পটুয়াখালীতে তরমুজবাহী ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টাকালে একটি সশস্ত্র জলদস্যু দলের সাথে ব্যবসায়ী ও চাষীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) ভোর অনুমান সাড়ে পাঁচ দিকে তেঁতুলিয়া নদীর বাউফল অংশে এ ঘটনা ঘটে। এতে তরমুজ ব্যবসায়ীসহ ৭জন চাষী আহত হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল থেকে তরমুজ নিয়ে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী শহিদুল মাতব্বরসহ আট জন। ট্রলারটি নদীর তালতলা পৌঁছালে সশস্ত্র জলদস্যুরা ডাকাতির চেষ্টা করে। প্রতিরোধ গড়ে তুললে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরমুজের ট্রলারের প্রায় সবাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত হয় কয়েক জলদস্যুও। একপর্যায় জলদস্যুরা নদীতে ঝাপ দেয়। কিন্তু শহিদুলরা জলদস্যু কবিরকে জাপটে ধরে রাখে। ইতিমধ্যেই ট্রলারটা ধুলিয়া লঞ্চ ঘাট পৌঁছে। ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। এসময় জলদস্যু কবিরকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় জনতা।
গণপিটুনির পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। ভোলা সদরের দক্ষিণ বালিয়া এলাকার বাসিন্দা নিহত মো. কবির আগেও ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। ওই ট্রলারে ১০ হাজার পিস তরমুজ ছিল। অন্য জলদস্যুদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় থানা পুলিশ।
আহত শহিদুল মাতবর, মেহেদী হাসান, সেলিম মাঝিকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাকি আহতরা হলেন- ফিরোজ মাতবর, বারেক মাতবর, ফরহাদ হোসেন, ফয়সাল ও হাবু পেশকার। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ডাকাতকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। আহত ৮ জনের বাড়ি গলাচিপা উপজেলার চরশিবা গ্রামে।
এদিকে তরমুজ ব্যবসায়ীরা এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এবং নৌপথে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।