ঈদুল ফিতরের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসেই বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে নেপালে রফতানি হলো ২৫২ মেট্রিক টন এস্টারিক্স জাতের আলু। দেশের কৃষিপণ্য রফতানিতে এটি এক ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষ করে উত্তরের জেলার কৃষকদের জন্য।
রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে নেপালের উদ্দেশ্যে কয়েকটি ট্রাকে পাঠানো হয় এই আলুর চালান। রফতানিকৃত আলুগুলোর মধ্যে ১৪৭ মেট্রিক টন সরবরাহ করেছে ‘থিংকস টু সাপ্লাই’ এবং বাকি ১০৫ মেট্রিক টন পাঠিয়েছে ‘স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ’।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, “চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে মোট ২ হাজার ৫৮৩ মেট্রিক টন আলু রফতানি হয়েছে। এই রফতানি কার্যক্রম দেশের কৃষিখাত, বিশেষ করে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুরের আলুচাষিদের জন্য বড় উৎসাহ।”
তিনি আরও বলেন, “আলুগুলো বন্দর ইয়ার্ডে প্রবেশ করার পর স্বাস্থ্য ও মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুরের দিকে এগুলো নেপালে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়।”
উল্লেখ্য, ‘থিংকস টু সাপ্লাই’ এবং ‘স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ’ প্রতিষ্ঠান দুটি মূলত উত্তরের জেলা থেকে আলু সংগ্রহ করে রফতানি করে থাকে। তাদের এই ধারাবাহিক কার্যক্রমে নেপালের বাজারে বাংলাদেশের আলু সুনাম অর্জন করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কৃষিপণ্য রফতানিতে সরকারের নীতিগত সহায়তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কৃষকদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। আলু রফতানির এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও তা হবে ইতিবাচক ইঙ্গিত।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর যে কেবল একটি সীমান্ত পয়েন্ট নয়, বরং তা উত্তরাঞ্চলের কৃষিভিত্তিক রফতানি বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে—এই রফতানির তথ্য তারই প্রমাণ।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?