শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অগ্রহণযোগ্য : টিআইবি

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া) অগ্রহণযোগ্য। বহুল বিতর্কিত সাইবার সিকিউরিটি আইনের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। এতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া) পর্যালোচনা প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের […]

নিউজ ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:১৩

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া) অগ্রহণযোগ্য। বহুল বিতর্কিত সাইবার সিকিউরিটি আইনের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। এতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ (খসড়া) পর্যালোচনা প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিআইবি।

বহুল বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে, এর পরিবর্তে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া প্রস্তুত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদকর্তৃক খসড়াটির অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছিল সবার সঙ্গে কথা বলে আইনটি প্রণয়ন করবে। কিন্তু কেনো সেখান থেকে সরে এলো ‍বুঝতে পারলাম না। কেনো তড়িঘড়ি করা হচ্ছে তাও বোধগম্য নয়। খসড়া আইনটিতে মতামত দেওয়ার জন্য মাত্র ৩ দিন সময় দেওয়া হয়। আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া বিগত সরকারের কাজের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। আইনের অনেকগুলো ধারা আগের মতোই (সাইবার সিকিউরিটি আইন) রেখে দেওয়া হয়েছে। আইনটি হয়রানির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। আমরা চাই সবার মতামত নিয়ে আইনটি চূড়ান্ত করা হোক।

তিনি বলেন, গতকাল (৩০ ডিসেম্বর) রাতে আমাকে মেইল দিয়ে আজকে আইনটির বিষয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। এটাও লোক দেখানো বলতে বাধ্য হচ্ছি। না হলে সন্ধ্যায় মেইল দিয়ে কেউ পরের দিন ডাকে না!

তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়ে শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আমরা এর বিপক্ষে না. তবে একইভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত ছিল। খসড়ায় বিষয়টি অনুপস্থিত রয়েছে।

সাইবার সুরক্ষা আইনটির খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হওয়ার পরও কেনো লুকোচুরি করা হচ্ছে। কেনো এখন গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে, কেনো ওয়েব সাইটে আপলোড করা হচ্ছে না, সে বিষয়ে টিআইবির পক্ষ থেকে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়। এই লুকোচুরি বড় প্রশ্ন তৈরি করছে বলে মনে করছে টিআইবি।

প্রফেসর এরশাদুল করিম মালয়েশিয়া থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খসড়ার ওপর বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন কোন সমস্যার মুখোমুখি হয়নি যা বিশ্ব থেকে আলাদা। সারাবিশ্ব যে ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে বাংলাদেশও তাই। তাহলে অন্যান্য উন্নত বিশ্বের থেকে কেনো আরও কর্তৃত্ববাদী আইন করতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি রাষ্ট্রের মর্যাদা ও সুনামের বিষয়টি ফুটে ওঠে আইনের মাধ্যমে। সেখানে সতর্কতার সঙ্গে আইনটি প্রণয়ন করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, আইনটিতে এমন সব শব্দ যোগ করে দুর্বোধ্য করা হয়েছে, যার অনেক প্রতিশব্দ রয়েছে। আবার উপযুক্ত বাংলা থাকলেও ইংরেজি শব্দ যুক্ত করা হয়েছে। আমি আইনের শিক্ষক হয়েও আইনটির পাঠোদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়েছে। আইনের দুর্বোধ্যতার কারণে এর অপপ্রয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

এরশাদুল করিম বলেন, জনসাধরণের মতামত দেওয়ার জন্য যে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল, অনুমোদন পাওয়া খসড়ায় নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। বিষয়টি মানুষকে ধোকা দেওয়া ও বোকা বানানোর অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, অধ্যাদেশের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এখানে সাইবার সুরক্ষা শব্দগুলো ব্যবহার যথার্থ হবে না। এর নাম সাইবার বা কম্পিউটার অপরাধ অধ্যাদেশ হলে যথার্থ হবে। এতে ব্যবহৃত উপাত্ত-ভান্ডার শব্দটির যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিভ্রান্তিকর।

এতে সাইবার সুরক্ষা এজেন্সীর মহাপরিচালককে কোন কনটেন্ট ব্লক ও অপসারণ করার সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এরপর সরকারকে অবহিত করবে বলে বলা হয়েছে। শব্দগুলো অন্তর্ভুক্ত করে পূর্ববর্তী সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিধানটি হুবহু এই অধ্যাদেশে যুক্ত হওয়ায় অপব্যবহারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক সরকারি ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। যেখানে অনিচ্ছাকৃতভাবেও নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে যেতে পারে। ধরেন আমি একটি পিডিএফ ডাউনলোড করতে গিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে গেলো তার দায় কার। আবার অযাচিত মেইল প্রেরণের জন্য শাস্তির কথা বলা হয়েছে, অনেক সময় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার তাদের পণ্যের জন্য মেইল করে থাকেন, সেটাও এখানে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অধ্যাদেশে ৩০ ধারায় ক্ষতিপূরণের বিষয়টি যুক্ত করার উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করে এরশাদুল করিম।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (এক্সিকিউটিভ ম্যানেজমেন্ট) প্রফেসর ড. সুমাইয়া খায়ের, ডিরেক্টর (আউটরিচ এন্ড কমিউনিকেশন) মো. তৌহিদুল ইসলাম।

জাতীয়

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি। মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

জাতীয়

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

ইশরাক

নিউজ ডেস্ক

২৬ মে ২০২৫, ২২:৩৩

বিএনপি সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জয়ী হলেও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারলেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়—এই আইনি সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৪টায়।

শেষ দিনের শপথ নিশ্চিত করতে ইশরাকের আইনজীবী ও রিটকারী পক্ষ মরিয়া চেষ্টা চালান। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী শপথগ্রহণের পথ খুঁজতে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো মতামত আসেনি। এতে শপথের প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি।

এ নিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

ইশরাকের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে তারা লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। রিটকারী পক্ষও হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা বলেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন এই ইস্যু ঘিরে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি এবং ইশরাকের সমর্থকরা বলছেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ‘অদৃশ্য এক খেলার’ মাধ্যমে তাকে শপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে কিছু নমনীয়তা দেখা গেলেও, আইন মন্ত্রণালয়ের নিরব অবস্থান পুরো প্রক্রিয়াকে স্থবির করে দেয়। ফলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই শপথ যুদ্ধের শেষ বিজয়ী আসলে কে?

জাতীয়

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ […]

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ১৮:২৬

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।
সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে আরএসও গোষ্ঠীর সদস্যরা শুধু মহড়াই চালাচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, আটক ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে দুর্বল, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে।

সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসও এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)-এর হাতে সীমান্তে অন্তত ১২টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসও এবং ৪টি এআরএ। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩-৫ জন করে সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদা আদায়ে জড়িত।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাচার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

সংস্থাটি একে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সীমান্তে আরএসও’র এই তৎপরতার পাশাপাশি পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ’র মধ্যে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেএনএফকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা ও রাখাইনের জন্য কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি ‘রিফিউজি ইস্যু’ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সীমান্ত রাজনীতি যা বাংলাদেশকে এক অদৃশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।