শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
১০ মাঘ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পকে হত্যা পরিকল্পনার কথা, যে বার্তা পাঠিয়েছে ইরান

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৬

ট্রাম্পকে হত্যা পরিকল্পনার কথা, যে বার্তা পাঠিয়েছে ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার যেকোনো ধরনের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে বাইডেন প্রশাসনের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে ইরান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ট্রাম্পকে হত্যার যেকোনো প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র ‘যুদ্ধ’ বলে বিবেচনা করবে বলে গত সেপ্টেম্বরে ইরানকে সতর্ক করার পর তেহরানের পক্ষ থেকে এই বার্তা পাঠানো হলো।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে বার্তাটি ওয়াশিংটনের কাছে পাঠিয়েছে ইরান। ২০২০ সালে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পেছনে ট্রাম্পের হাত রয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছিলেন, কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে ট্রাম্পকে টার্গেট করতে পারে ইরান। এরই মধ্যে ইরান বার্তা পাঠিয়ে জানাল, ট্রাম্পকে হত্যার কোনো উদ্দেশ্য তাদের নেই।

এই বার্তাটি সম্পর্কে বিশদভাবে অবগত একজন ইরানি কর্মকর্তা ও একজন বিশ্লেষক বলেছেন, ট্রাম্পকে হত্যার কোনো ইচ্ছা ইরানের ছিল না। ইরান হিংসাত্মক উপায়ে কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে চায় না, বরং আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে চায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই সূত্র আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানো বার্তাটি মূলত ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছ থেকে এসেছে।

এ ব্যাপারে জাতিসংঘে ইরানি মিশন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে এক বিবৃতিতে ইরানি মিশন বলেছে, কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের বিচার আইনি প্রক্রিয়ায় করতে ইরান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এর আগে নির্বাচনী প্রচারের সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানে গুলি লাগার ঘটনায় ইরানকে অভিযুক্ত করেছিল মার্কিন কর্মকর্তারা। ওই ঘটনার সঙ্গে ইরানের এক ব্যক্তি জড়িত ছিলেন বলে সম্প্রতি ম্যানহাটনের ফেডারেল প্রসিকিউটররা নিশ্চিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করতে সম্প্রতি ট্রাম্পের মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়া ইলন মাস্ক জাতিসংঘে ইরানি রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানির সঙ্গে একটি ‘গোপন জায়গায়’ বৈঠক করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরো খবর