সালমান এফ দেশ থেকে বিভিন্নভাবে সম্পদ পাচার করেছেন। এর মধ্যে পণ্য আমদানির এলসি খুলে বৈদেশিক মুদ্রায় দেনা শোধ করেছেন ব্যাংকের মাধ্যমে কিন্তু পণ্য দেশে আসেনি। পণ্য আমদানি করা হয়েছে, কিন্তু পণ্য দেশে আসেনি। এর মাধ্যমেই দেশ থেকে বেশি টাকা পাচার হয়েছে। সরকারি একটি ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো গ্র“পের প্রতিষ্ঠানের এলসি খোলার দেনা শোধ করা হয়। কিন্তু এর বিপরীতে কোনো পণ্য দেশে আসেনি বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। বেসরকারি একটি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে পণ্য রপ্তানি হলেও রপ্তানি মূল্যের ডলার দেশে আসেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে এসব ঘটনা ধরা পড়ার পরও রাজনৈতিক চাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সূত্র জানায়, টানা ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। ওই সময়ে শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে তার ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। যে ব্যাংক থেকে যেভাবে খুশি ঋণ নিয়েছেন। ঋণের টাকা কখনো পরিশোধ করেননি। পরিশোধের সময় এলে আবার নতুন করে ঋণ নিয়েছেন। এভাবে শুধু সরকারি খাতের জনতা ব্যাংক থেকেই ঋণ নিয়েছেন ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে একটি অংশ আমদানির এলসির নামে বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন। তার বিভিন্ন কোম্পানির নামে শিল্পের যন্ত্রপাতি আনার ক্ষেত্রে মূল্য বেশি দেখিয়ে ও ঘোষিত পণ্যের চেয়ে কম পণ্য দেশে এনে সবচেয়ে বেশি টাকা পাচার করেছেন। আরও একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ওই টাকার একটি অংশ বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, পাচার টাকার একটি বড় অংশ রয়েছে বেলারুশসহ কয়েকটি দেশে। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও তার পাচার করা অর্থের সন্ধান পেয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। ভারত ও নেপালে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওইসব দেশেও তিনি অর্থ পাচার করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, বিএফআইইউ বিশেষ করে এগমন্ট গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে তথ্য চাইবে। দেশগুলোর আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের সমন্বয়ে এগমন্ট গ্রুপ গঠিত। বাংলাদেশ ওই গ্রুপের সদস্য। এর সদস্য দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। বাংলাদেশ এগমন্ট গ্রুপের কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লে­খ করে চিঠি দেবে। এগমন্ট গ্রুপ ওই চিঠি তার সদস্য দেশগুলোতে পাঠাবে। ওইসব দেশ তথ্য আবার এগমন্ট গ্রুপকে জানাবে। পরে এগমন্ট গ্রুপ তা বাংলাদেশকে দেবে। এই প্রক্রিয়ায় সালমান রহমানের পাচার করা সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমানের নামে দেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকা সম্পদের বিষয়ে এখন বিএফআইইউ নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্র ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করছে। প্রাথমিকভাবে ওইসব তথ্য পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চিঠি দেওয়া হবে।

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”