শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

বানিজ্য

থামছে না কেন গার্মেন্টস উত্তেজনা?

সরকারের নানা উদ্যোগের পরও পোশাক খাতের শ্রম অসন্তোষ ও অস্থিরতা কাটছে না। দফায় দফায় মালিক, শ্রমিক ও সরকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার পরও শ্রম অসন্তোষ পুরোপুরি কাটানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্য মূল্যে শ্রমিকদের নিত্যপ্রয়োজনীর পণ্য দেওয়া হচ্ছে। তার পরও পোশাক শিল্পাঞ্চলে শ্রম অসন্তোষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা […]

নিউজ ডেস্ক

২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮

সরকারের নানা উদ্যোগের পরও পোশাক খাতের শ্রম অসন্তোষ ও অস্থিরতা কাটছে না। দফায় দফায় মালিক, শ্রমিক ও সরকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার পরও শ্রম অসন্তোষ পুরোপুরি কাটানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্য মূল্যে শ্রমিকদের নিত্যপ্রয়োজনীর পণ্য দেওয়া হচ্ছে। তার পরও পোশাক শিল্পাঞ্চলে শ্রম অসন্তোষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য ধাপে ধাপে পরিকল্পিতভাবে এই অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। এর পেছনে আওয়ামী লীগের উসকানি. ঝুট সন্ত্রাস, ভারতের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতা এবং মালিকদের পেটোয়া বাহিনীর যোগসূত্র থাকতে পারে।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী ১৫ থেকে ২০ জন পোশাক শিল্পের মালিককে কঠোর নজরদারিতে আনা গেলে এই শ্রম অসন্তোষ থামানো সম্ভব বলে মনে করছেন তারা। তাদের মতে, শ্রম অসন্তোষে পেছন থেকে কমবেশি ৫০ জন মালিক ইন্ধন দিচ্ছেন।শ্রমিক নেতারা জানান, ৯৫ শতাংশ কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ ঘটে বকেয়া বেতনের জন্য।

তবে এখন প্রায় পাঁচ হাজার কারখানার মধ্যে মাত্র কয়েকটিতে বকেয়া রয়েছে। এমন বকেয়া আগেও ছিল। এবার রাজনৈতিক পটপরির্বতনের সুযোগ নিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কিছু অতি উৎসাহী শ্রমিক উদ্ভট সব দাবি করে প্রথমে কারখানার চাকা বন্ধ করে।
পরে তাদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়।

এদিকে বিজিএমইএর তথ্য অনুসারে, গতকালও মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন দুই কারখানার শ্রমিকরা। গাজীপুর মহানগরীর জিরানী ও চক্রবর্তী এলাকার দুটি কারখানার শ্রমিকরা এক মাসের বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

শ্রমিকরা জানান, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় ৪১ হাজার কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে আরএমজি কারখানার শ্রমিকরা সপ্তাহখানেক ধরেই সড়ক অবরোধ করে গত মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে জিরানী ডরিন ফ্যাক্টরির ১৩ জন স্টাফ ছাঁটাই ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল সকাল থেকে একই মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ওই কারখানার শ্রমিকরা।

তবে মূলস্ফীতি আর মজুরি বকেয়ার ফলে শ্রমিকদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। মজুরি না পেলে প্রথমে তারা বাড়িওয়ালার রোষানলে পড়েন। পরে মুদি দোকানের মাসিক বকেয়া নিয়ে অসম্মানের শিকার হতে হয়। এর ফলে বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের মাঠে নামতে হয়।

চলমান শ্রমিক অসন্তোষে বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানাসহ অন্য কয়েকটি কারখানার অসন্তোষ পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, চলমান শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্ট, রাজনৈতিক। বেশির ভাগ কারখানার মালিক আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর। বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই অসন্তোষ।

জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কয়েকটি কারখানার বকেয়া থাকতে পারে। এটাকে পুঁজি করে আগুনে ঘি ঢেলে দিচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ী। এমন ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হবে না। এদের ১৫ থেকে ২০ জনকে কঠোর নজরদারিতে আনা গেলে এই সংকট শিগগিরই থেমে যাবে।’

পোশাক খাত নিয়ে কয়েকজন শ্রমিক নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করে কালের কণ্ঠকে জানান, ক্ষমতার পালাবদলের পর পোশাক কারখানায় কাজ কমছে। ক্রেতারা এখন কার্যাদেশ কমিয়ে দিয়েছে। এর সুযোগ নিচ্ছে প্রতিযোগী দেশ। তাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে। ভারত সরকার নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে পোশাক খাতকে উৎসাহিত করছে।

এদিকে বিজিএমইএর সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে আন্তরিক নয় বিজিএমইএ সহায়ক কমিটি। সরকার সম্প্রতি বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ করে। প্রশাসককে সহায়তার জন্য সহায়ক কমিটিও করা হয়। কিন্তু সেই কমিটিও কার্যকর ভূমিকা রাখছে না বলে অভিযোগ রয়েছে বিজিএমইএ সদস্যদের।

নিট পোশাক খাতের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সরকার পতনের পর তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করে। সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না।

এর সঙ্গে বকেয়া বেতন, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও বিদেশি ষড়যন্ত্র, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে কিছু কারখানা মালিকের অনুপস্থিতিও শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। এই পরিস্থিতিতে ১০-১৫ শতাংশ ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গেছে। কয়েকটি দেশ এই সুযোগ ব্যবহার করে ক্রেতাগোষ্ঠী টানার চেষ্টা করছে।’

একসময়ের দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে। এই সংকটের কারণে শাইনপুকুর সিরামিকস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির বন্ধ কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪টিতে।

গত আগস্ট থেকে বেক্সিমকোর কারখানাগুলো কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে শ্রমিকদের টানা পাঁচ দিনের অবরোধের পর এই সংকট আরো প্রকট হয়ে ওঠে।

বানিজ্য

ভারতের রাফাল ধ্বংসকারী সেই যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

“দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। আমরা কেবল যুদ্ধবিমান নয়, অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ সর্বোচ্চ আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

নিউজ ডেস্ক

১১ মে ২০২৫, ১০:৪১

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জের ধরে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশসীমায় নতুন শক্তির আগমন—চীনের ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান জে-১০সি এখন আলোচনা ও আতঙ্কের কেন্দ্রে। যে বিমান ভারতের বহু কোটির রাফালকে নিঃশব্দে পর্যুদস্ত করেছে, এবার সেই জে-১০সি কিনছে বাংলাদেশ। এতে হুঁশ ফিরেছে দিল্লির, কারণ একাত্তরের পর এই প্রথমবার প্রতিবেশী দেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় এমন বিপর্যয়কর পালাবদল দেখা দিচ্ছে।

ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে জে-১০সি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে অগ্রসর হয়েছে। পাকিস্তানের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় এই বিমান মোতায়েন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যা ভারতের জন্য এক ভয়ঙ্কর বার্তা।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ইতোমধ্যে ১৬টি জে-১০সি সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। পুরোনো F-7 যুদ্ধবিমানের স্থলে এই সুপারসনিক যুদ্ধযন্ত্রগুলো আসবে, যা শুধু প্রতিরক্ষা নয়—যেকোনো আগ্রাসনের মুহূর্তে সরাসরি জবাব দিতে সক্ষম।

বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন,

“দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। আমরা কেবল যুদ্ধবিমান নয়, অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ সর্বোচ্চ আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি শুধু একটি সামরিক কেনাকাটা নয়—এটি দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে শক্তির সমীকরণ বদলে দেবে। যেখানে ভারত এখন পাকিস্তানের পর বাংলাদেশের সঙ্গেও প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়ার হুমকির মুখে।

চীন ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এই চুক্তি। পাকিস্তান ২০২২ সালে ২৫টি জে-১০সি সংগ্রহ করে চীনা প্রভাব জোরদার করেছিল। এবার বাংলাদেশের পদক্ষেপে ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্যে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হলো।

বানিজ্য

বাংলাদেশকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ দুটি নির্ধারিত প্রকল্পে ব্যয় করতে পারবে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস সূত্র থেকে এ বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ […]

বাংলাদেশকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৩৪

বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ দুটি নির্ধারিত প্রকল্পে ব্যয় করতে পারবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস সূত্র থেকে এ বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ ঋণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর ফর বাংলাদেশ গেইল মার্টিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশকে সম্প্রতি যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুটি বড় প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর একটি হলো ‘বে-টার্মিনাল মেরিন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’, যেখানে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্য রয়েছে। এতে করে জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষমতা বাড়বে, যার ফলে পরিবহন ব্যয় এবং সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

বিশ্বব্যাংকের ধারণা, উন্নত বন্দরের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন মাত্রা পাবে। প্রতিদিন গড়ে এক মিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের সম্ভাবনার পাশাপাশি বড় জাহাজ আগমনের সুবিধা তৈরি হবে, যা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত করবে।

এ ছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা ও নারী কর্মীদের জন্য বন্দর-সংক্রান্ত কর্মক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘স্ট্রেন্থেনিং সোশ্যাল প্রোটেকশন ফর ইমপ্রুভড রেজিলিয়েন্স, ইনক্লুশন অ্যান্ড টার্গেটিং (এসএসপিআইআরআইটি)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ২০ কোটি ডলার।

আশা করা হচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, ক্ষুদ্রঋণ এবং পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অন্যষ্ঠানে ইআরডি শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং দেশের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা অর্জনে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো দেশের জলবায়ু স্থিতিশীলতা এবং একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

আর বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি গেইল মার্টিন বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে থাকতে হলে বাংলাদেশকে তার জনসংখ্যার জন্য, বিশেষ করে প্রতি বছর শ্রমবাজারে প্রবেশকারী প্রায় ২০ লাখ যুবকের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।

বাণিজ্য ও রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সবচেয়ে দুর্বলদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি থেকে উত্তরণে ও চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে একটি গেম-চেঞ্জার হবে বিশ্বব্যাংকের এই আর্থিক প্যাকেজটি।