সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটে তৃতীয় দিনের গণশুনানিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্ভাব্য দিক ও স্থানীয়দের উদ্বেগ-প্রস্তাবনা উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, পুনরুদ্ধার এবং প্রকল্পের সুফল-চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়। তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা, সুশীল সমাজ ও চায়না পাওয়ার কোম্পানির প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
শুনানিতে পাওয়ার চায়নার প্রতিনিধি দল তিস্তা নদী নিয়ে তাদের প্রাক্কলিত সমীক্ষার তথ্য উপস্থাপন করেন। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শুষ্ক মৌসুমে ভারতের ওপর পানি নির্ভরতা কমবে, নদীর গভীরতা ১০ মিটার বাড়ানো, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নৌচলাচলের সুযোগসহ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা ও বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার কৃষি উৎপাদন সম্ভব হবে বলে দাবি করা হয়। এ জন্য ১০৮ কিলোমিটার নদীখাত খনন, ১৭৩ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ, স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ ও চর উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে স্থানীয়রা প্রকল্পের সময়োচিত বাস্তবায়ন ও লালমনিরহাটে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি তোলেন। উত্তরের ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত তিস্তার পুনরুদ্ধারে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা। জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার বলেন, “তিস্তা প্রকল্পের কাজ সমন্বিতভাবে করতে হবে। লালমনিরহাটের ৪ উপজেলাজুড়ে তিস্তার প্রবাহ থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।”
পাওয়ার চায়নার কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের মতামত ও সহযোগিতায় এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্রুত সমঝোতা হবে বলে আমরা আশাবাদী।” আগামী দিনগুলোতে অন্যান্য জেলায়ও গণশুনানি চলবে বলে জানানো হয়।