ফয়সাল আহমাদ , শ্রীপুর প্রতিনিধি (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে বন বিভাগের জমিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের তাঁতি সুতা গ্রামে শেখবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস নামে এক পুলিশ সদস্যের ধারালো দায়ের কোপে এক কৃষকের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং উভয় পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন মৃত হাবিজ উদ্দিনের ছেলে (কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া কৃষক) হযরত আলী শেখ (৬৫), তার ছোট ভাই নাসির উদ্দিন শেখের স্ত্রী জাহানারা (৬৫)।
একই গ্রামের মৃত রাম দুলাল বিশ্বাসের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস (৫২), তার বড় ভাই অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাস (৬২) ও তার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী সঙ্গীতা বিশ্বাস (১৭)। পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তাঁতি সুতা (দক্ষিণ পাড়া) গ্রামের কৃষক হযরত আলী শেখ ২০২৪ সালে বন বিভাগের থেকে লিজ নিয়ে সেখানে গাছের চারা রোপণ করেন। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষের লোকজন একই গ্রামের মৃত রাম দুলাল বিশ্বাস গাছের চারা রোপণে বাধা সৃষ্টি করলে বন বিভাগ দ্বিতীয় পক্ষের ব্যক্তিদের নামে মামলা করে।
এরপর প্রথম পক্ষের লোকজন পুনরায় ওই জমিতে গাছের চারা রোপণ করলে দ্বিতীয় পক্ষের লোকজন বাধা সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় পক্ষের মৃত রাম দুলাল বিশ্বাসের ছেলে পুলিশ সদস্য অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস লোকজন নিয়ে জমি চাষের জন্য গেলে প্রথম পক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করেন।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্য অমৃত চন্দ্র বিশ্বাসের দা দিয়ে কোপ দিলে কৃষক হযরত আলী শেখের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুদেব চক্রবর্তী বলেন, হযরত আলী নামে এক কৃষকের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?