বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

চীন বাংলাদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে টেক্সটাইল, ক্লিন এনার্জি, ইলেকট্রিক যানবাহন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে চীন। ঢাকায় এক সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের আরও গভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি জানান, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের আগে দেশটিকে সকল করযোগ্য পণ্যে […]

চীন বাংলাদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১২ মার্চ ২০২৫, ০০:৫৬

বাংলাদেশে টেক্সটাইল, ক্লিন এনার্জি, ইলেকট্রিক যানবাহন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে চীন। ঢাকায় এক সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের আরও গভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের আগে দেশটিকে সকল করযোগ্য পণ্যে শূন্য-শুল্ক সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা করছে চীন। পাশাপাশি চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশকে আরও আকর্ষণীয় করতে উভয় দেশের যৌথ অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যে ১৪টি চীনা সংস্থা বাংলাদেশে মোট ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস আয়োজিত এই সেমিনারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনরা বলেন, বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও ভারসাম্যপূর্ণ এবং টেকসই করতে কৌশলগত নীতি গ্রহণ জরুরি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির সাবেক রেক্টর মাশফি বিনতে শামস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন এবং স্বাধীন গবেষক সৈয়দ শাহনাওয়াজ মহসিন।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন দুই দেশের অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা চীন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি প্রাণবন্ত ও শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়তে চাই, যেখানে কৌশলগত সহযোগিতার বাস্তব ফলাফল নিশ্চিত হবে।” তিনি আরও বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক জনগণকেন্দ্রিক এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো খাতগুলোতে চীন তার সহযোগিতা সম্প্রসারণ করছে।

কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীন নতুন উদ্যোগ হিসেবে প্রথম ধাপে বাংলাদেশি রোগী ও চিকিৎসকদের চীনে পাঠানোর পরিকল্পনার কথাও জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের চীনে ভ্রমণ, শিক্ষাগ্রহণ ও ব্যবসার প্রতি আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সংযোগকে আরও দৃঢ় করছে।

বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে ৫৮টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে, যা বাণিজ্য ও পর্যটনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা পদ্ধতিকে আরও সহজতর করতে চীন সুশৃঙ্খল নীতিমালা বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান তিনি।

সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশের শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে চীনের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। আলোচনায় আঞ্চলিক কূটনীতিতে চীনের ভূমিকা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকটে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সেমিনারে সেন্টার ফর অল্টারনেটিভসের উদ্যোগে “বাংলাদেশে চীনের জাতীয় ভাবমূর্তি” শীর্ষক একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতি ব্যাপক জনসমর্থনের চিত্র উঠে আসে। জরিপে দেখা গেছে, ৯৯ শতাংশ বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে দেখেন, যা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রতি জনগণের আস্থার প্রতিফলন।

২০২২ সালে যেখানে ৬০.১ শতাংশ বাংলাদেশি চীন সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতেন, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৬৬.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। একইভাবে, চীনের অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নকে স্বীকৃতি দেওয়া বাংলাদেশিদের হার ২০২২ সালে ৫০ শতাংশ থাকলেও ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৮৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক দিন দিন আরও দৃঢ় হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৪

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে। সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৪

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে।

সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক-ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গ্লোরিয়া জিনস কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ কার হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সরবরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতেও হয় না।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৭৬

আন্তর্জাতিক

হাসপাতালের রোগীদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি স্নাইপাররা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান। ডাক্তার হুসাম […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান।

ডাক্তার হুসাম জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই হাসপাতাল সবার জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে।

ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলির সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে থাকা সবাই ঝুঁকির মুখে ছিল এবং রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময় ইসরাইলের কোয়াডকপ্টার থেকেও হাসপাতালের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

তিনি জানান, হাসপাতাল ভবন, এর আশপাশ কিংবা এর ভেতরে যারাই চলাচল করেছে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। হাসপাতালটির সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান পরিচালক হুসাম সাফিয়া।

সূত্রঃ পার্সটুডে

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৫৭৬

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৫৯৯