আক্কাছ আলী (মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি)
মুন্সিগঞ্জে নির্মাণাধীন মুক্তারপুর-পঞ্চবটি এলিভেটেট সড়কে পাইপলাইন ফেটে আগুন লেগে শহর ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়েছেন ১৩ হাজার গ্রাহক।
এতে জেলা শহরের মানিকপুর, বাগমামুদালী পাড়া, খালইষ্ট, মালপাড়া, জমিদারপাড়া, গনকপাড়া ও শহরতলীর পঞ্চসার ইউনিয়নের সবক’টি গ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সকাল ৮টার দিকে জেলা শহরের উপকন্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়নের পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার অদুরে এলিভেটেট সড়ক নির্মাণ কাজে স্কেভেটর দিয়ে মাটি খনন করছিলো। এসময় গ্যাস সঞ্চালন লাইনের প্রধান পাইপ ফেটে গিয়ে আগুন লেগে যায়। এরপর থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জেলা শহরের বাগমামুদালী পাড়া এলাকার মাসুদ অর্ণব বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাসাবাড়িতে বিপাকে পড়েছেন গৃহিনী। এ রোজার মধ্যে রান্না করা যায়নি। বিশেষ করে ইফতারের রান্না করতে ভোগান্তি এসে হাজির হয়েছে পরিবারে। সন্ধ্যার আগ-মুহুর্তে পাশের বাড়িতে গিয়ে লাকড়ির চুলোয় রান্না করতে হয়েছে।
শহরের খালইস্ট এলাকার গৃহিনী মোস্তারি বেগম বলেন, সকালবেলায় হঠাৎ করেই দেখি চুলায় আগুন জ্বলছে না। রোজার দিনে তারাতারি রান্না সারবো ভেবে ছিলাম। বিকেল পর্যন্ত গ্যাস না পেয়ে ইলেক্ট্রিক ইনভেটার চুলাতে রান্না করতে ছুটে যাই। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কষ্টেই রান্না করতে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সকালে মুক্তারপুর এলাকার অদূরে নারায়নগঞ্জ এলাকায় সড়ক নির্মাণে স্কেভেটর দ্বারা মাটি অপসারণের সময় গ্যাস সরবরাহের সঞ্চালন পাইপলাইন ফেটে যায়।
এতে সেখানে স্কেভেটরসহ পাইপ লাইনে আগুন লেগে গেলে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল থেকে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ অঞ্চলের ১৩ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পাইপলাইন মেরমাত করে গ্যাস সরবরাহের চেষ্টা চলছে।
এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?
