মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ইসলাম ও জীবন

রসুল সা.-এর বিশেষ মুজিযা: ইসরা ও মিরাজ

নবী কারীম সা.-এর বরকতময় জীবনরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হলো ইসরা ও মিরাজ। এ ঘটনাটি ঘটেছিল নবী কারিম সা.-এর হিজরতের পূর্বে। আর তা ছিল নবী কারিম সা.-এর রিসালাতের অনেক বড় মুজিযা; যা অন্য কোনো নবীকে দেয়া হয়নি। আবার এটি ছিল এই উম্মতের জন্য অনেক বড় নিয়ামত। এই ঘটনায় একদিকে উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা […]

নিউজ ডেস্ক

০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:৩৬

নবী কারীম সা.-এর বরকতময় জীবনরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হলো ইসরা ও মিরাজ। এ ঘটনাটি ঘটেছিল নবী কারিম সা.-এর হিজরতের পূর্বে। আর তা ছিল নবী কারিম সা.-এর রিসালাতের অনেক বড় মুজিযা; যা অন্য কোনো নবীকে দেয়া হয়নি। আবার এটি ছিল এই উম্মতের জন্য অনেক বড় নিয়ামত।

এই ঘটনায় একদিকে উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও নির্দেশনা, অন্যদিকে সেখানে লুকিয়ে রয়েছে আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য হিকমত ও রহস্য। তাই প্রত্যেক ইমানদারের উচিত ইসরা ও মিরাজের সঠিক ঘটনাটি জানা এবং এ সম্পর্কে সঠিক আকিদা পোষণ করা।

বস্তুত ইসরা হচ্ছে, মক্কা মুকাররমা থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণের সেই পর্বটুকু, যা রাতের একটি অংশে সংঘটিত হয়েছিল। আর মিরাজ হচ্ছে সেখান থেকে ঊর্ধ্বজগৎ পরিভ্রমণের সেই বিস্তৃত অধ্যায়। মনে রাখতে হবে, রসুল সা.-এর মিরাজ হয়েছিল স্বশরীরে; স্বাপ্নিক নয়।

কুরআনের আলোকে
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুরা বানী ইসরাঈল-এর শুরুতেই ইরশাদ করেছেন, পবিত্র সেই সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতের একটি অংশে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান, যার চারপাশকে আমি বরকতময় করেছি, তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখানোর জন্য। নিশ্চয়ই তিনি সব কিছু শোনেন এবং সব কিছু জানেন। (সূরা বানী ইসরাঈল, আয়াত: ১)

আর সুরা নাজম-এ ইরশাদ হয়েছে, বস্তুত সে তাকে (হজরত জিবরাইল আ.-কে) আরও একবার দেখেছে। সিদরাতুল মুনতাহা (সীমান্তবতীর কুলগাছ)-এর কাছে। তারই কাছে অবস্থিত জান্নাতুল মা’ওয়া। তখন সেই কুল গাছটিকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল সেই জিনিস, যা তাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। রসুলের চোখ বিভ্রান্ত হয়নি এবং সীমালংঘনও করেনি।

অর্থাৎ দেখার ব্যাপারে চোখ ধোঁকায় পড়েনি এবং আল্লাহ তায়ালা তার জন্য যে সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন, তিনি তা লংঘনও করেননি যে, তার সামনে কী আছে তা দেখতে যাবে।) বাস্তবিকপক্ষে, সে তার প্রতিপালকের বড় বড় নিদর্শনের মধ্য হতে বহু কিছু দেখেছে। (সূরা নাজম, আয়াত: ১৩-১৮)

ইসরা ও মিরাজের ব্যাপারে কুরআনের বর্ণনায় সংক্ষেপে এতটুকুই বলা হয়েছে। আর এ ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে হাদিস শরিফে। সিরাত ও তারিখের নির্ভরযোগ্য সূত্রেও রয়েছে এর বিশদ বিবরণ।

হাদিসের আলোকে
মক্কায় অবস্থানকালে কোনো একরাতে রসুলুল্লাহ সা. সাহাবিদের নিয়ে ইশার নামাজ আদায় করলেন। অতঃপর খানায়ে কাবা সংলগ্ন ‘হাতীমে’ শুয়ে বিশ্রাম নিতে লাগলেন। তিনি ছিলেন তন্দ্রাচ্ছন্ন। তখনও নিদ্রা আসেনি। কলব বা অন্তর ছিল জাগ্রত। এরই মাঝে আগমন করলেন হজরত জিবরাইল আ.। তিনি নবীজীকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন যমযমের নিকট।

একটি স্বর্ণের পেয়ালা আনা হল। তা ছিল ইমান ও হিকমতে পূর্ণ। তাতে যমযমের পানি। জিবরাইল আ. নবীজীর বক্ষ মোবারক বিদীর্ণ করলেন। বের করে আনলেন নবীজীর হৃৎপিণ্ড। যমযমের পানি দিয়ে তা ধুয়ে আবার যথাস্থানে প্রতিস্থাপন করে দিলেন। ইমান ও হিকমতে পূর্ণ করে দেওয়া হল নবীজীর কলব।

এরপর আনা হল নবীজীকে বহন করার জন্য একটি বুরাক। এই প্রাণীটি ছিল গাধার চেয়ে বড়, ঘোড়া থেকে ছোট। রং সাদা। এটা এতটাই ক্ষিপ্রগতির যে, যার একেকটি কদম পড়ে দৃষ্টির শেষ সীমায় গিয়ে। তার পিঠের উপর জিন আঁটা ছিল, মুখে ছিল লাগাম। নবীজী রেকাবে পা রাখবেন এমন সময় ‘বুরাক’ ঔদ্ধত্য দেখাল।

জিবরীল আ. তাকে থামিয়ে বললেন, হে বুরাক! তুমি মুহাম্মাদ সা.-এর সামনে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করছ? তুমি কি জান, আল্লাহর কাছে তার চেয়ে মহান ও প্রিয়তম কোনো ব্যক্তি কখনও তোমার উপর সওয়ার হয়নি। একথা শুনতেই বুরাক ঘর্মাক্ত হয়ে গেল। (সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ৩১৩১)

অতঃপর নবীজি সা. বুরাকে আরোহণ করলেন। মুহূর্তেই এসে উপস্থিত হলেন জেরুজালেম নগরীর বায়তুল মাকদিসে। হজরত জিবরীল আ. পাথর ছিদ্র করে বুরাকটি বেঁধে রাখলেন। এই পাথরেই নবীগণ নিজেদের বাহন বেঁধে রাখতেন।

বায়তুল মাকদিসে ঢুকে তিনি দেখেন, হজরত মূসা আ. নামাযরত আছেন। হজরত ঈসা আ.-কেও দণ্ডায়মান হয়ে নামাজ পড়তে দেখা গেল। হজরত ইবরাহীম আ.-কেও নামাযরত অবস্থায় দৃষ্টিগোচর হল। নবীজী বলেন, তাঁর দেহাবয়ব আমার সাথে অধিক সামঞ্জ্যশীল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৬৭)

ইতিমধ্যে জামাত প্রস্তুত হল। তিনি দু’রাকাত নামায আদায় করলেন। সকল নবী-রসুলগণ নবীজীর পিছনে ইক্তেদা করলেন। ওখান থেকে বের হয়েই দেখলেন, জিবরীল আ.-এর হাতে দুটি সুদৃশ্য পাত্র। একটি শরাবের, অপরটি দুধের । পাত্র দুটি পেশ করা হলে নবীজি দুধেরটিকেই বেছে নিলেন।

এটা দেখে জিবরীল আ. তাঁকে বললেন, আপনি ও আপনার উম্মত স্বভাবজাত ফিত্রাতকেই বেছে নিয়েছেন। আপনি যদি তা পছন্দ করতেন, তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৩৯৪ / সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৬৮)

এরপর শুরু হল ঊর্ধ্বজগতের সফর। হজরত জিবরাইল নবীজিকে নিয়ে চললেন। একেক করে সপ্ত আসমান পারি দিলেন। তখন প্রত্যেক প্রত্যেক আসমানেই পূর্ববর্তী নবীগণের সাথে সাক্ষাৎ হয়।

ইসরা ও মিরাজ ছিল মুসলমানদের জন্য এক অমূল্য শিক্ষার দিক। এর মাধ্যমে মুসলিম উম্মত আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও হিকমত সম্পর্কে আরো জানতে পারে। এটি শুধু নবী সা.-এর জন্য একটি বিশেষ মুজিযা ছিল না, বরং উম্মতের জন্যও একটি বড় নিয়ামত, যা আমাদের ইমান ও আস্থা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক: মুফতি মুখলিছুর রহমান
মুদাররিস: জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম কুষ্টিয়া

ইসলাম ও জীবন

বিশ্বের ১৬৫ দেশের মুসলিমরা ব্যবহার করছেন যে স্যোশাল মিডিয়া

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সের মত সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মুসলিমদের তৈরি স্যোশাল মিডিয়া ‘আলফাফা’। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৬৫টিরও বেশি দেশের প্রায় চার লাখ মুসলিম এটি ব্যবহার করছেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আলফাফা জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে, আলফাফা মুসলিমদের জন্য সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। যে স্বাধীনতা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সে পাওয়া যায় না। ইসলাম নিয়ে অধিকাংশ পোস্ট […]

নিউজ ডেস্ক

২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:৪৭

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সের মত সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মুসলিমদের তৈরি স্যোশাল মিডিয়া ‘আলফাফা’। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৬৫টিরও বেশি দেশের প্রায় চার লাখ মুসলিম এটি ব্যবহার করছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, আলফাফা জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে, আলফাফা মুসলিমদের জন্য সর্বোচ্চ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। যে স্বাধীনতা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সে পাওয়া যায় না। ইসলাম নিয়ে অধিকাংশ পোস্ট ডিলেট করে দেয় তারা। কিন্তু আলফাফা তৈরিই করা হয়েছে মুসলিমদের জন্য।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের একদল মুসলিম যুবক শুরু করেন এ স্যোশাল সাইট। ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সাইটটি। বর্তমানে ১৬৫টিরও বেশি দেশের মুসলিম ব্যবহার করছে এ অ্যাপস। বিশেষ করে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এখন পর্যন্ত গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড হয়েছে এক মিলিয়নেরও বেশি।

আলফাফার নির্বাহী পরিচালক আসিফ সাঈদ গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সহকর্মী ও বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরই প্রকাশ ঘটেছে। কিন্তু মুসলমানদের জন্য ঈমান-আমল ঠিক রেখে সে সবের অনেক কিছু ব্যবহার করা দুষ্কর। সেসব বিষয় মাথায় রেখে ইসলামি মতাদর্শ লালন করা যুক্তরাষ্ট্রের একদল যুবক নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ হালাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নাম আলফাফা ডটকম।

এতে বিনামূল্যে আপনার ব্যবসা, মসজিদ, রেস্টুরেন্ট বা চাকরি ও পেশাদার প্রোফাইল তালিকাভুক্ত করতে পারবেন। অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স হিসেবেও দেখতে পারেন মুসলিমদের পরিচালিত এ সাইটটি।

একটি বাটনের ক্লিকে বিশ্বজুড়ে আপনার বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সংযোগ করতে পারবেন সহজে। একই সঙ্গে স্যোশাল মিডিয়া, মুসলিম ডিরেক্টরি, ব্লগ, ফোরাম, জবস, টিচ, ই-কমার্সসহ নানান ফিচারে সাজানো হয়েছে সাইটটি। গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে লিখুন alfafaa.

ইসলাম ও জীবন

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে মায়ের কাছে হাফেজ হলেন শিশু আহমাদ

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে ১০ মাস সময়ে মায়ের কাছে কোরআন মাজিদের হিফজ সম্পন্ন করার এক বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুম। তার বয়স বর্তমানে ৪ বছর ৬ মাস ২৯ দিন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ির মাদরাসাতু উসওয়াতি ফাতিমাহ রাদিয়াল্লাহু আনহায় এ বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। তার শিক্ষক ছিলেন তারই মা, যিনি তাকে […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:১৮

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে ১০ মাস সময়ে মায়ের কাছে কোরআন মাজিদের হিফজ সম্পন্ন করার এক বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুম। তার বয়স বর্তমানে ৪ বছর ৬ মাস ২৯ দিন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ির মাদরাসাতু উসওয়াতি ফাতিমাহ রাদিয়াল্লাহু আনহায় এ বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। তার শিক্ষক ছিলেন তারই মা, যিনি তাকে অত্যন্ত যত্ন ও আন্তরিকতায় হিফজ সম্পন্ন করিয়েছেন। হিফজের সময় আহমাদ কোরআনের বাংলা অর্থও শিখেছেন, যা তার প্রতিভার আরও একটি প্রমাণ।

বিশ্বখ্যাত কারি ও বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আজহারীর মতে, এই বয়সে হিফজ সম্পন্ন করার ঘটনা বিশ্বে বিরল। ইরান বা আলজেরিয়ায় ৫ বছর বয়সে হিফজের দৃষ্টান্ত থাকলেও আহমাদের মতো সাড়ে চার বছরে এ অর্জন অভূতপূর্ব। আহমাদ তার হিফজ সম্পন্ন করতে সময় নিয়েছে মাত্র ১০ মাস ১৮ দিন।

তার মায়ের একান্ত ইচ্ছা, তিনি যেন বিশ্বমানের মুত্তাকি, মুখলিস হাফেজ ও আলেম হিসেবে গড়ে ওঠেন। আল্লাহ তাআলা তাকে সেই তাওফিক যেনো দান করেন, সে দোয়াই কামনা করেছেন তিনি।

বিস্ময় শিশু আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুমের বাবা, খ্যাতিমান টিভি উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাসুম বিল্লাহ বিন রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, মহান রবের দরবারে কোটি কোটি কৃতজ্ঞতা, মহান রব দয়া মায়া করে আমার কলিজার টুকরো আহমাদকে তাঁর মহান গ্রন্থ আল কোরআন হিফজ করার তাওফিক দান করেছেন। আমাদের সন্তানের এ অর্জন আমাদের জন্য শুধু গর্বের নয়, দায়িত্বেরও। আমরা চাই, আহমাদ যেন একদিন বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়ায় ও মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।

হাদিস ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানড. আহমাদ আবদুল্লাহ ছাকিব বলেন, ‘বাবা-মায়ের সঙ্গে এই বিস্ময় শিশু যখন আমার মারকাযে বেড়াতে আসে, তখন আমি নিজেই স্তব্ধ হয়ে যাই। শুধু কোরআন হিফজ নয়, সে কোরআনের শব্দার্থও শিখে নিয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় ঝরঝরে রিডিং করতে পারে। আরবিতে তার স্পিকিং দক্ষতাও অসাধারণ। সব মিলিয়ে এটি এক অবিশ্বাস্য প্রতিভা। এখানেই তার যাত্রা শেষ নয়। বুখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিস ধারাবাহিকভাবে মুখস্থ করার লক্ষ্যে সে এগিয়ে যাবে এটাও সে জানায়। মাশাআল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে মুসলিম উম্মাহর একজন সুবিজ্ঞ মুখলিস আলেমে দ্বীন হিসাবে কবুল করুন।’

কুয়েত প্রবাসী দাঈ, শায়খ হাবিবুর রহমান মাদানী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, যিনি তাঁর অনুগ্রহে সকল কল্যাণ পরিপূর্ণ করেন। আল্লাহ এই শিশু ও তার পরিবারকে বরকত দিন। তাকে ইসলামের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ বানিয়ে দিন এবং সকল অকল্যাণ থেকে রক্ষা করুন। এমন সংবাদ হৃদয়কে প্রশান্তি দেয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফেজ হুসাইনুল বান্না বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। এটা আল্লাহর মেহেরবানি যে আল্লাহ এমন শেষ্ঠ সন্তান দান করেছেন। ইয়া রাব্বি লাকাল হামদ। আল্লাহ যুগের আলেমে দীন হিসেবে কবুল করুন।

ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শায়খ শরিফ আবু হানিফ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহপাকের বড় মেহেরবানি। বিনয়ের সাথে আল্লাহর শোকর আদায় করি। কারো বদনজর যেন না পড়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ সংবাদ শুনেই সবাই মাশাআল্লাহ পড়বেন। তার জন্য দোয়া করবেন। সকল জ্বীন-ইনসানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ ওকে হেফাজত করুন।’

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শায়খ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আল্লাহু আকবর, মাশাল্লাহ তাবারকাল্লাহ, এটা বাংলাদেশের জন্য মহান এক গৌরব। আমি বাংলাদেশের মায়েদের প্রতি অনুরোধ করবো, আপনারা যদি সন্তানদের কোরআনের প্রতি ভালোবাসা ও অধ্যবসায় শেখাতে পারেন, তবে এমন সাফল্য সম্ভব। নিজের সন্তানকে সময় দিন, তাদের মননশীলতা ও প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সন্তানকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার পথিক বানিয়ে দিন। আমিন’

ইসলাম ও জীবন

সাঈদীর মৃত্যু মেডিক্যাল কিলিং কি না জানাতে হবে : আজহারী

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শিরক-বিদআতের আস্তানা তছনছ করে দিয়েছিলেন।আজীবন ইসলামকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব কেঁদেছে।তাঁর মৃত্যু স্বাভাবকি ছিল নাকি মেডিক্যাল কিলিং ছিল, তা আমরা এখনো জানি না। এখন বিষয়টি তদন্ত করে জাতির সামনে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।’ আজ […]

নিউজ ডেস্ক

৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ২২:৩৫

জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শিরক-বিদআতের আস্তানা তছনছ করে দিয়েছিলেন।
আজীবন ইসলামকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব কেঁদেছে।
তাঁর মৃত্যু স্বাভাবকি ছিল নাকি মেডিক্যাল কিলিং ছিল, তা আমরা এখনো জানি না। এখন বিষয়টি তদন্ত করে জাতির সামনে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।’

আজ শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর প্যারেড মাঠে ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাফিলের পঞ্চম ও শেষ দিনে প্রধান মুফাসসিরের বক্তব্যে এ এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ছিলেন। তাই তাঁর মুত্যু পরিকল্পিত মেডিক্যাল কিলিং হতে পারে। এ ধারণা আমরা করতেই পারি। যে সময়টা আমরা কাটাচ্ছি, এতো সুন্দর সময় বাংলাদেশ আর পাবে না ।

আমাদের জন্মের পর থেকে এ রকম চমৎকার সময় আমরা পাইনি। এটাই আসল সময়। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাই, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি হত্যাকাণ্ড তা তদন্ত কমিটি করে রিপোর্ট গণমানুষের কাছে জানাতে হবে।’

অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এরইমধ্যে বলেছেন- আমরা এমন নির্বাচন দিতে চাই, যা হবে ঐতিহাসিক।
দিনের ভোট দিনে হবে। রাতে হবে না। সবাই নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন। কোনো কারচুপি হবে না। নিশ্চিন্ত থাকুন। আমরা একটি বৈষম্যহীন, সুন্দর ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র উপহার দিতে চাই। আমাদের কুরআনকে ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যারা নয়-ছয় করেছেন, আমরা একজন বিচারপতির মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরো বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই, লালবাতি জ্বলছে। আমরা রিজার্ভে হাত দিচ্ছি না। আমাদের পরবর্তীতে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন তাদের জন্য একটি সাসটেইনেবল ইকোনমি রেখে যেতে চাই।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াত আমির শাহজাহান চৌধুরী, মাওলনা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, সাঈদী পুত্র মাওলানা শামীম সাঈদী প্রমুখ।

প্রয়াত ইসলামী বক্তা ও জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর স্মৃতিধন্য এ মাহফিলে চট্টগ্রাম ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে।
মাফিলস্থল ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন সড়কেও অবস্থান নেন আজহারির বক্তব্য শুনতে আসা লোকজন। জনসমুদ্রে পরিণত হয় প্যারেড মাঠ ও সংলগ্ন এলাকা। আগে এ মাহফিলে প্রধান অতিথি থাকতেন সাঈদী।