সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সাজগোজ

শীতে পা ফাটা রোধ ও পায়ের যত্নে ঘরোয়া টিপস

শীত এলেই বেশীর ভাগ মানুষের একটা কমোন প্রবলেম পা ফাটে যেটা খুবই বিরক্তকর এবং যন্ত্রনাদায়ক এটা লজ্জার ও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যার জন্য অনেক ধরনের ক্রাক গার্ড ,ক্রীম,লিকুইড,মলম,লোশন ও মেডিসিন পাওয়া যায়।তবে আমরা যেহেতু নিয়মিত সাপ্তাহীক ঘরোয়া টিপস দেই, তাই দৈনিক সকাল আজ রবিবার চলে এসেছে আপনাদের ঘরোয়া রূপচর্চা বিষয়ক সমস্যার সমাধান নিয়ে কিছু […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০

শীত এলেই বেশীর ভাগ মানুষের একটা কমোন প্রবলেম পা ফাটে যেটা খুবই বিরক্তকর এবং যন্ত্রনাদায়ক এটা লজ্জার ও কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই সমস্যার জন্য অনেক ধরনের ক্রাক গার্ড ,ক্রীম,লিকুইড,মলম,লোশন ও মেডিসিন পাওয়া যায়।তবে আমরা যেহেতু নিয়মিত সাপ্তাহীক ঘরোয়া টিপস দেই,
তাই দৈনিক সকাল আজ রবিবার চলে এসেছে আপনাদের ঘরোয়া রূপচর্চা বিষয়ক সমস্যার সমাধান নিয়ে কিছু সহজ টিপস নিয়ে, আসুন দেখি আজকের টোটকা।

১, পা ফাটা সমস্যা রোধে প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে ত্বক নরম ও আর্দ্র রাখা। তাই শীতের সময় যা করতে হবে তা হলো, খালি পায়ে না হাঁটা, আরামদায়ক নরম জুতো পরা, পর্যাপ্ত পানি পান করা, নিয়মিত পা ধুয়ে-মুছে কিছুটা ভেজা থাকা অবস্থায় লোশন বা ভেসলিন ব্যবহার করা।

২, ঝামা, পাথর বা পিউমিস পাথর দিয়ে পা ঘষে মরা চামড়া তুলে নেওয়া এবং পরে নারিকেল তেল মালিশ করা।

৩, সুতির মোজা পরে থাকা উচিত। এতে ঠান্ডা, ধুলোবালি, দূষণ থেকে পা ভালো থাকবে।

৪,সপ্তাহে এক দিন পায়ের যত্ন নিতে হবে। আধা বালতি কুসুম গরম পানিতে ১ চিমটি লবণ দিয়ে সেখানে পা আধা ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলে বেশ আরাম পাওয়া যায়।

৫, সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে ফাটা ও ব্যথা কমবে। গ্লিসারিন ত্বক নরম রাখে। অন্যদিকে গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ৩, সি, ডি ও ই। আরও রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান।

দেহের চাহিদা অনুযায়ী প্রচুর পানি পান করা দরকার। নিয়মিত যত্নের পরও যদি সমস্যা না কমে, তবে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

সাজগোজ

জেনে নিন শীতে চুলের যত্ন

চলে এসেছে শীতকাল। এই ঋতুতে উৎসব অনুষ্ঠানের পালা চলতেই থাকে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ত্বক ও চুলের নানা ধরনের সমস্যা। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। এ সময় চুলের যত্ন নিতে হলে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন – ভালো করে আঁচড়ান চুল নিয়মিত আঁচড়ালে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৭

চলে এসেছে শীতকাল। এই ঋতুতে উৎসব অনুষ্ঠানের পালা চলতেই থাকে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ত্বক ও চুলের নানা ধরনের সমস্যা। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।

এ সময় চুলের যত্ন নিতে হলে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন –

ভালো করে আঁচড়ান

চুল নিয়মিত আঁচড়ালে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে করে চুল ও চুলের গোড়া সুস্থ থাকে। তাছাড়া শীতকালে চুলের শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ায় সহজেই চুলে জট বেঁধে যায়। চুল ভালো করে আঁচড়ালে এই সমস্যা থাকবে না।

তেল লাগান

এটি চুলের যত্নের একটি প্রাচীন পদ্ধতি। সপ্তাহে ২-১ বার চুলে তেল লাগানো ভালো। এতে চুল রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচে এবং উজ্জ্বল হয়। তবে তেল দিয়ে অনেকটা সময় রেখে দেওয়া উচিত নয়। এতে চুল সহজে ময়লা ও চিটচিটে হয়ে যায়। রাতে ঘুমানোর আগে গরম তেলের ম্যাসেজ করে সকালে বাইরে যাওয়ার আগে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। গরম তেল ম্যাসাজ করে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা তোয়াল মাথায় জড়িয়ে রাখতে পারেন। এতে চুলের গোড়া হবে শক্ত ও মজবুত।

ভিনেগার দিয়ে চুল ধুয়ে দিন

ভিনেগার চুলের রুক্ষতা দূর করতে খুবই কার্যকরী। এটি চুলে কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। এক মগ পানির সঙ্গে ২ চামচ ভিনেগার মিশিয়ে রেখে শ্যাম্পু করার পর এই ভিনেগার মেশানো পানি মাথায় ঢালতে হবে। এতে করে চুল হবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
আগা ফাটা চুল কেটে ফেলুন।

শ্যাম্পুর বিকল্প

চুলে শ্যাম্পু করতে না চাইলে ১০-১৫টি গ্রিন-টি ব্যাগ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল পরিষ্কারের পাশাপাশি ঝরঝরে থাকবে। সপ্তাহে এক দিন সোডা দিয়েও চুল পরিষ্কার করতে পারেন। চুল ভেজানোর পর সোডা মেখে পাঁচ-সাত মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল নরম হয়, খুশকি দূর হয়। শীতকালে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। তাই চুল ধোয়ার সময় এক মগ পানিতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মাথায় দিতে পারেন। এতে খুশকির সমস্যা দূর হবে।
শীতকালে অনেকের চুলের আগা ফেটে যায়। চুলের আগা ফেটে যাওয়া অংশ কেটে ফেলে দেওয়াই ভালো। এতে চুলের বৃদ্ধি হয় দ্রুত।

চুলে গরম পানি দেবেন না

আবহাওয়া যাই হোক না কেন চুলে কখনোই গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে চুলের গোড়া নরম হয় ও চুলের নানা ক্ষতি হয়। চুলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।

অ্যালোভেরা জেল ম্যাসাজ

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ভূমিকা জাদুকরী। শ্যাম্পু করার আগে অ্যালোভেরার জেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ রাখলে চুলের রুক্ষভাব চলে গিয়ে ময়েশ্চারাইজড হয়।

রুক্ষতা দূর করতে মধু

মধু ঘরোয়া টোটকায় খুবই উপকারী একটি উপাদান। চুল নিঃষ্প্রাণ হয়ে গেলে চুলের গোড়ায় মধু দিয়ে, একটি তোয়াল গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় বেঁধে কিছুক্ষণ রেখে চুল ধুয়ে নিলে চুলের রুক্ষতা কমে। চুল মসৃণ ও সুন্দর হয়।
চুলের যত্নে মাস্ক

চুলের যত্নে শীতকালে কিছু মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। চুল পড়া রোধে নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে ভিটামিন সি ক্যাপসুল ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুলের উপকার হয়। আবার চুলে মসৃণ ও চকচকে ভাব আনার জন্য মধু, টকদই ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

চুল ঢেকে রাখুন

শীতের রুক্ষ আবহাওয়া ও কুয়াশার হাত থেকে চুলকে বাঁচাতে চুল ঢেকে রাখাই ভালো। তাছাড়া শীতকালে বাতাসে ধুলোবালি বেশি থাকে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় চুলে পাতলা কাপড় বা মাফলার জড়িয়ে বের হলে চুল ভালো থাকবে।