বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

আলেমদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের সাথে জড়িত তুরিনের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি!

‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’ বাংলা ভাষার জনপ্রিয় এই প্রবাদের সাথে মিলে যায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম দোসর ও আলেমদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের সাথে জড়িত তুরিন আফরোজের বর্তমান অবস্থা। ক্ষমতার কি দাম্ভিকতাই না ছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর সাবেক এই প্রসিকিউটরের। ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আলেমদের ওপর যে নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন […]

আলেমদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের সাথে জড়িত তুরিনের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৩৮

‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’ বাংলা ভাষার জনপ্রিয় এই প্রবাদের সাথে মিলে যায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম দোসর ও আলেমদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের সাথে জড়িত তুরিন আফরোজের বর্তমান অবস্থা। ক্ষমতার কি দাম্ভিকতাই না ছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর সাবেক এই প্রসিকিউটরের।

২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আলেমদের ওপর যে নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তুরিন। বর্তমানে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন স্বৈরাচারের এই দোসর।

আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো আলেমদের গণহত্যাকারী তুরিনের বহুমুখি অপরাধ চিত্রের নানা আদ্যোপান্ত। ইসলাম বিরোধী তুরিন ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনকালে যা করেছেন তা একজন মুসলমান হিসেবে ক্ষমার অযোগ্য চরম নির্লজ্জতাও বটে।

২০১৩ এর সেই শাপলা চত্বরের গণহত্যা থেকে শুরু করে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী নেতা ও দেশবরণ্য আলেমদের কথিত রাজাকারের ট্যাগ লাগিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারতে আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রকাশ্যে সাহায্য করেছেন মুসলমান নমধারী এই নাস্তিক।

মনে আছে গণজাগরণ মঞ্চের কথা? যে মঞ্চ তৈরিই করা হয়েছিলো আলেম সমাজকে ধ্বংশ করার জন্য। কথিত রাজাকারের ট্যাগ দিয়ে এই মঞ্চ থেকেই স্লোগান উঠেছিলো আলেমদের ফাঁসিতে ঝোলানোর।

এই মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের সাথেও বেশ সখ্যতা ছিলো তুরিনের। শুধু তাই নয় ইমরানের সাথে সরাসরি নিজ বাসায় মদের আসর বসাতেন তুরিন এমন অভিযোগও পাওয়া যায়।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সাথেও গোপন সম্পর্ক ছিলো তুরিনের। তুরিন-ইমরানের সেই গোপন মদের পার্টিতে যোগ দিতেন শাহরিয়ার কবির নিজেও।

শুধু এতটুকুই নয় ইমরান ও শাহরিয়ার কবিরের সাথে যৌনতায় মেতে উঠতেন তুরিন, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে।

এই সেই তুরিন যে ১ হাজার মাদরাসা ও ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে ধর্মব্যবসায়ী ট্যাগ লাগিয়ে তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনকালে তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদ আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহীদ ও গোলাম আজমের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করেছেন।

ইতিমধ্যে তুরিন ও সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ই মে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্তর এলাকায় নিজেদের নেতাকর্মী ও পথচারীদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দাখিল করেছে হেফাজতে ইসলাম।

অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে প্রসিকিউশন।

অন্যদিকে কালা মানিকখ্যাত বিচারপতি মানিকের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী তুরিন। জানা যায়, প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনকালে মানিকের সাথে মিলে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে মূল রাজাকারদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তুলতেন না তিনি বরং ইসলামপন্থী আলেমরা ছিলো এই নাস্তিকের চক্ষশূূল।

তুরিন এতটায় ভয়ানক ছিলেন যে তার অপকর্মের বিরোধীতা করায় আপন মা এবং ভাই এর বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় এক পর্যায়ে মা ও ভাইকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে ঠিকই আমোদ ফূর্তিতে ব্যস্ত থাকেন স্বৈরাচার হাসিনার এই দোসর।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫

রাজনীতি

উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করছেন নাহিদ ইসলাম

অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আসছে বদল। কিছুদিনের মধ্যেই নিজেসহ উপদেষ্টা পরিষদে থাকা শিক্ষার্থীরা পদ ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আর চলতি মাসের শেষের দিকেই ঘোষণা আসছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের। দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন তথ‍্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। কোটা বাতিল আন্দোলন থেকে সরকার […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আসছে বদল। কিছুদিনের মধ্যেই নিজেসহ উপদেষ্টা পরিষদে থাকা শিক্ষার্থীরা পদ ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আর চলতি মাসের শেষের দিকেই ঘোষণা আসছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের।

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন তথ‍্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

কোটা বাতিল আন্দোলন থেকে সরকার পতনের ঘোষণা। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। তারপর, এরইমধ্যে চলে গেছে ছয় মাসের বেশি সময়।

কোটা বাতিল আন্দোলন থেকে সরকার পতনের ঘোষণা। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। তারপর, এরইমধ্যে চলে গেছে ছয় মাসের বেশি সময়।

দেশ পুনর্গঠনে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীরা গঠন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাদের পক্ষ থেকেই গঠিত হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। আর, এই নতুন দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে এ মাসেই।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা জানান, দলের কার্যক্রমে যোগ দিতে তিনিসহ উপদেষ্টা হিসেব দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন কয়েকদিনের মধ্যেই।

তিনি বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে একটা নতুন রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনা বা আলোচনা রয়েছে। সে দলে অংশগ্রহণ করতে হলে সরকারে থেকে সেটি সম্ভব নয়। সেই দলে আমি যদি যেতে চাই তাহলে সরকার থেকে আমি পদত্যাগ করবো।

তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা চিন্তাভাবনা করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবেও চিন্তাভাবনা করছি। যদি মনে করি, সরকারের থেকে আমার মাঠে যাওয়া, জনগণের সঙ্গে কাজ করা বেশি জরুরি। মনে হয় আমি সরকার ছেড়ে দেবো এবং সে দলের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবো।

চলতি মাসেই বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আর কয়েকদিনের ভেতরে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সবাই জানতে পারবেন।

এছাড়া নির্বাচনের আগেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করায় সরকারের সঙ্গে দূরত্ব কমেছে বলেও মনে করেন নাহিদ ইসলাম।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫

রাজনীতি

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান। সোমবার […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১০

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান।

সোমবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত রোববার বিকেলে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে রোববার রাতেই নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করেছে।

তিনি জানান, দুই বাসিন্দার পক্ষে রোববার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু একই দিন রাতেই নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দ্রুততার সঙ্গে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ট্রাইব্যুনালের রায় চ্যালেঞ্জ করবে। কিন্তু তা করা হয়নি। বরং, আইন উপদেষ্টার মন্তব্য অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়েই সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারে না যার কার্যকারিতা নেই। এখানে মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

জানা যায়, ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম ও মো. ইশরাক হোসেনের কাছে আইনি নোটিশটা পাঠানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৭৫