বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

আমাদের সেনাবাহিনী অসহায়; যেখানেই পা রাখবেন সেখানেই সুড়ঙ্গ: ইসরায়েলের সামরিক বিশ্লেষক

গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিরোধ টানেল এবং গেরিলা কৌশল ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি সামরিক বিশ্লেষক আভি আশকেনাজি। তিনি এ লড়াইকে “চামচ দিয়ে সমুদ্র সেঁচার মতো” আখ্যা দিয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘মা’আরিভ’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আশকেনাজি বলেন, “গাজায় যেখানেই আপনি পা রাখবেন, সেখানেই একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। এখনও হাজার হাজার সুড়ঙ্গ চিহ্নিত […]

আমাদের সেনাবাহিনী অসহায়; যেখানেই পা রাখবেন সেখানেই সুড়ঙ্গ: ইসরায়েলের সামরিক বিশ্লেষক

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:০৯

গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিরোধ টানেল এবং গেরিলা কৌশল ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি সামরিক বিশ্লেষক আভি আশকেনাজি।

তিনি এ লড়াইকে

“চামচ দিয়ে সমুদ্র সেঁচার মতো” আখ্যা দিয়েছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘মা’আরিভ’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আশকেনাজি বলেন,

“গাজায় যেখানেই আপনি পা রাখবেন, সেখানেই একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। এখনও হাজার হাজার সুড়ঙ্গ চিহ্নিত করা যায়নি।”

তিনি আরও জানান, “প্রাথমিক ধারণা ছিল হামাস দুর্বল হয়ে গেছে, কিন্তু বাস্তবে তারা এখনও শক্তিশালী এবং সংগঠিত। দক্ষিণ গাজা, বিশেষত রাফাহ ও আল-মাওয়াসি এলাকায় টানেলের মাধ্যমে শত শত যোদ্ধা স্থানান্তর করা হয়েছে।”

সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে গাজার যুদ্ধকে তিনি ইসরাইলের জন্য “অত্যন্ত জটিল ও অবিরাম হুমকি” হিসেবে উল্লেখ করেন। আশকেনাজি বলেন,

“হামাস যোদ্ধারা টানেল থেকে বের হয়ে গুলি চালিয়ে আবার অন্তর্হিত হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা দিনে একাধিকবার ঘটছে, যা সেনাদের সর্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানে থাকার প্রয়োজন তৈরি করছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এটি কি সবসময় সম্ভব?”

এদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রেডিও এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজার যুদ্ধে সেনা সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ গাজার রাফাহ অঞ্চলে রিজার্ভ ব্রিগেড ২০৫ মোতায়েন রয়েছে, কিন্তু মাত্র ৬০ শতাংশ সৈন্যই সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। সেনা ঘাটতির কারণে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করতে পারছে না ইসরায়েলি বাহিনী।

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, রিজার্ভ বাহিনীর অভাব শুধু সংখ্যাগত সমস্যা নয়, এটি মনোবল ও কৌশলগত দুর্বলতারও ইঙ্গিত দেয়। আশকেনাজি বলেন, “ইসরায়েলি বাহিনী যদি বড় আকারে সৈন্য মোতায়েন করে, তাহলে হামাসের গেরিলা বাহিনী তাদের ওপর আরও প্রবল হামলা চালাতে পারে, যা ইসরায়েলি বন্দীদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”

সম্প্রতি ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল ‘কান’-এর এক প্রতিবেদনেও সেনাবাহিনীতে নতুন রিক্রুটের সংকট, রিজার্ভ সেনাদের অসন্তোষ এবং যুদ্ধ ক্লান্তির বাস্তবতা তুলে ধরা হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার ভেতরে প্রতিরোধ টানেল ব্যবস্থাপনা শুধু হামাসের কৌশলগত শক্তির প্রতীক নয়, এটি ইসরাইলি প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সক্ষমতারও ব্যর্থতা নির্দেশ করে। দীর্ঘ সময় ধরেই এই টানেলগুলো ব্যবহার করে হামাস গোপনে অস্ত্র মজুদ, সৈন্য স্থানান্তর ও প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনা করে আসছে, যা ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা দিয়েছে।

মাঠ পর্যায়ের চিত্র বলছে, রাফাহ ও খান ইউনুস এলাকায় টানেলভিত্তিক হামলায় ইসরাইলি বাহিনীর মৃত্যুহার বাড়ছে। পাশাপাশি বন্দী ইসরায়েলি সেনাদের উদ্ধার না হওয়া, গাজায় স্থানীয় জনসমর্থন বৃদ্ধি পাওয়া এবং হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের গতিশীলতা ইসরায়েলের জন্য দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধ জয়ের কৌশলকে দুর্বল করে তুলছে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক অভিযান থেমে নেই। তবে মানবিক বিপর্যয়, ভেঙে পড়া অবকাঠামো এবং যুদ্ধজর্জর জনগণকে ঘিরে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্বেগও ক্রমেই বাড়ছে।

এই প্রেক্ষাপটে সামরিক বিশ্লেষকদের মত, যদি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়, তবে ইসরায়েল কেবল গাজায় নয়, বরং নিজের সামরিক ও রাজনৈতিক অভ্যন্তরেও গুরুতর চাপের মুখে পড়বে। আর হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক যতদিন সক্রিয় থাকবে, ততদিন ইসরায়েলের জয়ের কৌশল চূড়ান্তভাবে সফল হওয়া সম্ভব নয়।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২