গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় অবস্থিত ইস্মোগ সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। ঈদ বোনাস, ২৫ শতাংশ উৎপাদন বোনাস, নাইট বিল, টিফিন বিলসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এই অবরোধের ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়, সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে।
শ্রমিকদের বিক্ষোভ সামলাতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি টিম মোতায়েন করা হয়। এক সেনা কর্মকর্তা হ্যান্ড মাইকে শ্রমিকদের উদ্দেশে জানান, মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই রাস্তা অবরোধ করা যাবে না। সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, “রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, এতে কেউ সাজাপ্রাপ্ত হতে পারেন।”
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রমিকদের রাস্তা ছাড়তে সাত মিনিটের সময়সীমা দেওয়া হয়। সেনা কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি সাত মিনিটের মধ্যে অবরোধ প্রত্যাহার না করা হয়, তবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সেনাবাহিনীর এই ঘোষণার পর মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়ে দেন এবং মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেনাবাহিনী মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে এবং শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপরই শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে ফিরে যান। এই ঘটনায় শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি ও শিল্প সেক্টরে চলমান অসন্তোষ নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তারা মালিকপক্ষের আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিত করেছেন, তবে তাদের দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।
শিল্প মালিক ও প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে এবং শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করা হবে। তবে শ্রমিকদের দাবি আদায়ে যেকোনো ধরনের রাস্তায় নামার ঘটনা সরকার কঠোরভাবে দমন করবে বলে সেনাবাহিনীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?