মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড ২.০

আলভী আহমেদ, বুটেক্স প্রতিনিধি  আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (বিওয়াইডিসি) আয়োজিত ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড ২.০ বুটেক্স ক্যাম্পাসে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ আয়োজনে দেশের ৩৫টি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এই ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং […]

নিউজ ডেস্ক

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২১

আলভী আহমেদ, বুটেক্স প্রতিনিধি 
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (বিওয়াইডিসি) আয়োজিত ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড ২.০ বুটেক্স ক্যাম্পাসে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ আয়োজনে দেশের ৩৫টি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এই ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সুযোগ করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিওয়াইডিসি  এর সভাপতি মো: সাকিব আহমেদের সভাপতিত্বে বিওয়াইডিসি এ বছর অলিম্পিয়াড আয়োজন করে, যেখানে প্রায় ৬০০ এর অধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে আবেদন করেন।
এই অলিম্পিয়াডকে সফল করতে বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী ইভেন্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্য থেকে দশজনকে শ্রেষ্ঠ ইভেন্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতাটি চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে: টেক্সটাইল কেইস প্রতিযোগিতা, টেক্সটাইল কুইজ প্রতিযোগিতা (বহুনির্বাচনি ও ভাইভা), টেক্সটাইল পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং টেক্সটাইল কনটেন্ট রাইটিং। টেক্সটাইল কুইজ প্রতিযোগিতাটি আবার দুটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত ছিল। জুনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এবং সিনিয়র ক্যাটাগরিতে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা এক বা একাধিক ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার সুযোগ পান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন । সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অকো-টেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো: আবদুস সোবহান সিআইপি ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মইদুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদার, ক্লাবটির মডারেটর ড. মোহাম্মদ ইমদাদ সরকার এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
প্রতিটি বিভাগে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রতিভা ও দক্ষতার প্রমাণ দেন। অলিম্প্যাডে পোস্টার প্রেজেন্টেশন ক্যাটাগরিতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে টিম টুইস্ট, টিম নেক্সাস ও টিম সেফায়াজ স্কোয়াড। কেইস কম্পিটিশনে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে বুটেক্সের টিম স্মল কাউন্সিল, ভিভেরে ও সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের  ফাইবার ফোরস। কন্টেন্ট রাইটিং কম্পিটিশনে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে বুটেক্সের তাহাসিন প্রীতি, গভ. কলেজ অফ অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স এর নেহা ও বুটেক্সের রুবায়েত জাহান। কুইজ প্রতিযোগিতায় সিনিয়র ও জুনিয়র ক্যাটাগরতে প্রথম হয়েছেন বুটেক্সের দুইজন শিক্ষার্থী যথাক্রমে আফিয়া ইসলাম সামিরা ও সাদিক হাসান পাবন।
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তারেক হোসেন বলেন, বুটেক্স ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব সাধারণত শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে কাজ করে থাকে। যদিও এই ক্লাবের যাত্রা ২০২৩ সালে, মাত্র এক বছরেই ক্লাবটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল রিলেটেড কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পৌছে গেছে। গত বছর আমরা বুটেক্সসহ ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সটাইল কলেজ নিয়ে একটি ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড এর আয়োজন করি। অলিম্পিয়াডে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকে ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াড ২.০ আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামে ৫টি সেগমেন্ট রাখা হয়েছে। আর সব সেগমেন্টের চূড়ান্ত পর্ব বুটেক্স ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়াও বুটেক্স ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব শিক্ষার্থীরা কিভাবে তাদের পরবর্তী পেশাগত জীবনে ভালো করতে পারবে সেটা নিয়েও কাজ করে থাকে। বুটেক্স ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব বিশ্বাস করে এই ন্যাশনাল টেক্সটাইল অলিম্পিয়াডটি অন্যান্য অলিম্পিয়াডের মতো ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখবে।

শিক্ষাঙ্গন

গকসু নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা: সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী […]

গকসু নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

ছবি সংগৃহীত

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪

সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা:

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের মো. রায়হান খান। সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছেন সামিউল হাসান শোভন।

প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন এবারের নির্বাচনে। ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬৩ জন প্রার্থী, মোট ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনার দৃশ্য এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হলেও স্বচ্ছতা নিয়ে কিছু প্রার্থী প্রশ্ন তোলেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, গকসুর অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন— কোষাধ্যক্ষ পদে খন্দকার আব্দুর রহিম। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ফয়সাল আহমেদ। সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল নোমান। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. মারুফ। সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লীশা চাকমা।

দপ্তর সম্পাদক পদে শারমিন আক্তার। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. জান্নাতুল ফেরদৌস। সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে মো. মনোয়ার হোসেন অন্তর।

কৃষি অনুষদে বিজয়ী হয়েছেন মহিউল আলম দোলন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে জয় পেয়েছেন মো. হুমায়ুন কবির।

কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন শাকিল আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ অলি, মো. মেহেদি হাসান, মিনতুজ আক্তার মিম। 

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন মেহেরুন খিলজি মিতু, মো. ইমদাদুল হক মিলন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদে দুজন বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন নাশরুন সেঁজুতি অরণি ও পার্থ সরকার।

প্রসঙ্গত, দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) চালু রয়েছে ছাত্র সংসদ। ২০১৩ সালে প্রথমবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

তবে প্রশাসনের জটিলতায় নির্বাচিত সংসদ পুরো মেয়াদ কাজ করতে পারেনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর গকসুর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সংসদ নির্বাচন।

শিক্ষাঙ্গন

ভিপিতে জিতু-আদিবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জিএসে এগিয়ে শিবিরের মাজহার

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দু-দিন ধরে চলছে ভোট গণনা। ইতোমধ্যে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের গণনা চলছে। এরই মধ্যে ৫টি হলের তথ্যে জানা গেছে, ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে স্বতন্ত্র ও শিবির সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে কিছুটা এগিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন ও […]

ভিপিতে জিতু-আদিবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জিএসে এগিয়ে শিবিরের মাজহার

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১০

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দু-দিন ধরে চলছে ভোট গণনা। ইতোমধ্যে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের গণনা চলছে। এরই মধ্যে ৫টি হলের তথ্যে জানা গেছে, ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে স্বতন্ত্র ও শিবির সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে কিছুটা এগিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন ও ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী। তবে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ও এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পুরুষ ও নারী পদে এগিয়ে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত ৫টি হলের তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও শিবির সমর্থিত প্রার্থী সমান ১২৩টি করে ভোট পেয়েছেন। এই পদে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ৫১ ভোট। এই হলে জিএস পদে শিবিরের মাজহার পেয়েছেন ২২৮ ভোট, বাগছাসের তৌহিদ সিয়াম পেয়েছেন ৪৯ ভোট। এছাড়াও নারী এজিএসে শিবির সমর্থিত আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা যেখানে ১৯৫ ভোট পেয়েছেন, বাগছাস সমর্থিত মালিহা নামলাহ পেয়েছেন ৮২ ভোট।

১০নং হলে (সাবেক শেখ মুজিব হল) ভিপি পদে জিতু ১৭৫টি, আদিব পেয়েছেন ১৩০টি ভোট।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল কেন্দ্রে ভিপি পদে জিতু পেয়েছেন ৮৯, আদিব, ৮১ ভোট।

ওপরের দুই হলে ভিপিতে জিতু এগিয়ে থাকলেও মীর মশাররফ হোসেন হলে তাকে পেছনে ফেলেছেন আদিব। সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এই প্রার্থী মীর মোশাররফ হোসেন হলে ১১৫ ভোট পেয়েছেন, পাঁচ ভোট কম তথা ১১০ ভোট পেয়েছেন জিতু। জিএস পদে এই হলে মাজহার ১৫৯ ভোট, সিয়াম পেয়েছেন ৪০ ভোট। এজিএসে ফেরদৌস ১৪৭টি ভোট পেয়েছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আয়ান পেয়েছেন ৭০ ভোট

প্রীতিলতা হলে ভিপি পদে জিতু ৬৫ ভোট, আদিব পেয়েছেন ৪৭ ভোট। উজ্জ্বল ১৭ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় বহুল আকাঙ্ক্ষিত জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন। যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোটার তথা ৮ হাজারের মতো ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে ভোট গণনা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে না হয়ে হাতে গোনা পদ্ধতিতে হওয়ায় ৩৩ ঘণ্টায়ও ফল প্রকাশ করতে পারে জাকসু নির্বাচন কমিশন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলমান রয়েছে।

শিক্ষাঙ্গন

‘জাকসুতে ভোট কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলেআমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব,কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপি কিংবা জাল ভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব বলে মনে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন। মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা হলগুলোতে কয়েক স্তরে ভোটারদের তথ্য […]

‘জাকসুতে ভোট কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলেআমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব,কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১৬

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপি কিংবা জাল ভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব বলে মনে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা হলগুলোতে কয়েক স্তরে ভোটারদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ভোটগ্রহণ করেছি। সেখানে একাধিক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিল। পোলিং অফিসার, রিটার্নিং কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ এবং জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হয়েছে। সবার সামনেই ভোট হয়েছে। কেউ আমাকে ভোট কারচুপি কিংবা জালিয়াতির মতো কোনো অভিযোগ করেননি।’

তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষের দাবির কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হয়েছে, যা ফল বিলম্বের একমাত্র কারণ। যারা পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে জাকসুকে বিতর্কিত করতে চেয়েছে।

যদি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্যের অভিযোগ থাকে, তাহলে ভোটগ্রহণের দিন পদত্যাগ না করে আজ কেন তিনি পদত্যাগ করলেন? এ থেকেই বোঝা যায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোট গণনার কাজে একাধিক শিক্ষক সম্পৃক্ত রয়েছেন। এখানেও সবকিছু সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই হচ্ছে। ভালোমন্দ তারা বিচার করবেন। তবে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, কারচুপি কিংবা জালভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব। কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না।’