বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম ধনী দেশ কাতার। ঢাকায় নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী আল-কাহতানি মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রদূত আল-কাহতানি প্রধান উপদেষ্টাকে বাংলাদেশের প্রতি কাতারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “কাতার বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী।”
বাংলাদেশের প্রতি কাতারের এই বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানের জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “এটি চমৎকার।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও গভীর করা প্রয়োজন। তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ ও তাদের কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। কাতারের ব্যবসায়ীরা যেন এখানে আসেন এবং সম্ভাবনাগুলো পর্যালোচনা করেন।” তিনি আরও বলেন, “আগামী এপ্রিলের প্রথম দিকে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে কাতারের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।”
রাষ্ট্রদূত আল-কাহতানি এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, “খুব শিগগিরই কাতার থেকে আরও ব্যবসায়ী বাংলাদেশ সফর করবেন এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাই করবেন।”
প্রধান উপদেষ্টা তার সরকারের সংস্কার এজেন্ডা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ পরিচালনার জন্য গঠিত ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের বিবরণ দেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের অংশ হিসেবে আমরা সংস্কার বাস্তবায়নে কাজ করছি এবং এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।”
ড. ইউনূস জানান, তিনি আগামী মাসে কাতারে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সফর করবেন এবং সেখানে বাংলাদেশ-কাতার অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বৈঠক করবেন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?