নীলফামারীতে পাঁচ দফা দাবি আদায়ে কমপ্লিট শাটডাউন ও বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেছে বিসিএস ক্যাডার (স্বাস্থ্য) বিশেজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক বৃন্দ।
এসময় হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোর বন্ধ ছিল। তবে জরুরীসেবা চলমান ছিল বলে জানান, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আব্দুর রহিম।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল চত্তরে ওই কর্মসূচি পালন করেন চিকিৎসক ফোরাম।
এসময় ফোরামের আহব্বায়ক সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. শাহ্ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এর সভাপতিত্বে সমাবেসে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ন আহব্বায়ক সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. তোজাম্মেল হক, সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থ-সার্জারী) ডা. এডিএম গোলাম মোস্তফা (শুভ্র), সদস্য সচিব ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. আব্দুল মতিন প্রমুখ।
ফোরামের আহব্বায়ক সিনিয়র কনসালটেন্ট মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও ‘নামসর্বস্ব’ ম্যাটসের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে, শুধুমাত্র এমবিবিএস ও বিডিএস গ্রাজুয়েট চিকিৎসক কতৃক ঔষুধ প্রেস্ক্রিপশন করা ছাড়া বাকি সব ধরণের প্রেস্ক্রিপশন নিষিদ্ধ করতে হবে।
ডাক্তারী পড়াশুনা না করে ডাক্তারী পদবী ব্যবহার করেন। তারা দোকান থেকে একটা বই কিনে, বই পড়ে, এএলএমএফ প্রশিক্ষন নিয়ে ডাক্তার বনে গেল। বিশেষ করে এদের দ্বারা রোগিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরে আমরাও বিসিএস চিকিৎসকরা ওই রোগিদের সুস্থ্য করে তুলতে পারি না।
এদিকে, আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, ‘এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রীধারীরা হচ্ছেন চিকিৎসক। তাঁরা নামের আগে ডাক্তার লাগাতে পারেন। কিন্তু এসএসসি পাস করে ম্যাটস এবং স্যাকমো করতে যারা মেডিকেলে আসেন, তারা ডাক্তার নন, তাঁরা মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
অথচ নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করে তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছেন।’ এসব অনৈতিক চিকিৎসা বন্ধ না হলে, রাজপথে মোকাবেলা করতে বাধ্য হবো আমরা। হাইকোর্টে ১৩ বছর ধরে ঝুলে রাখা রিট দ্রুত নিষ্পত্তি করতে
হবে।