জনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা
যে ডাক্তার মানুষের জীবন বাঁচায় সেই মানুষটির সংখ্যাই অনেক কম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বর্তমানে এমন কোনো জিনিস নেই তাতে ভেজাল নেই। আর সে ভেজাল জিনিস খেয়েই বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধে মানুষ প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে রোগী-স্বজনরা।
তবে সদর হাসপাতালের শয্যা ও আয়তাকার বেড়েছে ঠিকই কিন্তু ২১ বছরেও জনবল সঙ্কট রয়েই গেছে। যার ফলে আগের থেকে রোগীর সংখ্যা ৪/৫ গুণ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিনিত সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে রোগীদের।
অথচ এই সদর হাসপাতালটি সরকারী হলেও সরকারের নজর বা দায়িত্ববোধ না থাকায় যেমন ডাক্তার নার্সদের হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সঙ্কটের কথা স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সীমিত থাকলেও আমাদের সাধ্যমত সেবা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ৫০ শয্যার হওয়ায় ২০০৩ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু সেই মোতাবেক চিকিৎসক, সেবিকাসহ বাড়ানো হয়নি জনবল।
অথচ প্রতিদিন জেলার দূর-দূরন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রায় এক হাজার রোগী প্রতিদিন বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেন।
এছাড়াও প্রায় ৪শ’র বেশি রোগী ভর্তি থাকে সবসময়। ভর্তিথাকা রোগীদের ১০০ জনের জন্য খাবার বরাদ্দ থাকলেও বাকিদের বাইরে থেকে তা আনতে হয়। বাড়ী থেকে আনা বিছানা-চাঁদর দিয়ে শয্যা বানাতে হয় হাসপাতালের মেঝেতে।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, এখানে রোগী যত বেশি, সেবিকা বা চিকিৎসকের সংখ্যা সে তুলনায় কম। ফলে চিকিৎসার ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত শয্যা। অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে এসে ভর্তি হয় এবং সেবা নেয় মেঝেতে নিজ দায়িত্বে শয্যা তৈরি করে। আর যে ঘরগুলোতে রোগীরা ভর্তি থাকেন সেগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না। কয়েকটিতে ঠিকমত বাতি আর পাখাও চলে না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ বলেন, ‘১০০ বেডের এই হাসপাতালটি চলছে ৫০ বেডের লোকবল নিয়ে। ২১ বছরেও এ হাসপাতালের লোকবল বাড়েনি। তবে শয্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এত অসুবিধার মধ্যেও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।’
লোকবল ও সুযোগ সুবিধা বাড়ানো গেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে আরও সেবা দেয়া সম্ভব বলে দাবি করা হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?