শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

এবার অরুণাচল নাকি লাদাখ হারাতে চলছে ভারত?

ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান সংঘাতের ইতিহাস প্রায় সাত দশক।১৯৬২ সালে চীনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকে ভারতের মনোকষ্টের অন্ত নেই।সেই যুদ্ধে ভারত হারায় লাদাখের উত্তর-পূর্ব অংশ, যা আজ ‘আকসাই চীন’ নামে পরিচিত, চীনের দখলে চলে যায়।তখন থেকেই ভারত বেদনায় গলছে, তবে সে ক্ষোভ প্রকাশ করার সঠিক উপায় খুঁজে পাচ্ছে না দিল্লি।সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে […]

নিউজ ডেস্ক

২০ জানুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান সংঘাতের ইতিহাস প্রায় সাত দশক।
১৯৬২ সালে চীনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকে ভারতের মনোকষ্টের অন্ত নেই।
সেই যুদ্ধে ভারত হারায় লাদাখের উত্তর-পূর্ব অংশ, যা আজ ‘আকসাই চীন’ নামে পরিচিত, চীনের দখলে চলে যায়।
তখন থেকেই ভারত বেদনায় গলছে, তবে সে ক্ষোভ প্রকাশ করার সঠিক উপায় খুঁজে পাচ্ছে না দিল্লি।
সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে চীন এখন ভারতকে চেপে ধরার জন্য আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সম্প্রতি লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) এলাকায় বিশাল আকারের সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। এটি একটি নিয়মিত অনুশীলন হলেও, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একে হালকা ভাবে নেয়া হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনা সেনারা যুদ্ধকালীন দ্রুত গোলাবারুদ সরবরাহের মহড়া সম্পন্ন করেছে এবং পাহাড়ি এলাকায় যুদ্ধ কৌশলের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। এছাড়া, খাড়া ভূখণ্ডে যানবাহন চলাচলের দক্ষতাও অনুশীলন করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, লাদাখের উচ্চতর পাহাড়ি এলাকায় এই মহড়ার মাধ্যমে চীন হিমালয় অঞ্চলে নিজেদের সামরিক দখল আরও দৃঢ় করেছে।

চীন শুধু সেনার মাধ্যমে নয়, ভারতকে মোকাবিলা করার জন্য সীমান্তে বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামও সংগ্রহ করেছে। পেন্টাগনের তথ্য মতে, চীন ওই অঞ্চলে আধুনিক ট্যাংক, কামান, এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার তৈরি করেছে।
এমনকি, সংঘর্ষ শুরুর আগেই বিশেষ ব্রিগেড ও সামরিক সরঞ্জাম তাদের তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে চীন।

আরো উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। চীন তাদের দূরপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা দ্রুত বাড়াচ্ছে এবং পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারেও প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন।
এই পরিস্থিতিতে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন এবং বিশ্ব শান্তি রক্ষার বিষয়ে দুই দেশের যৌথ সহযোগিতা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
কিন্তু, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে মোদিকে আমন্ত্রণ না জানানো, এবং চীনের প্রতি তার সমর্থন ভারতীয় নেতৃত্বের জন্য একটি সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
এই পরিবর্তিত অবস্থায়, মোদির কপালে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে, এবং মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্পের কাছ থেকে ভারত এবার বিশেষ কোনো সহানুভূতি পাবে না।

আন্তর্জাতিক

ভারতের ফ্লাইট বাতিল ও সতর্কতা জারি

সাইক্লোন ফেঙ্গালের কারণে ৩০ নভেম্বর চেন্নাই এবং তামিলনাড়ুতে একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।ভারী ঝড়ো হাওয়া এবং বিপজ্জনক আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সাইক্লোন ফেঙ্গাল দুপুরে তামিলনাড়ুর উপকূলে আঘাত হানবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।এই কারণে ইন্ডিগো তাদের চেন্নাইয়ের সব ফ্লাইট বাতিল করার […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৯

সাইক্লোন ফেঙ্গালের কারণে ৩০ নভেম্বর চেন্নাই এবং তামিলনাড়ুতে একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।ভারী ঝড়ো হাওয়া এবং বিপজ্জনক আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সাইক্লোন ফেঙ্গাল দুপুরে তামিলনাড়ুর উপকূলে আঘাত হানবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।এই কারণে ইন্ডিগো তাদের চেন্নাইয়ের সব ফ্লাইট বাতিল করার পাশাপাশি কিছু ফ্লাইট অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।

দুপুর ১২.৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা বাতিল ফ্লাইটের ক্ষেত্রে রিফান্ড বা বিকল্প ফ্লাইট বুকিংয়ের সুবিধা পাবেন।এই ঝড়ের কারণে তামিলনাড়ুর একাধিক জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ৪৭১ জনকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঝড়ের কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যেতে সতর্ক করা হয়েছে এবং উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় এক মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের কারণে বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।শ্রীলঙ্কার উপকূল স্পর্শ করার সময় সাইক্লোন ফেঙ্গালের প্রভাবে নিহত হয়েছে ১২ জন যার মধ্যে ছয়জন শিশু।

চেন্নাই সহ তামিলনাড়ুতে এখন সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখা হয়েছে, যাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যায়। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে। সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৪

শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতো তৈরি করে।

সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক-ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গ্লোরিয়া জিনস কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ কার হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।

তাই কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সরবরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতেও হয় না।

আন্তর্জাতিক

হাসপাতালের রোগীদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি স্নাইপাররা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান। ডাক্তার হুসাম […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কামাল আদোয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর স্নাইপাররা তার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী এবং ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর স্টাফদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

তিনি জানান, ইহুদিবাদী স্নাইপাররা গত সোমবার প্রথমবারের মতো আইসিইউ স্টাফদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সমস্ত জানালায় গুলি লেগেছে বলে তিনি জানান।

ডাক্তার হুসাম জানান, হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এই হাসপাতাল সবার জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে।

ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলির সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে থাকা সবাই ঝুঁকির মুখে ছিল এবং রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময় ইসরাইলের কোয়াডকপ্টার থেকেও হাসপাতালের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

তিনি জানান, হাসপাতাল ভবন, এর আশপাশ কিংবা এর ভেতরে যারাই চলাচল করেছে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। হাসপাতালটির সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান পরিচালক হুসাম সাফিয়া।

সূত্রঃ পার্সটুডে