পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পৃথিবীতে একমাত্র রাষ্ট্র ভারত, যার কোনও একটি প্রতিবেশী দেশের সাথেও ভালো সম্পর্ক নেই। দাদাগিরি, অসম্মান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে একে একে সকল প্রতিবেশীকে খেপিয়ে তুলেছে দেশটি। ফলে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত থেকে। বিশ্বায়নের যুগে দিল্লিকে পাস কাটিয়ে যুক্ত হয়েছে নতুন বলয়ে। দিনশেষে এতে ক্ষতি হয়েছে ভারতেরই। আর এসব কারণেই নরেন্দ্র মোদির করুণ পরিণতি দেখছেন বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদি সরকারের উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতির কারণে ভারতের শত্রুতে পরিণত হয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো। সর্বশেষ গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাকে আশ্রয় ও পুনর্বাসন ষড়যন্ত্রে নেমে বাংলাদেশের সাথে চরম বৈরী আচরণ শুরু করেছে দেশটি। এ নিয়ে ঘরে বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার। সচেতন ভারতীয়দের মধ্যেও এনিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
যাার মধ্যে রয়েছে- উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার ও ইরান, পাকিস্তান ও বেলারুশ। এসব দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত বা বিলোপ করা হয়েছে। ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত রয়েছে একজন ব্যক্তি, সামরিক বাহিনী বা একটি নির্দিষ্ট দলের হাতে। এসব দেশের মধ্যে থেকে আগামিতে আর কেউ ক্ষমতাচ্যুত হবেন কিনা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা। ডালপালা মেলছে গুঞ্জন।
আর এতে যেই নামটি ঘুরে ফিরে আসছে তা অবাক করার মতো। তিনি আর কেউ নন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্ষমতার সমনদে বসে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পতন দেখছেন খোদ ভারতের অনেক রাজনীতিবিদ ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
সবশেষ ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের সশস্ত্র অভিযানের মুখে দেশ ছাড়েন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এরফলে শেষ হয় তার দীর্ঘ দুই দশকের শাসন। মাত্র কয়েক মাসের মাথায় আরেক স্বৈরশাসকের পতনে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। শেখ হাসিনা ও বাশার আল আসাদের পর … কে হবেন আরব বসন্তের শিকার? বর্তমানে বেশ কিছু দেশে স্বৈরশাসন বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন চলছে।
এদিকে, ২০২৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সালটিকে বলা হচ্ছিল নির্বাচনের বছর। এসময়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়াসহ ৭২টি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যদিও এর মধ্যে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ ও সিরিয়া। নির্বাচন নামের প্রহসনে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল
এ দুই দেশের স্বৈরশাসক- শেখ হাসিনা ও বাসার আল আসাদ। বাংলাদেশে সেই ক্ষোভ রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন খুনি হাসিনা।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ওপর কর্তৃত্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রকাশ্যে আসে হাসিনা ও মোদির ষড়যন্ত্র।
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ভারতীয়সব গণমাধ্যম। মোদির প্রত্যক্ষ মদদে সয়লাভ হয় বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর কথিত নির্যাতনের খবর। এর জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে। হামলা হয় ভারতের আগরতলায় হামলা হয় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে। মোদির একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ভূমিকায় সমালোচনায় বিদ্ধ ভারত। বাংলাদেশকে অস্থির করে ফায়দা লুটতে চাওয়া ভারত এখন মহাসংকটে সিস্টার্স ইস্যুতে।