ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তিতে যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল এবং এটি কেবল শুরু। মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “এ তো কেবল শুরু।”
ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক বিমান হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪১৩ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়ে এখনো বহু মানুষ আটকে রয়েছেন, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হামলাকে ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজায় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বিমান হামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা হামাসের ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুগুলোতে’ হামলা করেছে। এই অভিযানে গাজার উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ হামাস কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার গাজার সাধারণ মানুষ যখন রমজানের সেহরি খাচ্ছিলেন, তখনই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বোমা হামলা শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান গাজার আকাশে টহল দিচ্ছিল এবং সেগুলো গাজা সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসে বোমাবর্ষণ করে। বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে, চারপাশে ধ্বংসস্তূপ আর আতঙ্কিত মানুষের কান্নার শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছিল না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আগেই এই অভিযানের অনুমোদন দেন। তারা বলেছেন, “হামাসের কাছ থেকে বন্দিদের মুক্তির দাবি এবং পূর্বে প্রস্তাবিত চুক্তি প্রত্যাখ্যানের পর ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে। ভবিষ্যতে হামাসের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী সামরিক পদক্ষেপ নেবে তারা।”
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ক্রমশ চরমে পৌঁছাচ্ছে, গাজায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতানিয়াহুর এই যুদ্ধঘোষণা নতুন করে আরও ভয়াবহ সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরায়েলের লাগাতার আক্রমণে গাজার জনবসতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে এবং সেখানে মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই হামলার নিন্দা জানালেও, ইসরায়েল তাদের সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, যা পুরো অঞ্চলে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?