বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

নতুন বছরে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা 

মোঃ আলী মোর্তজা, বুটেক্স প্রতিনিধি  নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, নতুন চ্যালেঞ্জ। অস্থিরতা ও পরিবর্তনের বছর ছিল ২০২৪। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ নানা ঘটনাবহুল বছরটিকে বিদায় জানিয়ে নতুন এক বছরে পা রেখেছে শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরাও এই নতুন বছরে নিজেদের প্রত্যাশা পুরণের সাথে সাথে নিজের জীবনকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে প্রস্তুত। বুটেক্সের তরুণ প্রজন্মের […]

নিউজ ডেস্ক

০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৮

মোঃ আলী মোর্তজা, বুটেক্স প্রতিনিধি 
নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, নতুন চ্যালেঞ্জ। অস্থিরতা ও পরিবর্তনের বছর ছিল ২০২৪। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ নানা ঘটনাবহুল বছরটিকে বিদায় জানিয়ে নতুন এক বছরে পা রেখেছে শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরাও এই নতুন বছরে নিজেদের প্রত্যাশা পুরণের সাথে সাথে নিজের জীবনকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে প্রস্তুত।
বুটেক্সের তরুণ প্রজন্মের মনে নতুন বছরের সঙ্গে নতুন স্বপ্নের সঞ্চার হয়েছে। তারা নিজেদের ক্ষমতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে চায়। টেক্সটাইল শিল্পকে আরও উন্নত করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায় এই তরুণ প্রজন্ম।
বুটেক্সের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে আমারা জানতে পেরেছি নতুন বছরে তাদের প্রত্যাশার কথা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ সাগর হোসেন বলেন, ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পরে দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যেনো তার নতুন সজীবতা ফিরে পেয়েছে নতুন উদ্যমে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)-ও এর বাইরে নয়। এবং একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রথম চাওয়া, বুটেক্স পরিপূর্ণ রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে  বিরাজমান থাকবে। হলের মান উন্নয়ন, ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ, খাবারের মান উন্নয়ন কারাসহ নানা কাজ করা হবে। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ এই দিকগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করবেন। নতুন একটি হল করার প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে আমাদের, প্রত্যাশা করি তা যেনো নির্দিষ্ট সময়ে সেটা বাস্তবায়িত হয়।
এছাড়া, হলগুলোতে শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ বজায় থাকুক এবং ছাত্র শিক্ষকের যে মিলবন্ধন তা অটুট থাকুক। সামনের বছরে আমাদের ৪৬তম ব্যাচের বিদায়ে ২০২৪ এর মতো ফেস্ট উদযাপিত হবার প্রত্যাশা রাখি। তাছাড়া সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। ৪৬ তম ব্যাচ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে ৫ বছর ধরে অধ্যয়নরত বুটেক্স ক্যাম্পাসে। আমাদের এইচএসসি সেশনের (২০১৯-২০) বন্ধুবান্ধব অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের স্নাতক সম্পন্ন করেছে অথবা প্রায় শেষের পথে। আমাদের যেনো দ্রুতসময়ে স্নাতক শেষ করার ব্যবস্থা করা হয় সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দৃষ্টি আশা করতেছি। সর্বশেষে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটুক ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে। সার্বিক নিরাপত্তায়, বহিরাগতদের যেনো ক্যাম্পাস ও হলে প্রবেশ করতে দেওয়া না হয়। সর্বোপরি বুটেক্স একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস হোক আমাদের জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল হক রাইহান বলেন, আমার স্বপ্নের বুটেক্স হবে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে জ্ঞানের গভীরতা, নৈতিক মূল্যবোধ, এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতি মিলেমিশে এক নতুন পথ তৈরি করবে। এজন্য নিজের ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক প্রসূত কিছু প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করতে পারি যা বাস্তবায়ন করলে হয়তোবা নতুন বছরের বুটেক্স সবার স্বপ্নের বুটেক্স হতেও পারে:
১। গবেষণার শক্ত ভিত্তি প্রতিস্থাপন: বুটেক্সকে তার গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা, এবং রাষ্ট্রীয় ও বৈশ্বিক সমস্যার সমাধানে গবেষণাকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে। টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের গবেষণা হবে বিশ্বমানের।
২। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ ২.০ এর অনন্য পরিচিতি প্রতিষ্ঠা: বুটেক্সকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিচিত করতে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও গবেষণা বিনিময়ের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন, বিশ্বমানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী আনয়ন, বৈদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি, এবং বৈশ্বিক ফোরামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বুটেক্সকে বিশ্বের মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করতে হবে।
৩। পারিপার্শ্বিক গণ্ডি প্রসার: বুটেক্সের গণ্ডি শুধু একাডেমিক ভবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অবকাঠামোর দ্রুত ও স্থায়ী প্রসারসহ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন, মাঠ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার সুযোগ দেওয়া, এবং বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বুটেক্সকে আরও বিস্তৃত করতে হবে।
৪। উদ্ভাবন ও সংস্কৃতির সংমিশ্রণ: বুটেক্সের প্রতিটি কার্যক্রম এমনভাবে পরিচালিত হোক, যেখানে উদ্ভাবনী চিন্তা এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সংমিশ্রণ ঘটে। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের সৃজনশীলতাকে কেবল পেশাগত জীবনে নয়, বরং মানবিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগাতে পারে।
যেদিন বুটেক্স এই নবজাগরণের পথে এগিয়ে যাবে, সেদিনই হবে বুটেক্সের প্রকৃত নতুন বছর। এ যাত্রার জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বুটেক্সের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন কথা বলে—উন্নয়ন, উদ্ভাবন, এবং নেতৃত্বের গল্প।
 বুটেক্স, এখন সময় এগিয়ে যাওয়ার, সময় নতুন ভবিষ্যতের দিগন্ত উন্মোচনের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, ২০২৪এ বুটেক্স অনেক চড়াই-উতরাই পার করেছে, সম্মুখীন হয়েছে বহু প্রতিকূলতার পাশাপাশি এনেছে বেশ কিছু সম্ভাবনাময় পরিবর্তন। আশা করছি ২০২৫ এর বুটেক্স এক নতুন উদ্যমে তার যাত্রা শুরু করবে। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রত্যাশা থাকে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর। যেখানে আমরা দেখতে পেরেছি, বুটেক্স তার অধিকাংশই নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতা, উপযুক্ত গবেষণার পরিবেশ না থাকা, শিক্ষক এবং ক্লাসরুম সংকট, ফলাফল পদ্ধতির ডিজিটালাইজেশন না থাকা ইত্যাদি বহু বছর ধরে চলমান সমস্যা। আশা করছি নতুন বছরে বুটেক্স প্রশাসন উক্ত সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবে পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও তাদের সর্বোচ্চ প্র‍য়াস করবে যাতে সম্মিলিত উদ্যগে বুটেক্স সংস্কারের কাজ করা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নাঈম বলেন, নতুন বছরের বুটেক্স শিক্ষার্থী হিসেবে, আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রত্যাশাগুলো:
প্রথমত, গুণগত মানের শিক্ষা। আমি আশা করি, এখানে এমন একটি শিক্ষার পরিবেশ পাব যেখানে শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান নয়, বরং বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান শেখানো হবে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রত্যেকটি বিষয়কে গভীরভাবে বোঝার পাশাপাশি বাস্তবমুখী দক্ষতা অর্জনের সুযোগ চাই।
দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন। আমি চাই আমাদের ল্যাবগুলো আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত হোক, যাতে আমরা শিল্পখাতে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারি এবং তা প্রয়োগ করতে শিখি।
তৃতীয়ত, ক্যাম্পাসের পরিবেশ। শিক্ষাজীবন উপভোগ্য করতে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ক্যাম্পাস পরিবেশ অপরিহার্য। পাশাপাশি আবাসন ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়া এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নত হওয়া উচিত।
অবশেষে, আত্মোন্নয়ন ও নেতৃস্থানীয় দক্ষতা অর্জন। আমি আশা করি, বুটেক্স আমাকে শুধু একজন দক্ষ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নয়, একজন দায়িত্বশীল ও সৃজনশীল নেতা হিসেবে গড়ে তুলবে।
আমার এই প্রত্যাশাগুলো শুধু আমার স্বপ্ন নয়, বরং আমি বিশ্বাস করি, এগুলো অর্জনের মধ্য দিয়েই আমি বুটেক্সের গৌরবকে আরও উজ্জ্বল করতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইজ অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী শরীফ আবির আহমেদ অনি বলেন, নতুন বছরের সূচনা আমাদের প্রত্যেকের জন্য নতুন আশা, নতুন পরিকল্পনা এবং নতুন উদ্যম নিয়ে আসে। আমরা যারা বুটেক্সের শিক্ষার্থী, আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এখানে কাটছে। আমরা প্রত্যাশা করি একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা। বিশ্ব যখন প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমাদের শিক্ষাক্রমেও সেই উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া দরকার। আমরা চাই, এমন একটি পরিবেশ যেখানে গবেষণার সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের কাজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হবে। আমরা চাই আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধাগুলো আরও উন্নত হোক। নতুন ল্যাব, লাইব্রেরি, এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ ও প্রগতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যাশার অন্যতম অংশ। যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থী নির্বিঘ্নে তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
বিষয়ঃ

শিক্ষাঙ্গন

সেনবাগে আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি

আমজাদ শিবলু:  নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা  প্রতিনিধি  নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি । নতুন সাজে সজ্জিত একাডেমির নতুন ভবনের উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।   রবিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার অর্জুতলাতে একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাডেমির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৯ মে ২০২৫, ১৩:২৮

আমজাদ শিবলু:  নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা  প্রতিনিধি 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আধুনিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি । নতুন সাজে সজ্জিত একাডেমির নতুন ভবনের উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

রবিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার অর্জুতলাতে একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাডেমির চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং টপস্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ । 

এসময় সৌরভ হোসনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এসএফ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং  নারী উদ্যোক্তা সৈয়দা সাজেদা রশীদ শেলী, সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আবদুল জব্বার, ছিলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন,

৫ নং অর্জুনতলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মির্জা সোলাইমান,  কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ইউসুফ মজুমদার সহ অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

 এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একাডেমির আধুনিকীকরণ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে লায়ন সৈয়দ হারুন  বলেন  “বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য যুগোপযোগী নানা সুবিধার সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে।

উদ্বোধনের আকর্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত সুসজ্জিত স্কুল ভবন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি স্কুল ড্রেস।  চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা প্লে থেকে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য মক্তব শিক্ষা।

শিশুদের মানসিক বিকাশে কিডস এন্টারটেইনমেন্ট ও প্লে-জোন অভিভাবকদের জন্য টিভি ও পত্রিকা সহ আরামদায়ক ওয়েটিং রুম সিসিটিভি ক্যামেরায় স্কুলের কার্যক্রমের নিরবিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ। এবং আমাদের  সিইও স্যারের জন্য নির্ধারিত সুসজ্জিত অফিস কক্ষ। 

লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ তার বক্তব্যে আরো বলেন আমাদের এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিন্দু পরিমাণ আর্থিক লাভের আশা আমরা করি না। 

প্রতিষ্ঠানের সফলতা দেখলে আমরা আত্মতৃপ্তি পাই। আমার মাঝে মাঝে খুবই ইচ্ছে করে এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে যেটা আমার স্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন” এছাড়া অন্যান্য বক্তারা বলেন এই একাডেমি কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম।

এখানে আধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষারও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেনবাগের পাশাপাশি একটা সময় সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।

শিক্ষাঙ্গন

কক্সবাজারে র‍্যাবিস ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে যবিপ্রবির ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক

মেহেদী হাসান, যবিপ্রবি প্রতিনিধি: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৪ দিনের (২৬—২৯ মে) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক।  যুগান্তকারী এ গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিতে ৭১.৪% কুকুরকে র‍্যাবিসের টিকা দেওয়া হয় যা র‍্যাবিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ১২:১৪

মেহেদী হাসান, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৪ দিনের (২৬—২৯ মে) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক। 

যুগান্তকারী এ গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিতে ৭১.৪% কুকুরকে র‍্যাবিসের টিকা দেওয়া হয় যা র‍্যাবিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় হার্ড ইমিউনিটির ৭০% সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।

যবিপ্রবি’র ইন্টার্ন ডাক্তার রেজাউল হাসান ফাহিম বলেন, এখানে অংশ নেওয়া ছিল একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্পে মানুষ

ও প্রাণীদের জন্য একসঙ্গে কাজ করে র‍্যাবিস নির্মূলের চেষ্টা একজন প্রাণীপ্রেমীর কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। টানা দুই দিন ঝড় বৃষ্টি থাকার পরও আমরা ৭১.৪% কুকুরকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, এটি জাতীয় পর্যায়ে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিকে পুনর্জীবিত করার এক শক্তিশালী সূচনা। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে সীমান্তজুড়ে র‍্যাবিস নিয়ন্ত্রণে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত।

উল্লেখ্য, এই টিকাদান কর্মসূচিতে প্রধান ভূমিকা রাখে অবয়ারণ্য, মিশন র‍্যাবিস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভেটেরিনারি সার্ভিস (ডব্লিউবিএস)। ডব্লিউবিএস ২০০৩ সাল থেকে প্রানীকল্যাণ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪১১

শিক্ষাঙ্গন

ঢাকার ২১টি কোরবানির হাটে পশু চিকিৎসাসেবায় শেকৃবির শতাধিক শিক্ষার্থী

শেকৃবি প্রতিনিধিঃ এবার ঢাকার কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যসম্মত, প্রতারামুক্ত পশু বিক্রয় ও সেবা নিশ্চিত করতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ১০২ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মাঠ পর্যায়ে সেবা প্রদান করবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩টি হাটসহ মোট ২১টি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের সঙ্গে কাজ করবেন শিক্ষার্থীরা। […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ২০:০১

শেকৃবি প্রতিনিধিঃ

এবার ঢাকার কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যসম্মত, প্রতারামুক্ত পশু বিক্রয় ও সেবা নিশ্চিত করতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ১০২ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মাঠ পর্যায়ে সেবা প্রদান করবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩টি হাটসহ মোট ২১টি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের সঙ্গে কাজ করবেন শিক্ষার্থীরা।

একজন দক্ষ ভেটেরিনারিয়ানের নেতৃত্বে প্রতিটি হাটে শিক্ষার্থীরা কাজ করবেন। বড় বাজারগুলোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টিম দায়িত্ব পালন করবে।

শিক্ষার্থীরা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অসুস্থ বা হরমোন প্রয়োগ করা পশু শনাক্ত, প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির কাজ করবেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে তারা পশুর অসুস্থতা শনাক্তের লক্ষণসমূহ সম্পর্কে তথ্য বিতরণ করবেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবারের কোরবানির ঈদে সারাদেশে ৩৬০০টি হাট বসবে এবং এসব হাটে মোট ২০০০টি মোবাইল ভেটেরিনারি টিম দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকার হাটগুলোতে শেকৃবির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এই জাতীয় প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

“পবিত্র ঈদুল আযহা ২০২৫ উপলক্ষে কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভায়” শেকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম জানান, “আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু হাতে নয়, মন দিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে মাঠে নামছে।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, “এই উদ্যোগ পশু কল্যাণ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ।”

শিক্ষার্থীদের প্রদর্শিত সচেতনতামূলক বার্তাগুলোতে হরমোন প্রয়োগের লক্ষণ, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিজনিত অস্বাভাবিক আচরণ, নাক-মুখ দিয়ে অতিরিক্ত স্রাব বা লালা পড়া, দাঁড়িয়ে থাকতে না পারা, খাবারে অনীহা ইত্যাদির বিষয় তুলে ধরা হয়।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪১১