নতুন বই পাচ্ছে না অনেক শিক্ষার্থী, কমেছে উপস্থিতি শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা যেটা ভাবছে যে যেহেতু অধিকাংশ শিক্ষার্থী নতুন বই হাতে পাইনি সেহেতু ক্লাস কার্যক্রম কিভাবে চলবে এটা ভেবেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে।
পুরাতন গ্লানি মুছে শুরু হয়েছে নতুন বছরের যাত্রা। নতুন এই শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রম বাদ দিয়ে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা। বিগত বছরগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া হলেও এই রীতিতে ভাটা পরেছে চলতি বছর। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি নতুন বই। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমেছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। নেই নতুন বইয়ের গন্ধে আনন্দ উল্লাসিত হয়ে বিদ্যালয়ে প্রফুল্লতার চিত্রও।
তবে এই সংকট দ্রুত সমাধান শেষে শিগ্রই শিক্ষার্থীরা পূর্বের ন্যায় ক্লাসরুমে ফিরবেন বলে আশাবাদী শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজধানীর মোহাম্মদপুর খিলজী রোডে অবস্থিত সরকারি জামিলা আইনুল আনন্দ বিদ্যালয় ও কলেজ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বছরের শুরুতে নতুন বই উৎসবের পর শিক্ষার্থীদের নতুন বই হাতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগমন, হৈ-হুল্লোড়, খেলাধুলা এবং পাঠগ্রহণের যে চিত্র পূর্বের বছরগুলোতে দেখা গেছে এবার এসবের বিন্দু মাত্র লেশ নেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও নেই চোখে পরার মতন। শিক্ষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন দাপ্তরিক কাজে। ঘড়ির কাটায় ঘণ্টা পেরুলে বাজছে না বিদ্যালয়ের ঘণ্টা।
সরকারি জামিলা আইনুল আনন্দ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হক পাটওয়ারী বলেন, আমি বহু বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের এতো কম উপস্থিতি দেখি নাই। শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা যেটা ভাবছে যে যেহেতু অধিকাংশ শিক্ষার্থী নতুন বই হাতে পাইনি সেহেতু ক্লাস কার্যক্রম কিভাবে চলবে এটা ভেবেই শিক্ষার্থীদের এতো কম উপস্থিতি। আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মেসেজ পাঠিয়েছি। ফোন দিয়ে ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?