সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার তুরস্ক সফরকে দুই দেশের মধ্যে ‘স্থায়ী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা’ শুরুর দিকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী আঙ্কারায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আল-শারার সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এরদোয়ান সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও ঐক্যের বিষয়ে তুরস্কের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
তিনি সিরিয়ার প্রতি তুরস্কের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা আমাদের সিরিয়ান বোন এবং ভাইদের তাদের কঠিন সময়ে ত্যাগ করিনি। এখন এই নতুন যুগে আমরা তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব।’
এরদোয়ান বলেন, ‘ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে আমি আজকের এই সফরকে চিরন্তন বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার এক নতুন যুগের সূচনা হিসেবে দেখছি। আমাদের সকল প্রতিষ্ঠান আমাদের সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে পুনঃনির্মাণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।‘
সিরিয়ার জনগণের নিজেদের দেশকে পুনর্গঠনের ক্ষমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে আমাদের সিরিয়ান বোন এবং ভাইয়েরা তাদের নিজেদের দেশকে পুনর্গঠন করতে পারবে। কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিরোধের ক্ষমতার মাধ্যমে এই অঞ্চলকে অনুপ্রাণিত করে এসেছে।’
এরদোয়ান জানান, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনে সহায়তা করতে প্রস্তুত তুরস্ক। তিনি বিশ্বাস করেন যে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে সিরিয়ার শরণার্থীদের নিজ দেশে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনকে উৎসাহিত করা যাবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয় আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বাধীন হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এর ফলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এইচটিএসের প্রতি সমর্থন ছিল তুরস্কের।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?