শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ইরানে ‘জার্মান দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া উচিত’

ইরানের বিশিষ্ট সাংবাদিক হোসাইন শরিয়তমাদারি প্রতিবাদী এক প্রবন্ধে লিখেছেন: ইরানে জার্মান রাষ্ট্রদূত ও জার্মান দূতাবাসকে উপস্থিত থাকতে দেয়ার অর্থ কি ইসরাইলি কনস্যুলেট খোলার অনুমতি দেয়া নয়? সম্প্রতি ইরান জামশিদ শরমাহদ্ নামের এক সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। এই সন্ত্রাসী ছিল তুনদার নামের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রিং-লিডার। ইরানের বহু নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ অনেক ব্যক্তিকে হত্যার দায় […]

নিউজ ডেস্ক

০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১:২৫

ইরানের বিশিষ্ট সাংবাদিক হোসাইন শরিয়তমাদারি প্রতিবাদী এক প্রবন্ধে লিখেছেন: ইরানে জার্মান রাষ্ট্রদূত ও জার্মান দূতাবাসকে উপস্থিত থাকতে দেয়ার অর্থ কি ইসরাইলি কনস্যুলেট খোলার অনুমতি দেয়া নয়?

সম্প্রতি ইরান জামশিদ শরমাহদ্ নামের এক সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। এই সন্ত্রাসী ছিল তুনদার নামের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রিং-লিডার। ইরানের বহু নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ অনেক ব্যক্তিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছিল পশ্চিমা-মদদপুষ্ট এই সন্ত্রাসী। জার্মানির পাসপোর্টধারী এই সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড গত ২৮ অক্টোবর কার্যকর করা হয় আদালতের রায়ের ভিত্তিতে। আপিল ও বিচার-প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করার পর এই শাস্তি তথা উচ্চতর আদালতের রায় কার্যকর করা হয়।

পার্স-টুডে জানিয়েছে, এই সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর জার্মানি অযৌক্তিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং এর জবাবে ইরানের গণমাধ্যমগুলোও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

পশ্চিমাদের মদদে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী নানা গ্রুপ

ইরানের তাসনিম নামক সংবাদ সংস্থা লিখেছে, পশ্চিমা মদদপুষ্ট একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের লিডারের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় জার্মানির কাছে ভালো লাগেনি। জার্মানি ইরানি-জার্মান এই সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিবাদে নিজ রাষ্ট্রদূতকে তেহরান থেকে বার্লিনে ডেকে আনে।

ইরানে জার্মান দূতাবাস ইসরাইলেরই কনস্যুলেট মাত্র এবং তা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত

এদিকে পাল্টা এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বিশিষ্ট সাংবাদিক হোসাইন শরিয়তমাদারি প্রতিবাদী একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। তাঁর প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘জার্মান দূতাবাস নাকি ইসরাইলি কনস্যুলেট?!” তিনি লিখেছেন, জার্মান সরকারের চরিত্র এখন ইসরাইলের মতই এবং এর প্রমাণগুলো অনস্বীকার্য। তাই এতে ন্যুনতম সন্দেহও আর বাকি নেই যে ইরানে জার্মান দূতাবাস ইসরাইলেরই কনস্যুলেট মাত্র এবং তা কি অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত নয়?! তিনি আরও লিখেছেন, ইরানে জার্মান রাষ্ট্রদূত ও জার্মান দূতাবাসকে উপস্থিত থাকতে দেয়ার অর্থ কি ইসরাইলি কনস্যুলেট খোলার অনুমতি দেয়া নয়?

ইরানে এক সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ডে পশ্চিমা অসন্তোষ

ইরানের ‘সিয়াসাতে রুজ বা দৈনিক রাজনীতি’ নামের একটি পত্রিকা পাশ্চাত্য ও মানবাধিকার নামের বড় মিথ্যাচার শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছে, ইরানের উচ্চ আদালতের পরিপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর বহু সংখ্যক হত্যাযজ্ঞের দায়ে দোষী হিসেবে একজন সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় পাশ্চাত্য নিন্দাবাদী নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আর এ থেকেই তাদের ইরান-বিরোধী ও মানবতা-বিরোধী চরিত্র স্পষ্ট হয়েছে।

অশান্তি সৃষ্টিকারী এক সন্ত্রাসীর প্রতি ইউরোপের সমর্থন

ইরান নামক ইরানি দৈনিকও এই ঘটনার বিষয়ে পশ্চিমা প্রতিক্রিয়ার জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচির উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছে, ইউরোপ অধিকৃত ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে আছে। অন্যদিকে একজন সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তেহরান ও ইউরোপের কোনো কোনো রাজধানীর মধ্যে কূটনৈতিক বিতর্ক বা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থনে জার্মান সরকারের দ্রুত গতি

এক ইরানি-জার্মান সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনাকে ঘিরে জার্মানির তিনটি শহরে ইরানি কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছে বার্লিন। এ সম্পর্কে ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ এজেন্সি ইসনা ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে। ওই বক্তব্যে আরাকচি বলেছেন, তুন্‌দার নামক সন্ত্রাসী গ্রুপের রিং লিডার এক ইরানি জার্মান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় জার্মানি দেশটির মিউনিখ, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও হামবুর্গ শহরে ইরানি কনস্যুলেটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে, আর এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই! কারণ জার্মান সরকার এই দিনগুলোতে যুদ্ধ-অপরাধী ইসরাইলের প্রতি সমর্থন দেয়াকে ও ইরানের সঙ্গে জার্মানির গভীর এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ক ক্রমেই ধ্বংস করার কাজকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৫৬

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৫৬

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৫৬

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৫৬