গাজার পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠেছে, কারণ পবিত্র রমজান মাসের মধ্যেই সেখানে সব ধরনের পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
রোববার (২ মার্চ) সকাল থেকে গাজার দিকে আর কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নেন।
গাজায় পণ্য সরবরাহ বন্ধের ফলে অঞ্চলটিতে দ্রুত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, খাদ্যের জন্য মরিয়া মানুষ রুটি, ময়দা, যা পাওয়া যাচ্ছে তাই সংগ্রহের চেষ্টা করছে, যেন সারাদিন রোজা রাখার পর অন্তত ইফতার করা সম্ভব হয়।
এই সিদ্ধান্তে গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল পর্যন্ত অনেকের আশা ছিল যে হয়তো ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, কিন্তু পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে ইসরায়েল তাদের নিষ্ঠুর পরিকল্পনার আরেকটি ইঙ্গিত দিয়েছে। স্থানীয়রা শঙ্কিত, যে কোনো মুহূর্তে বর্বর বোমা হামলা আবারও শুরু হতে পারে।
এর আগে, ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তিন ধাপে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছিল। প্রথম ধাপের মেয়াদ ছিল ৪২ দিন, যা গতকাল শেষ হয়ে গেছে। এই ধাপ শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার কথা ছিল, কিন্তু ইসরায়েল সেই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। তারা নতুন করে শুধু প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে আরও কিছু জিম্মি মুক্তির শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ তারা মনে করছে, ইসরায়েল এই কৌশল ব্যবহার করে সাময়িকভাবে জিম্মিদের মুক্ত করে আবারও গাজায় আগ্রাসন চালাবে। ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছে, ইসরায়েলের আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং গাজায় আরও ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করা।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?