শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

ফিচার

‘চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও ভারতকে দখল করতে দেওয়া হবে না’

ভারতের একটি মিডিয়ায় চট্টগ্রামকে ভারতের অংশে যুক্ত করার বিষয়ে এক সাংবাদিকের উপস্থাপন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে বরগুনা ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫০

ভারতের একটি মিডিয়ায় চট্টগ্রামকে ভারতের অংশে যুক্ত করার বিষয়ে এক সাংবাদিকের উপস্থাপন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে বরগুনা ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহদপ্তর সম্পাদক ও সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তার সুমন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ড. মাসুদ বলেছেন, ভারত বাংলাদেশে যে আধিপত্য বিস্তার করেছে সেটি ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট থেকে নিঃশেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তারের আর কোনো সুযোগ ভারত পাবে না। ৫ আগস্ট এদেশের ছাত্র-জনতা শুধু ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেনি আধিপত্য গোষ্ঠীকেও নির্মূল করেছে।

 

তিনি আরও বলেন, শহীদ মতিউর রহমান নিজামী বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করলে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণার পরেই ভারতের ইন্ধনে আওয়ামী লীগ শহীদ মাওলানা নিজামী সহ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের আটক করে সাজানো মামলায় বিচারিক হত্যা করেছে। কারণ জামায়াত নেতারা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করতে দেওয়া হবে না।

 

এ ছাড়া তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হয় না। জামায়াতে ইসলামীতে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অসংখ্য নেতারা রয়েছে। আওয়ামী লীগ একজনকে আটক করলে আরেকজন দায়িত্ব নিতে একদিনও দেরি হয়নি। ফলে জামায়াতে ইসলামী নিঃশেষ করা যায়নি। যারা আল্লাহর দ্বীন কায়েমের আন্দোলন করে। তাদের দুনিয়ার কোনো শক্তি নিঃশেষ করতে পারে না, পারবে না।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, যারা দেশের জন্য উন্নয়ন করে তারা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যায় না। শেখ হাসিনা দেশের জন্য যতটা না উন্নয়ন করেছে তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছে নিজের পরিবার ও দলের। শেখ হাসিনা নিজে প্রকাশ্যে বলেছে, ভারতকে আমি যা দিয়েছি ভারত কখনো তা ভুলতে পারবে না। এজন্যই শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান। তিনি যাদের পাকিস্তান চলে যেতে বলেছেন, তারা কেউ পাকিস্তান যায়নি। কিন্তু তিনি ঠিকই ভারত চলে গেছেন।

পাশাপাশি তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক গৌড় ভারতে। সেজন্যই তারা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের কল্যাণে বেশি কাজ করে এবং করেছে। এজন্যই জনগণ তাদের ভারত পাঠিয়ে দিয়েছে। এবার ছাত্র-জনতার প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।

ব্যক্তির চিন্তা চেতনায় সংস্কার করা হলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর বিধান কোরআনের আলোকে সংস্কার করতে হবে। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেই শান্তি আসবে। ইসলাম ব্যতিত কোনো মতবাদে শান্তি নাই, শান্তি আসবে না। তাই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনে শামিল হতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

বরগুনা ফোরামের সভাপতি ডা. সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মুয়ায্যম হোসাইন হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরগুনা জেলা আমির মাওলানা মহিব্বুল্লাহ হারুন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বরগুনা জেলা সভাপতি সুমন আব্দুল্লাহ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বরগুনা ফোরামের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

পরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পেশাজীবী শাখার সাবেক সাথী ও সদস্যদের কর্মশালায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আধিপত্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদের ওপর ভর করে আর কাউকে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।

৫ আগস্টের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আধিপত্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদের কবর রচনা হয়েছে উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নাকি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে আবার বাংলাদেশে পাঠাবে! আমেরিকা গণতন্ত্রের চর্চা করে এবং আমেরিকা বিশ্বাস করে জনগণের সরকার জনগণই নির্বাচন করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের চর্চা করে না, গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তারা যখনই ক্ষমতা দখল করেছে বিদেশি পরাশক্তির ওপর ভর করে ক্ষমতা দখল করেছে। আবার তারা ক্ষমতা হারিয়ে তাদের আপন ঠিকানা ভারতে পালিয়ে গেছে।

ড. মাসুদ নতুন বাংলাদেশ গড়তে উপস্থিত সাবেক সাথী ও সদস্যদের শপথবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”